প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ৮ এপ্রিল, ২০২১, ৬:৪৫ পিএম আপডেট: ০৮.০৪.২০২১ ৭:৩৩ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
স্ত্রীকে খুশি করতে প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে সীমিত পরিসরে সত্যকে গোপন করার অবকাশ রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক।
৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের রয়্যাল রিসোর্টে এক নারীসহ অবরুদ্ধ হওয়ার ঘটনাসহ সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে ব্যাখ্যা দিতে বৃহস্পতিবার (৮ এপ্রিল) ফেসবুক লাইভে এসে এ মন্তব্য করেন তিনি।
মামুনুল হক বলেন, ইসলামে চারটি বিয়ের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। দেশের আইনেও একাধিক বিয়েতে বাধা নেই। কাজেই আমি দ্বিতীয় বিয়ে করেছি এতে কার কী? আমি যদি স্ত্রীদের কোনো অধিকার থেকে বঞ্চিত করে থাকি, তবে আমার বিরুদ্ধে পরিবার অভিযোগ দিতে পারে। কিন্তু আজ পর্যন্ত কেউ কি সেরকম কিছু দেখাতে পারবে?
তিনি বলেন, যেভাবে একের পর এক মানুষের ব্যক্তিগত ফোনালাপ ফাঁস করা হচ্ছে, এটি দেশের জন্য ভালো কিছু বয়ে আনবে না। আমার নামে অপবাদ দেয়া হচ্ছে। এই যে এতগুলো ফোনালাপ ফাঁস করা হলো তাতে কি প্রমাণ মিলেছে যে, সে আমার বিবাহিতা স্ত্রী নয়? অথচ শুধু শুধু আমার একান্ত ব্যক্তিগত কথাগুলো কোন উদ্দেশ্যে ফাঁস করা হলো?
তিনি বলেন, আমার স্ত্রীর সঙ্গে আমি কী বলবো না বলবো সেটা আমার ব্যক্তিগত ব্যাপার। কিন্তু ফোনালাপ ফাঁস করে আমার ব্যক্তিগত অধিকার ক্ষুণ্ন করা হয়েছে। এটি যেমন দেশের আইনেও অপরাধ তেমনি ইসলামী বিধানেও চরম গুনাহর কাজ। আমি এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেব।
মামুনুল হক বলেন, সেদিন নারায়নগঞ্জের রয়্যাল রিসোর্টে যে ঘটনা ঘটেছে সেটি নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছে যে আমি কেন এই পরিস্তিতিতে রিসোর্টে গেলাম। হ্যাঁ আমি স্বীকার করছি যে এমন অসাবধানতাবশত সেখানে আমার যাওয়া উচিত হয়নি। তবে আমি জানতাম না যে দেশের মানুষের ব্যক্তিগত নিরপাত্তা চরমভাবে ভেঙ্গে পড়েছে।
মামুনুল হক বলেন, আমি সবার কাছে দোয়া চাই। আমার ব্যক্তিগত অসাবধানতার কারণে যে ক্রুটি-বিচ্যুতি হয়েছে এবং যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ না করার কারণে যে ক্ষতির সম্মুখীন ব্যক্তিগতভাবে হয়েছি; সেজন্য নিজেই মর্মাহত। আমার কারণে আজকে অনেকে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। তাদের কাছে আমি হাত জোড় করে ক্ষমা প্রার্থনা করছি।
মাওলানা রফিকুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে তার নামেও অপবাদ দেয়া হচ্ছে বলেন জানান মামুনুল হক।
ভোরের পাতা/কে