প্রকাশ: শুক্রবার, ২ এপ্রিল, ২০২১, ১২:০৪ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
করোনার সংক্রমণ রোধে সরকারের নির্দেশনা মেনে শ্রমিক সংখ্যা কমিয়ে অর্ধেক করা হলে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়বে দেশের তৈরি পোশাক খাত। তাই শিল্পের স্বার্থে শ্রমিক সংখ্যা না কমিয়ে কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে কারখানা চালু রাখতে চায় বিজিএমইএ।
বৃহস্পতিবার (১ এপ্রিল) শিল্পের সার্বিক অবস্থা তুলে ধরে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়কে দেওয়া এক চিঠিতে এ কথা জানিয়েছে পোশাকশিল্প মালিকদের শীর্ষ সংগঠনটি। বিজিএমইএর সভাপতি ড. রুবানা হক স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে শিল্পের বর্তমান অবস্থা তুলে ধরা হয়েছে।
মন্ত্রণালয়ে পাঠানো বিজিএমইএর চিঠিতে জানানো হয়, করোনার প্রথম ঢেউ সামলে তৈরি পোশাক কারখানাগুলো ঘুরে দাঁড়ানো শুরু করেছে। কারখানাগুলোতে বিদেশি ক্রেতার অর্ডার আসছে ও শিপমেন্ট চলছে। এ অবস্থায় করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আঘাত হানতে শুরু করায় সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী, ৫০ শতাংশ জনবল দিয়ে কারখানা চালু রাখতে হলে কারখানাগুলো সময়মতো শিপমেন্ট করতে পারবে না এবং আবারও বিশাল আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়বে। করোনার প্রথম ঢেউয়ের সময় কারখানাগুলো সরকার প্রণীত স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে অনুসরণ করেছিল বিধায় তৈরি পোশাকশিল্পে করোনার সংক্রমণ ছিল ০.০৩ শতাংশের নিচে। প্রথম ঢেউয়ের পর করোনার সংক্রমণ কমলেও কারখানার স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ শিথিল করা হয়নি।
কারখানাগুলো যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করছে কি না, তা কঠোরভাবে মনিটরিং করা হচ্ছে। কারখানা খোলা ও বন্ধের সময় গেটে যেন শ্রমিক সমাবেশ না ঘটে, সে জন্য কারখানাগুলোতে শ্রমিক প্রবেশ ও বহির্গমনের সময় ভিন্ন ভিন্ন গ্রুপের জন্য ভিন্ন ভিন্ন সময় অনুসরণ করছে।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের শুরু থেকেই বিজিএমইএ থেকে কারখানাগুলোকে সরকার নির্দেশিত স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে অনুসরণের জন্য দফায় দফায় নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে এবং মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। কারখানাগুলো স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করছে। সুতরাং, স্বাস্থ্যবিধি মেনে কারখানা চালানোর সর্বোচ্চ প্রস্ততি আমাদের আছে।
পোশাকশিল্পে বর্তমানে প্রকৃত পরিস্থিতি অবস্থা তুলে ধরে বলা হয়, চলমান করোনা মহামারির দ্বিতীয় ঢেউয়ের প্রকোপের কারণে পশ্চিমা বিশ্বে তৈরি পোশাকের অর্ডার ৩০ থেকে ৪০ ভাগ কমেছে। ক্রেতারা তাৎক্ষণিক শিপমেন্টের পাশাপাশি দাম কমানোর জন্য চাপ দিচ্ছেন, অন্যথায় অর্ডার বাতিলের হুমকি আছে। যা আমাদের জন্য মোটেও কাম্য নয়। সুতরাং দেশের অর্থনীতির কথা চিন্তা করে সব কারখানায় স্বাস্থ্য সুরক্ষা গাইডলাইন যথাযথভাবে অনুসরণপূর্বক কারখানা চালু রাখতে হবে।
ভোরের পাতা/পি