প্রকাশ: শনিবার, ৩ এপ্রিল, ২০২১, ১২:২৬ এএম | অনলাইন সংস্করণ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে পৌনে ছয় কেজি ওজনের এক ছেলে শিশুকে জন্ম দিয়েছেন মা।
গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে জেলা শহরের বেসরকারি হলিল্যাব হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে ওই শিশুর জন্ম হয়। গাইনি চিকিৎসক ফৌজিয়া আক্তার ওই অন্তঃসত্ত্বা মায়ের অস্ত্রোপচার করেন।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার বিকেলে জেলার সরাইল উপজেলার অরুয়াইল ইউনিয়নের বাসিন্দা আবুল বাশার তাঁর স্ত্রী তাসলিমা বেগমকে (৩৮) হলিল্যাব হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নিয়ে যান। তাসলিমা এর আগে কোনো ধরনের অস্ত্রোপচার ছাড়াই তিন সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। প্রসবজনিত ব্যথা বাড়তে থাকলে হাসপাতালের গাইনি চিকিৎসক ফৌজিয়া আক্তার সন্ধ্যা সাতটার দিকে তাসলিমার অস্ত্রোপচার করেন। পরে তাসলিমা একটি ছেলেশিশুর জন্ম দেন। জন্মের পর হাসপাতালের চিকিৎসকেরা শিশুটির ওজন মাপেন। ভূমিষ্ঠ হওয়া শিশুটির ওজন দেখায়, ৫ কেজি ৭০০ গ্রাম।
অস্ত্রোপচার করা ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের গাইনি বিভাগের প্রধান চিকিৎসক ফৌজিয়া আক্তার বলেন, ‘সাধারণত গর্ভবতী নারী ও তাঁর স্বামী সুঠাম দেহের অধিকারী হলে কিংবা শিশুর মা–বাবার ডায়াবেটিস থাকলে বেশি ওজনের শিশুর জন্ম হওয়ার কথা। কিন্তু এই শিশুর বেলায় ঘটনাটি পুরোপুরি ব্যতিক্রম। কারণ, তার মা ও বাবার শরীরের ওজন স্বাভাবিক এবং কারোরই ডায়াবেটিস নেই। তাসলিমা যে শিশুর জন্ম দিয়েছেন, সেটিকে আমরা সেক্রোসেমিয়া বা বেশি ওজনের শিশু বলে থাকি। বর্তমানে মা ও শিশু উভয়েই সুস্থ আছেন।’
ফৌজিয়া আক্তার বলেন, গর্ভবতী অবস্থায় ওই নারী সুষম খাবার খেয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। এর আগে তিনি আরও তিন সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। তিনটি সন্তানই তিনি স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় (অস্ত্রোপচার ছাড়া) জন্ম দিয়েছেন। গত বৃহস্পতিবার তিনি স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় শিশুসন্তান জন্ম দেওয়ার চেষ্টা করেন। ব্যর্থ হওয়ায় তাঁকে হাসপাতালে আনা হয়।
শিশুটির মা তাসলিমা বেগম বলেন, আমি ও আমার শিশুটি সুস্থ আছি।
শিশুটির পিতা মো. আবুল বাশার বলেন, এর আগে তার তিন সন্তান হয়েছে। এটি তার চতুর্থ সন্তান। আমার আগের শিশুগুলোর নরমাল ডেলিভারি হয়। ওই শিশুগুলোর স্বাস্থ্যও ভালো ছিল। নিরাপদে সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ায় আমি খুবই খুশি। আমার পরিবার ধন্য হয়েছে। ডা. ফৌজিয়া ম্যাডামের সহযোগিতায় সিজারের পর মা ও শিশু ভালো আছেন।
ভোরের পাতা/ই