সাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত করার পাঁয়তারা চালাচ্ছে তারা: অধ্যাপক ড. বদরুজ্জামান ভূঁইয়া কাঞ্চন
প্রকাশ: শুক্রবার, ২ এপ্রিল, ২০২১, ১০:৩১ পিএম আপডেট: ০২.০৪.২০২১ ১০:৩৭ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
আজকের যে সমস্যা এটা কিন্তু কোনো নতুন সমস্যা নয়, এটা অনেক পুরাতন সমস্যা। বাংলাদেশ সৃষ্টির শুরু থেকেই এই সমস্যা তৈরি হয়েছিল। ধর্মের নামে যে রাজনীতি তারা করছে সেটা অবৈধ যা আমাদের কোনো ধর্মেই নেই, কিন্তু তারা এটা ধর্মের নামে চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের উদ্দেশ্য ছিল দেশের সবখানে অরাজকতা পরিস্থিতি সৃষ্টি করা এবং তারা তা করতে পেরেছে। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে যারা জাতির পিতার ভাস্কর্যে আঘাত করে তারা স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, উন্নয়ন ও অগ্রগতিকে বিশ্বাস করে না।
দৈনিক ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপের ২৯৭তম পর্বে শুক্রবার (২ এপ্রিল) আলোচক হিসাবে উপস্থিত হয়ে এসব কথা বলেন জার্মান আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতা হাফিজুর রহমান আলম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের চেয়ারম্যান এবং বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক ড. বদরুজ্জামান ভূঁইয়া কাঞ্চন, গণমাধ্যম কর্মী অঞ্জন রায়। দৈনিক ভোরের পাতা সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের পরিকল্পনা ও নির্দেশনায় অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ভোরের পাতার সিনিয়র রিপোর্টার উৎপল দাস।
অধ্যাপক ড. বদরুজ্জামান ভূঁইয়া কাঞ্চন বলেন, আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আমাদের এই বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিল এবং তার পর থেকেই একদল ষড়যন্ত্রকারীরা আমাদের স্বাধীন বাঙলার উন্নয়ন রথ যেটা আমাদের জাতির পিতার নেতৃত্বে শুরু হয়েছিল তা থামিয়ে দিতে চেয়েছিল। এই জন্যই ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ইতিহাসের নিকৃষ্টতম হত্যাকাণ্ড চালানো হয় বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের উপর। এরপর ২১টি বছর বাংলাদেশ ছিল অন্ধকার যুগে। এরপর এর থেকে বাঙালিকে পরিত্রাণ দেয় জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধু বাংলার মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য অনেক নির্ঘুম রাত কাটিয়েছেন। আজকে তিনি নেই কিন্তু তার সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের মাঝে আছেন। তারই সুযোগ্য নেতৃত্বে আজ আমরা দেশের বিরুদ্ধে রটে যাওয়া সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করতে সক্ষম হয়েছি এবং হচ্ছি। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গত এক যুগ ধরে বাংলাদেশের রাজনৈতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিকভাবে স্বর্ণযুগ পালন করে আসছে যা ইতি মধ্যে সারা বিশ্বের কাছে প্রমাণিত হয়ে গিয়েছে। আজকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ যে অবস্থানে আছে, রাজনৈতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক সূচকগুলো যেভাবে ঊর্ধ্বগতিতে আছে তার আলোচনা করে সহজে শেষ করা যাবে না। এই উন্নয়নের বাংলাদেশে ফের সেই কুচক্রীরা ষড়যন্ত্র শুরু করছে। কিছুদিন যাবৎ কতিপয় উচ্ছৃঙ্খল ব্যক্তি ও গোষ্ঠী ধর্মীয় উন্মাদনায় চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, সরাইল ও আশুগঞ্জে সরকারি সম্পত্তি ধ্বংস করছে। যার মধ্যে উপজেলা পরিষদ, থানা ভবন, সরকারি ভূমি অফিস, পুলিশ ফাঁড়ি, রেল স্টেশন, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গের বাড়িঘর, প্রেসক্লাবসহ জানমালের ক্ষয়ক্ষতি করে যাচ্ছে তারা। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে যারা জাতির পিতার ভাস্কর্যে আঘাত করে তারা স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, উন্নয়ন ও অগ্রগতিকে বিশ্বাস করেনা। আমি স্বাধীনতা বিরোধী এ প্রতিক্রিয়াশীল জনগোষ্ঠীর এসকল কার্যক্রমের তীব্র নিন্দা, প্রতিবাদ ও ধিক্কার জানাই। সরকারের নিকট অবিলম্বে ষড়যন্ত্রকারীদের এবং তাদের মদদ দাতাদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি।