লকডাউনে ব্যাংক খোলা থাকলে পুঁজিবাজারেও লেনদেন চালু থাকবে বলে জানিয়েছে বিএসইসি। পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থাটির মুখপাত্র রেজাউল করিম জানান, বিনিয়োগকারীদের এ নিয়ে বিভ্রান্ত হওয়ার কিছু নেই। আগেই বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান তার বক্তব্যে পরিষ্কার করায় এটাকে নিয়ে কেউ গুজব সৃষ্টি করতে পারবে না বলে মনে করেন তিনি।
বিনিয়োগকারীরা যাতে আতঙ্কিত না হয় সেটাই মূল চিন্তার কারণ। রোববার (০৪ এপ্রিল) বাজারে প্রথম ঘণ্টায় খুব গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন বিএসইসি মুখপাত্র। তিনি জানান, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের বাজারের স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে ভূমিকা রাখতে হবে।
গত সোমবার (২৯ মার্চ) সরকারের নেওয়া ১৮ দফা সিদ্ধান্তকে যৌক্তিক বলে মনে করে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রক সংস্থা, উভয় স্টক এক্সচেঞ্জ, ব্রোকারেজ হাউজ ও মার্চেন্ট ব্যাংকের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা মেনে চলতে বলা হয়েছে।
ব্রোকারেজ হাউজে ভিড় না করে মোবাইলে বা ইন্টারনেটভিত্তিক লেনদেন করতে বিনিয়োগকারীদের উৎসাহিত করা হয়েছে।
এছাড়া পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর বিভিন্ন ধরনের সভা-সেমিনার ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন ।
ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কাছে এ বার্তা পাঠানো হয়েছে। একইসঙ্গে উভয় স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত সকল কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাদের অবহিত করা হয়েছে। পাশাপাশি বিএসইসির এ সিদ্ধান্তটি কোম্পানিগুলোর ওয়েবসাইটে নোটিশ আকারে প্রকাশ করতে বলা হয়েছে।
বর্তমান পরিস্থিতিতে এক জায়গায় জনসমাগমের মাধ্যমে সভা-সমাবেশ করায় করোনা সংক্রামণের ঝুঁকি রয়েছে। তাই স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর এজিএম, ইজিএম ও পরিচালনা পর্ষদ সভা ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম আয়োজন করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি করোনার প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায়, আগামী সোমবার থেকে এক সপ্তাহের জন্য লকডাউন ঘোষণা করেছে সরকার।
এর আগে করোনার বিস্তাররোধে সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটির সময় দেশের শেয়ারবাজার বন্ধ ছিল। গত বছরের মার্চের মাঝামাঝি সময়ে দেশের করোনা পরিস্থিতির অবনতি হতে শুরু করলে ১৯ মার্চ থেকে শেয়ারবাজারে লেনদেনের সময় এক ঘণ্টা কমিয়ে দেওয়া হয়। সরকার গত বছরের ২৬ মার্চ সাধারণ ছুটি ঘোষণা করলে শেয়ারবাজারের লেনদেনও বন্ধ রাখা হয়। সেসময় ৬৬ দিন টানা বন্ধের পর গত বছর ৩১ মে আবার চালু হয়েছিলো শেয়ারবাজারের লেনদেন।
করোনা পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, সবাই পূর্ণ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার মাধ্যমেই করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে।
ভোরের পাতা/পি