নতুন প্রজন্মরাই এই উগ্রবাদি পরাশক্তিকে প্রতিহত করবে: মে. জে. (অব.) এ কে মোহাম্মদ আলী শিকদার
প্রকাশ: মঙ্গলবার, ৩০ মার্চ, ২০২১, ১০:১৮ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
বঙ্গবন্ধু ও জননেত্রী একটি নাম হয়ে গেছে আজ এবং এই দুটি নামকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশ জেগে উঠেছে। বাঙালি জাতির সৌভাগ্য যে শেখ মুজিবুর রহমানের মতো একজন অসাধারণ নেতা পেয়েছিল। বঙ্গবন্ধুর কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পরিচালিত হওয়ায় বাংলাদেশ আজ বিশ্ব অঙ্গনে বিশেষ মর্যাদায় অধিষ্ঠিত হয়েছে।
দৈনিক ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপের ২৯৪তম পর্বে সোমবার আলোচক হিসাবে উপস্থিত হয়ে এসব কথা বলেন- পিএসসি, নিরাপত্তা বিশ্লেষক, গবেষক ও লেখক মেজর জেনারেল (অব.) এ কে মোহাম্মদ আলী শিকদার, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার ড. তুরিন আফরোজ, লন্ডন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক, বহির্বিশ্বে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য প্রতিষ্ঠাতা আফছার খান সাদেক। দৈনিক ভোরের পাতা সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের পরিকল্পনা ও নির্দেশনায় অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সাবেক তথ্য সচিব নাসির উদ্দিন আহমেদ।
মেজর জেনারেল (অব.) এ কে মোহাম্মদ আলী শিকদার বলেন, আজকে ভোরের পাতা সংলাপে যে বিষয় নির্ধারণ করা হয়েছে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী :বঙ্গবন্ধু থেকে জননেত্রী; এটি অনেক প্রাসঙ্গিক বিষয়। আজ বঙ্গবন্ধু ও জননেত্রী একটি নাম হয়ে গিয়েছে এবং এই দুটি নামকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশ জেগে উঠেছে। বঙ্গবন্ধুর কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ পরিচালিত হচ্ছে এবং আজ এটি বিশ্বের অঙ্গনে বিশেষ মর্যাদায় অধিষ্ঠিত হয়েছে। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের উৎসবমুখর পরিবেশ রিরাজ করছে বাংলাদেশ। এই উৎসব আনন্দে চলতি মাসের ১৭ থেকে ২৬ তারিখ পর্যন্ত বাংলাদেশে সুবর্ণজয়ন্তী এবং বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বছর উদযাপন উপলক্ষে যে রাষ্ট্রীয় কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছিল এতে দক্ষিণ এশিয়ার বন্ধুপ্রতিম পাঁচটি দেশের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানরা উপস্থিত ছিলেন। কোভিড-১৯ এর কারণে সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধান উপস্থিত হতে না পারলেও ভিডিও বার্তার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভূমিকা, বাংলাদেশ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা এবং গত ৫০ বছরে বাংলাদেশ যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ থেকে স্বল্পোন্নত এবং স্বল্পোন্নত দেশ থেকে মধ্যম আয়ের তথা উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ার চূড়ান্ত অনুমোদন লাভ করেছে; এর ভূয়সী প্রশংসা করেছে তারা। শেখ হাসিনা শুধু দক্ষিণ এশিয়াই নয়, অন্যান্য দেশের রাষ্ট্র ও সরকারগুলোর সঙ্গে যে বন্ধুত্বপূর্ণ এবং পারস্পরিক সম্পর্ক বৃদ্ধি করতে পেরেছিলেন এবং সেটি তাদের সরকার প্রধানের প্রেরিত বার্তায়ও প্রতিফলিত হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর যে নাম এখন ঘরে ঘরে পৌঁছে গিয়েছে এটা কিন্তু এমনি এমনি হয়নি। বঙ্গবন্ধুর রাজনীতি জীবন শুরু সেই ছাত্র জীবন থেকেই। তার মৃত্যু পর্যন্ত তিনি কখনো কোনও জায়গায় বাংলাদেশের মানুষের স্বার্থে বিন্দুমাত্র আপোস প্রকাশ করেননি। স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় ১৯৪৭ সাল থেকে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ পর্যন্ত রয়েছে নানা অধ্যায় ও ঘটনা। এর পরতে পরতে রয়েছে সংগ্রামের ইতিহাস। এই ইতিহাস সাক্ষী দেয় যে, বাংলাদেশকে স্বাধীন করাই ছিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের রাজনীতির মূল লক্ষ্য। আজ বাংলাদেশ ভূ-রাজনৈতিকভাবে পৃথিবীর অন্যান্য রাষ্ট্রের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এছাড়া অর্থনৈতিক যোগাযোগ বৃদ্ধির জন্যও বাংলাদেশ এখন দক্ষিণ এশিয়ার রাষ্ট্রগুলোর কাছে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। বাংলাদেশের এই সক্ষমতা সাম্প্রতিক বছরগুলোর অর্জন হিসেবেই বিবেচনা করা যেতে পারে। সারা বিশ্বের রাষ্ট্র নায়করা যখন বাংলাদেশের সার্বিক অগ্রগতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুসরণীয় নেতৃত্বের প্রশংসায় পঞ্চমুখ, তখন স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধবিরোধী চক্র আমাদের অর্জিত গৌরবকে ধূলিসাৎ করার নীল নকশা বাস্তবায়নে তৎপর। নতুন প্রজন্মের লোকেরা এই পরাশক্তিদের অপতপরতার অভিসন্ধি ঠিকই ধরতে পেরেছে এবং এই অপশক্তি যেভাবে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পরাজিত হয়েছিল ঠিক একইভাবে তারা এবারও পরাজিত হবে।