শুক্রবার ২২ নভেম্বর ২০২৪ ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

শিরোনাম: বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশকে সুইজারল্যান্ড বানানোর স্বপ্ন দেখেছিলেন: তাজুল ইসলাম   ইংরেজি নববর্ষে প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা   করোনায় মৃত্যু কমেছে, শনাক্ত বেড়েছে    আরও ৩ জনের ওমিক্রন শনাক্ত   শপথ নিলেন নতুন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী   বাস সরাতে গিয়ে দুই মৃত্যু: সেই পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা   আন্দোলনের বিকল্প নেই, ফয়সালা রাজপথেই হবে: ফখরুল   
https://www.dailyvorerpata.com/ad/Inner Body.gif
পোশাক খাতের সমৃদ্ধি ও উন্নয়ন সম্মিলিত পরিষদের মূলমন্ত্র : ফারুক হাসান
উৎপল দাস
প্রকাশ: বুধবার, ৩১ মার্চ, ২০২১, ১২:০০ এএম | প্রিন্ট সংস্করণ

ফারুক হাসান, বাংলাদেশের পোশাক খাতের একজন সফল উদ্যোক্তার নাম। প্রায় ৩ দশকের বেশি সময় ধরে নিরবচ্ছিন্নভাবে জায়ান্ট গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফারুক হাসান কাজ করে যাচ্ছেন। এবার তিনি তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর নেতৃত্ব নির্বাচনে সম্মিলিত পরিষদের প্যানেল লিডার হিসেবে ভোটে অংশ নিচ্ছেন। দীর্ঘ ৮ বছর পর আগামী ৪ এপ্রিল প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ভোট হবে বলেই আশা প্রকাশ করেছেন তিনি।


সংগঠনটির ঢাকা ও চট্টগ্রামে ৩৫টি পরিচালক পদে সম্মিলিত পরিষদ ও ফোরামের হয়ে লড়ছেন ৭০ জন প্রার্থী। নানাভাবে ভোটারদের আকৃষ্ট করার চেষ্টা করছেন প্রার্থীরা। প্রচার-প্রচারণার ব্যস্ততার ফাঁকে এবং মাস তিনেক আগে করোনাকালীন সময়ে নির্বাচনসহ তৈরি পোশাকশিল্পের নানা বিষয় নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করেছেন ভোরের পাতার সাথে।

আলাপচারিতার শুরুতেই করোনাকালীন সংকটে দেশের পোশাক খাত কিভাবে ঠিকভাবে চলেছে, এমন প্রশ্নের জবাবে ফারুক হাসান সরাসরি বলেন, গত বছরের ৮ মার্চ থেকে করোনা সংক্রমিত হলে সরকারি নির্দেশ মেনেই পোশাক কারখানাগুলো জীবন ও জীবিকা যেন একসাথে চলতে পারে সেদিকে খেয়াল রেখেই কাজ করেছে মালিকপক্ষ। এক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী সিদ্ধান্তের কারণেই পোশাক খাতে তেমন কোনো বিপর্যয় ঘটেনি বলেও মনে করেন ফারুক হাসান।

তিনি আরো বলেন, সম্মিলিত পরিষদের গত পর্ষদ ২০১৯ সালে যখন দায়িত্ব হস্তান্তর করে তখন তৈরি পোশাকের রফতানি ছিল ৩ হাজার ৪১৩ কোটি ডলার। গত অর্থবছর সেটি কমে ২ হাজার ৭৯৪ কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে। ফলে ভোটাররা ভোট দিয়ে দায়িত্ব পালনের সুযোগ দিলে হারানো রফতানি আয় ফেরানোই হবে সম্মিলিত পরিষদের প্রথম কাজ। তা ছাড়া পোশাক খাতের ভাবমূর্তি ইতিবাচক করতে কার্যকর উদ্যোগ নিতে চাই।

বর্তমানে আন্তর্জাতিক বাজারে সুতা ও কাপড়ের বাজার অস্থির। সুতা ও কাপড়ের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির কারণে কারখানা মালিকরা ক্রয়াদেশ নিয়েও কাজ করতে পারছেন না। এই জায়গাতেও আমরা কাজ করব। দুনিয়াজুড়ে কৃত্রিম তন্তুর পোশাকের চাহিদা বাড়ছে। এসব পোশাকের রফতানি আয় বাড়াতে নীতিসহায়তা আদায়েও বিশেষ জোর দেব। গতানুগতিক নগদ সহায়তায় রফতানি বৃদ্ধি পায় না। কিন্তু কৃত্রিম তন্তুর পোশাক রফতানিতে ১০ শতাংশ সহায়তা দেওয়া হলে দেশ ব্যাপকভাবে লাভবান হবে। মোদ্দাকথা পোশাক খাতের উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির ধারা অব্যাহত রাখাটাই সম্মিলিত পরিষদের মূলমন্ত্র বলেও দাবি করেন সফল ব্যবসায়ী ফারুক হাসান।

বিশেষ কোনো পরিকল্পনার কথা জানতে চাইলে ফারুক হাসান খুব দৃঢ়তা নিয়ে বলেন, আমি দীর্ঘ সময় ধরে বিজিএমই’র সঙ্গে কাজ করছি। এছাড়া আমার বন্ধুবর কয়েকটি দেশের রাষ্ট্রদূত এবং হাইকমিশনার রয়েছে। তাদের সাথে আমার যোগাযোগ খুবই ভালো। তাদের মাধ্যমে বিভিন্ন দেশে কূটনৈতিক তৎপরতার মাধ্যমে আলাদা সেল গঠন করে বাজার সম্প্রসারণের কাজটি খুব সুচারুভাবে করা হবে। এটা আমরা অতীতেও করেছি এবং ভবিষ্যতেও করবো, ইনশাআল্লাহ।

সম্মিলিত পরিষদের প্যানেল কেমন হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে ফারুক হাসান বলেন, আমরা প্রথম থেকেই প্যানেলে তৈরি পোশাকের ব্যবসায় সফল, অভিজ্ঞ ও তারুণ্যের একটি সমন্বয় করতে চেয়েছি। শেষ পর্যন্ত আমাদের প্যানেলে কয়েকজন আছেন যাঁরা ব্যবসার পাশাপাশি ২০-২৫ বছর ধরে বিজিএমইএর সঙ্গে কাজে অভিজ্ঞ। তাঁরা নীতিসহায়তাসহ বিভিন্ন স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে সরকারের সঙ্গে আলোচনায় দক্ষ। প্যানেলে বেশ কয়েকজন সফল ব্যবসায়ীকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তাঁরা এতদিন নিজেদের ব্যবসা নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন। ব্যবসা থেকে অনেক কিছু পেয়েছেনও। মানুষজন তাদের চেনেন। আগামী দিনে তাঁরা বিজিএমইএতে সময় দেওয়ার প্রতিজ্ঞা করেছেন। এ ছাড়া প্যানেলে উচ্চশিক্ষিত নবীন ও দ্বিতীয় প্রজন্মের ব্যবসায়ী আছেন কয়েকজন। তাঁরা ইতোমধ্যে ব্যবসায় ভালো করছেন।

নির্বাচনে জয়ের ব্যাপারে শতভাগ প্রত্যয়ী ফারুক হাসান বলেন, আমাদের সম্মিলিত পরিষদ অতীতেও পোশাক খাতের নেতৃত্ব দিয়েছে খুব প্রশংসনীয়ভাবে। আমরা টিমওয়ার্কে বিশ্বাসী। আমাদের দলে অভিজ্ঞ ও তরুণদের মিশেল আছে। এই প্যানেলে সবাই যোগ্যতার নিরিখেই এসেছে। ইতোমধ্যেই ঢাকা ও চট্টগ্রামের ভোটারদের কাছ থেকে ইতিবাচক সাড়া পাওয়া গেছে।

আগামী দুই বছরের জন্য সম্মিলিত পরিষদকেই বিজিএমই’র সেবা করার সুযোগ পাবে সম্মিলিত পরিষদ এমনটাই মনে করি। পুরো প্যানেলের জয় নিয়েই সেবার মানসিকতা ধরে রাখার প্রত্যয়ও ব্যক্ত করেছেন তিনি। নির্বাচিত হলে সম্মিলিত পরিষদের সকল পরিচালক পোশাক মালিক এবং শ্রমিকদের কাছে দায়বদ্ধ থাকবে বলেও জানান ফারুক হাসান। অনেকেই অতীতে নির্বাচিত হওয়ার পর নিষ্ক্রিয় ভূমিকা পালন করলেও এবার সেই সুযোগ থাকবে না। যদি কেউ নিষ্ক্রিয় ভূমিকা পালন করেন, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলেছেন তিনি। নির্বাচনে ইশতেহারে ৮১টি প্রতিশ্রুতি বিজয়ী হলে সেগুলো বাস্তবায়নে দুই বছর সময় পাবেন।

এই অল্প সময়ে কাজগুলো শেষ করা কি সম্ভব?
এমন প্রশ্নের জবাবে ফারুক হাসান বলেন, সময় কম হলেও আমাদের তরুণ তুর্কী এবং অভিজ্ঞরা সেগুলো বাস্তবায়ন করতে পারবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন ফারুক হাসান। এছাড়া বর্তমান পর্ষদের কাজগুলোকেও আমরা এগিয়ে নেব। ভোটের পরিবেশ নিয়ে নানামুখী প্রশ্ন তুলেছেন প্রতিদ্বন্দ্বী ফোরামের নেতারা।

এ বিষয়ে ফারুক হাসান বলেন, আমরা আশাবাদী ভোটের পরিবেশ ঠিক থাকবে। উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট হবে। ভোটে যে দল জিততে তারাই আগামী দিনে বিজিএমই পরিচালনা করবেন। এক্ষেত্রে ভোটের ফলাফল মেনে নেওয়ার মানসিকতা সম্মিলিত পরিষদের রয়েছে বলেও দাবি করেন ফারুক হাসান।



« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
http://www.dailyvorerpata.com/ad/Vorer-pata-23-12-23.gif
http://www.dailyvorerpata.com/ad/bb.jpg
http://www.dailyvorerpata.com/ad/Screenshot_1.jpg
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ


সম্পাদক ও প্রকাশক: ড. কাজী এরতেজা হাসান
সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
সাউথ ওয়েস্টার্ন মিডিয়া গ্রুপ


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৯৩ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫।
ফোন:৮৮-০২-৪১০১০০৮৭, ৪১০১০০৮৬, বিজ্ঞাপন বিভাগ: ৪১০১০০৮৪, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৪১০১০০৮৫
অনলাইন ইমেইল: [email protected] বার্তা ইমেইল:[email protected] বিজ্ঞাপন ইমেইল:[email protected]