প্রকাশ: শনিবার, ৩ এপ্রিল, ২০২১, ১২:০০ এএম আপডেট: ০৩.০৪.২০২১ ২:১৯ এএম | প্রিন্ট সংস্করণ
মাশরাফি মুর্তজার পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাংলাদেশের সফলতম অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। সবশেষ দফায় যখন বাংলাদেশের নেতৃত্বে ছিলেন সাকিব আল হাসান, প্রকাশ্য সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন যে এই দায়িত্ব উপভোগ করেন না। তবে সময়ের স্রোত সেই ভাবনার জমিতে পলি ফেলেছে বলেই মনে হচ্ছে। এই অলরাউন্ডার এখন বলছেন, আবার দেশের নেতৃত্ব পেলে অবশ্যই চেষ্টা করে দেখবেন।
কয়েক দফায় বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিয়েছেন সাকিব। ২০১৯ সালে এক বছরের নিষেধাজ্ঞা পাওয়ার আগে তিনিই ছিলেন টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক। সব মিলিয়ে ১৪ টেস্ট, ৫০ ওয়ানডে ও ২১ টি-টোয়েন্টিতে টস করেছেন তিনি দেশের হয়ে। ২০১৯ সালে আফগানিস্তানের বিপক্ষে বিব্রতকরভাবে হেরে যাওয়া টেস্টের আগে ও চলার সময় সাকিব বলেছিলেন, দায়িত্বের এই ভার তার ভালো লাগছে না। তবে বৃহস্পতিবার এল সাক্ষাৎকারে নেতৃত্বের প্রসঙ্গে ইঙ্গিত দিলেন আগের ভাবনা বদলের।
“বিসিবি থেকে যদি দেয় আবার (অধিনায়কত্ব), অবশ্যই চেষ্টা করে দেখব। তবে এখনও পর্যন্ত ওরকম পর্যন্ত চিন্তা নাই। অধিনায়ক হলে একটাই সমস্যা, আপনাদের কাছ থেকে (সংবাদমাধ্যম) জ্বালা-যন্ত্রণা অনেক বেশি। এছাড়া আর যন্ত্রণা নেই। জাতীয় দলের অধিনায়কত্ব করা আমার কাছে বরং আরও সহজ, ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টের চেয়ে। আমি অনেক কমফরটেবল থাকি।”
“ কিন্তু ওই যে যন্ত্রণার কথা বললাম, কে নেবে এই বয়সে এসে! ওই এসব নিয়ে ভাবার ব্যাপার আছে।যদি আলোচনা হয় কখনও, তখন বিবেচনা করব যে এই বয়সে এই জ্বালা নেব কিনা, দরকার আছে কিনা, আমার দরকার না থাকলে দলের দরকার আছে কিনাৃ প্রস্তাব পেলে সমীকরণ তখন ভাবা যাবে।”
নেতৃত্ব উপভোগ করেন না বলে দেড় বছর আগের সেই মন্তব্য মনে করিয়ে দেওয়ার পর সাকিব জানালেন, সময় বদলে দিয়েছে তার মনোজগত।
“একেকসময় একেক বাস্তবতা থাকে, পরিস্থিতি তৈরি হয়। প্রতিদিন বদলায়। একটা সময়ের সঙ্গে আরেক সময়ের তুলনা করা কঠিন।”
“ গত দুই বছরে জাতীয় দলের হয়ে বেশি ম্যাচ খেলতে পারিনি। এখন তাই ভাবনা অন্যরকম, মাথা অনেক ফ্রেশ, চিন্তা-ভাবনা আসতেই পারে (নেতৃত্বের)। আবার টানা খেলা হতে থাকলে চিন্তা বদলে যেতে পারে। বলা মুশকিল। কিন্তু এখন আমি ওপেন টু এনিথিং অ্যান্ড এভরিথিং।”