প্রকাশ: শনিবার, ৩ এপ্রিল, ২০২১, ১২:০০ এএম আপডেট: ০৩.০৪.২০২১ ৩:১৫ এএম | প্রিন্ট সংস্করণ
মিডিয়া মোগল জিমি লাই ও ৬ সাবেক আইনপ্রণেতার রায় ঘোষণার দিন ওয়েস্ট কৌলুন আদালতের বাইরে গণতন্ত্রপন্থিদের প্রতিবাদ। দুই বছর আগের সরকারবিরোধী বিক্ষোভে জড়িত থাকার দায়ে মিডিয়া টাইকুন জিমি লাই এবং ৬ সাবেক আইনপ্রণেতাকে দোষী সাব্যস্ত করেছে হংকংয়ের এক আদালত। গত বৃহস্পতিবার হংকং ডিস্ট্রিক্ট আদালতের বিচারক আমান্ডা উডকক এ রায় ঘোষণা করেন বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
দোষী সাব্যস্ত এ ৭ জনের সাজা ১৬ এপ্রিল ঘোষণা করা হবে। ৬০ ঊর্ধ্ব এ গণতন্ত্রপন্থিদের ১২ থেকে ১৮ মাস করে কারাদণ্ড হতে পারে বলে অনেকে অনুমান করছেন। যে অভিযোগে তারা দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন, তাতে সর্বোচ্চ ৫ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে।
এর আগে গণতন্ত্রপন্থি দুই আন্দোলনকারী ২০১৯ সালের বিক্ষোভে জড়িত থাকার দায় স্বীকার করে ৫ বছর করে কারাদণ্ডের সাজা পেয়েছেন। দুই বছর আগে হংকংয়ে সরকারবিরোধী টানা বিক্ষোভের তোড়ে এশিয়ার অন্যতম ‘অর্থনৈতিক হাব’টি প্রায় অচল হয়ে পড়েছিল।কয়েক মাসের বিক্ষোভ ও সহিংসতার পর ২০২০ সালের শুরুর দিকে করোনাভাইরাসের প্রকোপ বাড়লে গণতন্ত্রপন্থিদের ওই আন্দোলন স্তিমিত হয়ে পড়ে।
বেইজিং অবশ্য ওই বিক্ষোভের পর থেকেই হংকংয়ে নিজেদের নিয়ন্ত্রণ বাড়াতে মনোযোগী হয়ে ওঠে। চলতি সপ্তাহে চীন হংকংয়ের নির্বাচনী ব্যবস্থাতেও বড় ধরনের পরিবর্তন এনেছে। এখন থেকে শহরটিতে নির্বাচনে দাঁড়াতে হলে বেইজিংপন্থি একটি ভেটিং কমিটির পরীক্ষা উৎরাতে হবে।
গত বৃহস্পতিবার যে ৭ জন দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন, তাদের মধ্যে ৮২ বছর বয়সী সাবেক আইনপ্রণেতা ব্যারিস্টার মার্টিন লি’ও আছেন। গণতন্ত্রপন্থি এ অ্যাস্টিভিস্টদেরা ২০১৯ সালের ১২ ও ১৮ অগাস্টের অবৈধ সমাবেশ আয়োজন ও সেখানে অংশগ্রহণের দায়ে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন বলে জানিয়েছে বিবিসি।
শুনানিতে জিমি লাই ও মার্টিন লি’দের আইনজীবীরা আদালতকে বলেছিলেন, হংকংয়ের সংবিধানে সমাবেশের স্বাধীনতা সুরক্ষিত। শহরটির কর্তৃপক্ষই প্রতিবাদ কর্মসূচির অনুমতি দিয়েছিল, যা পরে অননুমোদিত বিক্ষোভে পরিণত হয় বলেও যুক্তি দেখান তারা।
এর প্রত্যুত্তরে হংকংয়ের প্রসিকিউটররা বলেন, সংবিধানে স্বীকৃত হলেও হংকংয়ে সমাবেশের স্বাধীনতা অবাধ নয়।
বিলিয়নেয়ার মিডিয়া মোগল জিমি লাই হংকংয়ের গণতন্ত্রপন্থি আন্দোলনের অন্যতম প্রভাবশালী সমর্থক। ৭২ বছর বয়সী এ ধনকুবেরকে এখন বেইজিংয়ের জাতীয় নিরাপত্তা আইনে দায়ের হওয়া বেশ কয়েকটি অভিযোগেরও মুখোমুখি হতে হচ্ছে। লাইয়ের প্রতিষ্ঠিত সংবাদমাধ্যম অ্যাপল ডেইলিতে প্রায়ই চীন ও হংকংয়ের সরকারের সমালোচনা দেখা যায়। পশ্চিমা বিভিন্ন দেশের সরকার মিডিয়া টাইকুন লাই ও অন্য গণতন্ত্রপন্থিদের গ্রেপ্তারে নিন্দা জানিয়েছিল। রায় ঘোষণার পর তাৎক্ষণিকভাবে তাদের প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।