প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ১ এপ্রিল, ২০২১, ১০:১৬ পিএম আপডেট: ০১.০৪.২০২১ ১১:৪৭ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
চট্টগ্রামে করোনা সংক্রমণের উর্ধ্বগতি রোধে স্বাস্থ্যবিধি অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন এলাকায় শুরু হয়েছে অভিযান। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় এমন অভিযান অবহ্যত রেখেছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন। অভিযানের নেতৃত্বদানকারী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রতীক দত্ত জানিয়েছেন, সকাল থেকে নগরীর বিভিন্ন পয়েন্টে অভিযানে বেশ কয়েকজনকে জরিমানা করা হয়েছে। এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
করোনা সংক্রমণ রোধে মাস্ক পরা, মাস্ক বিতরণ, জরিমানা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলায় সতর্ক করার পর এবার হার্ডলাইনে যাচ্ছে জেলা প্রশাসন। এক মাসের ঢিলেঢালা অভিযানের পর এবার কঠোর অভিযানে যাচ্ছে প্রশাসন। বিনোদনকেন্দ্র বন্ধ ও বিয়ে-সামাজিক অনুষ্ঠানে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান বলেন, বৃহস্পতিবার (১ এপ্রিল) থেকে সকল বিনোদনকেন্দ্র বন্ধ করে দেওয়া হল। এছাড়াও সকল কমিউনিটি সেন্টার ও কনভেনশন হলে বিয়ে-সামাজিক অনুষ্ঠান নিষেধ করা হয়েছে। তবে হোটেল-রেস্টুরেন্টে সেমিনার করতে পারবে, সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে। খেতে পারবেন ৫০ শতাংশ লোক। স্বাস্থ্যবিধি মেনেই তা করতে হবে। করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় আগামী ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত এসব কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।
জানা গেছে, গত মাস থেকে মাঠে নেমেছে জেলা প্রশাসন। মূলত স্বাস্থ্যবিধি মানায় সচেতনতাসহ অনেকটা ঢিলেঢালা কর্মসূচিতে কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসছে। তবে বিনোদনকেন্দ্রের বিষয়ে কিছুটা কঠোর ছিল জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ টিম। গত বুধবার জেলা প্রশাসনের চারটি টিম মাঠে ছিল। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রতীক দত্ত জিইসি মোড়, জিল¬ুর রহমান কোতোয়ালী, ফাহমিদা আফরোজ এ কে খান মোড় ও আবদুল¬াহ আল নোমান চকবাজার এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন। বৃহস্পতিবার থেকে সকাল ও বিকেলে পাঁচটি করে ১০টি টিম মাঠে থাকতে দেখা গেছে।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট গালিব চৌধুরী বলেন, মানুষের মধ্যে মাস্ক পরা, মাস্ক বিতরণ, স্বাস্থ্যবিধি মানা ও অর্থদ- প্রদান করে এখনো সচেতন করা হচ্ছে। তবে চট্টগ্রামে যে হারে সংক্রমণ বাড়ছে, তাতে হার্ডলাইনে না যাওয়ার বিকল্প নেই। মানুষের আয়-রোজগার স্বাভাবিক রেখে স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়ে কঠোর অবস্থানে যাবে প্রশাসন। কয়েকদিনের মধ্যেই আমরা হার্ডলাইনে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি।
জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উমর ফারুক বলেন, প্রথমদিকে আমরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা ও সচেতন করেছিলাম। সরকার ও স্বাস্থ্য বিভাগ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা, মাস্ক পরাসহ নানা নির্দেশনা দিয়েছে। সরকারের এসব নির্দেশনা প্রতিপালনে মাঠে কাজ করছেন জেলা প্রশাসন। সরকারের নির্দেশনা পেলে আগের মতো হার্ডলাইনে যাবে প্রশাসন।
ভোরের পাতা/এএম
নতুন বছরে আমরা বাংলাদেশের সমৃদ্ধির আরও পরিবর্তন দেখতে চাই: অধ্যাপক ড. ফারুক মির্জা
এ বছরে শিক্ষা ও গবেষণায় গুরুত্ব বাড়াতে হবে: অধ্যাপক ড. জাকারিয়া মিয়া
২০২২ সালে বাংলাদেশে আরও নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হবে: ড. মো. হারুন-উর-রশিদ আসকারী
৫৪ বছর বয়সে এসএসসি পাস
অবশেষে মৃত্যুর কাছে হেরে গেলেন সেই এএসআই
বাংলাদেশের নির্বাচনী ব্যবস্থাপনা, গণতন্ত্র ও নির্বাচন
