হোটেল স্টার প্যাসিফিক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, প্রবাসীরা হোটেলে ফেরার পর জানিয়েছেন চুল কাটতে তারা বের হয়েছিলেন।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মেজবাহ উদ্দিন জানান, গত ২২ মার্চ তারা লন্ডন হতে আগত ১৪০ জন যাত্রীর মধ্যে এই দুজনও দেশে আসেন। এরপর থেকে তারা দুজন সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী ৭ দিনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনের জন্য দরগাহ গেইটস্থ হোটেল স্টার প্যাসিফিক'র ৭০৩ ও ৭০৪ নং কক্ষে অবস্থান করছিলেন।
২৯ মার্চ ৭ দিন কোয়ারেন্টাইন অতিবাহিত হওয়ায় করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা প্রদান করেন। কিন্তু মঙ্গলবার করোনা পরীক্ষার ফলাফল আসার আগেই দুপুর ১২ টার দিকে দুজনই কোয়ারেন্টাইন নিয়ম ভঙ্গ করে জোরপূর্বক হোটেল থেকে বের হয়ে যান। তাদের সাথে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তা সম্ভব হয়নি। এরপর সন্ধ্যা ৬টার দিকে দুজন হোটেলে ফিরে আসেন।
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) বিএম আশরাফ উল্যাহ তাহের জানান, ঘটনার খবর পেয়ে কোতোয়ালি থানা পুলিশ এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মেজবাহ উদ্দিন হোটেল স্টার প্যাসিফিকে যান। ঘটনার সত্যতা পেয়ে তাদেরকে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড এবং ৭ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদানের পাশাপাশি অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও ৭ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মেজবাহ উদ্দিন।
অর্থদণ্ড আদায় পরবর্তী তাদেরকে রাত ১০টার দিকে সিলেট জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
ভোরের পাতা/কে