‘ঘুষ লেনদেনের’ টাকাসহ কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার সাব-রেজিস্ট্রার মো. নাদিমুজ্জামান (৩১) ও অফিস মোহরার দুর্জয় কান্তি পালকে (৩৯) আটক করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ সময় তাদের কাছ থেকে জব্দ করা হয়েছে ৬ লাখ ৪২ হাজার ১০০ টাকা।
বৃহস্পতিবার (০১ এপ্রিল) সন্ধ্যা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত কয়েক ঘণ্টাব্যাপী দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম-২ এর সহকারী পরিচালক রিয়াজ উদ্দিনের নেতৃত্বে এক অভিযানে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত ও পলাতক তিনজনকে অভিযুক্ত করে মামলা করা হয়েছে। এই তিনজনের নিয়ন্ত্রণ থেকে ঘুষের টাকাগুলো পাওয়া গেছে বলে মামলার এজাহারে দাবি করা হয়।
সাব-রেজিস্ট্রার নাহিদুজ্জামান নাটোর জেলার গুরুদাশপুর থানার উত্তর নাড়ি বাড়ির, মোহরার দুর্জয় কক্সবাজার সদর উপজেলার খুরুস্কুল ও পলাতক অফিস সহকারী শ্যামল কক্সবাজার পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা।
দুদকের অভিযান সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার সাব-রেজিস্ট্রার কার্যালয়ে বেশ কিছুদিন ধরে জমির দলিল সম্পাদনের সময় ঘুষের লেনদেন নিয়ে বেশকিছু অভিযোগ আসে। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে দুদক চট্টগ্রাম কার্যালয় অভিযানে নামে।
সম্প্রতি রশিদ আহমদ নামের এক ব্যক্তির দলিল রেজিস্ট্রেশনের জন্য সাব-রেজিস্ট্রারের নাম ব্যবহার করে এক কর্মচারী ঘুষ দাবি করেন। দুদক কর্মকর্তারা ভুক্তভোগী অভিযোগকারী সেবাগ্রহীতাকে সাথে নিয়ে সাব-রেজিস্ট্রার কার্যালয়ে যান। পরে দুদক কর্মকর্তারা কার্যালয়টিতে অভিযান চালান। এ সময় সাব-রেজিস্ট্রার মো. নাহিদুজ্জামানের ব্যববহৃত রেকর্ড রুমের স্টিলের লকারের প্রথম ড্রয়ার থেকে ১ লাখ ৯২ হাজার ৫৫০ টাকা জব্দ করা হয়েছে। এছাড়াও অফিস সহকারী শ্যামল বড়ুয়ার টেবিলের ড্রয়ার থেকে ২ লাখ ৮৯ হাজার ৫৫০ টাকা এবং অফিস মোহরার দুর্জয় কান্তি পালের ড্রয়ার থেকে ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা জব্দ করা হয়েছে।
‘জব্দ করার টাকাগুলোর বিষয়ে তারা দুদককে সন্তোষজনক কোনো ব্যাখ্যা দিতে পারেননি। টাকাগুলো তারা দলিল রেজিস্ট্রারের সময় ঘুষ হিসেবে গ্রহণ করেছেন। তাদের ড্রয়ার থেকে ঘুষ লেনদেনে হাতে লেখা ৪১টি স্লিপ জব্দ করা হয়েছে।’
বলাবলি হচ্ছে দুদকের অভিযান শুরু হওয়ার পর কৌশলে পালিয়ে যাওয়া শ্যামল বড়ুয়া বিপুল টাকা ও বেশ কিছু কাগজপত্র সাথে নিয়ে গেছেন।
ভোরের পাতা/কে