বর্তমানে প্রত্যেকদিন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সুখী দম্পতিদের হাজারো ঘুরে বেড়ায় তবে তাদের মাঝে কয়জন প্রকৃতপক্ষে সুখী?
প্রকৃতপক্ষে কোন দম্পতি সুখী তার খোঁজ মিলেছে সম্পর্কবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটের গবেষণায়।গবেষণায় দেখা যায়, সে সকল দম্পতি সুখী, নেট দুনিয়ায় তাদের বিচরণ ও কার্যক্রম কম। গবেষকরা কয়েকটি যুক্তিও দিয়েছেন তাদের ফলাফলের পক্ষে।
প্রমাণ করার দরকার নেই
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সুখী সংসারের ছবি দেয়ার মানে আপনি বোঝাতে চান আপনি কতটা সুখী। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে যারা সুখী তাদের নেট দুনিয়ায় প্রমাণ করার কোনো দরকার নেই তারা কতটা সুখী। তাই তারা নেট দুনিয়ায় নিজেদের ছবি কমই দিয়ে থাকেন।
আত্ম-মগ্নতা
যে সকল মানুষ নিজেদের সকল প্রাত্যহিক জীবনের সকল কার্যক্রম অতিমাত্রায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করেন তারা আত্মমগ্নতা বা "নার্সিজম" এ ভুগছেন বলে জানিয়েছেন গবেষকেরা। গবেষকেরা জানিয়েছেন, এ ধরনের ব্যক্তিরা অন্যের কাছ থেকে নিজের প্রশংসা শুনতে চায়, অন্যরা তাদের নিয়ে কতটা আগ্রহী সেটা দেখিতে চায়, একই সাথে নিজেদের অনুসারী তৈরি করতে হয়। তারা বাস্তব জীবনে একাকী ও নিঃসঙ্গ। এ ধরনের মানুষের বাস্তব জীবন নেট দুনিয়ার থেকে পুরোপুরি উলটো থাকে বলেই তারা আত্মমগ্নতায় ভোগে।অপরদিকে যে সকল দম্পতি একে অপরকে সময় দেয়, একে অন্যের প্রতি ভালোবাসা ও প্রশংসার প্রকাশ করে থাকেন তাদের অন্য কারও কাছ থেকে প্রশংসার প্রয়োজন হয় না। এজন্যই তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দাম্পত্যের ছবি কম প্রকাশ করেন।
প্রতিটি মূহুর্ত একত্রে উপভোগ করা
যে সকল দম্পতি নিজেদের প্রতি মুহুর্ত একসাথে কাটায় ও উপভোগ করে। তাদের আলাদাভাবে নেট দুনিয়ায় মুহুর্তগুলোকে প্রকাশ করার প্রয়োজন পরে না। কারণ তাদের কাছে ছবির তুলনায় সামনের মানুষটিই বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
অপরদিকে বেশি বেশি ছবি দিয়ে একত্রে সময় কাটাচ্ছেন মনে করা দম্পতিরাই বাস্তবে একে অপরের থেকে কখন দূড়ে সরে গেছেন তা নিজেরাও জানেন না।
প্রতিযোগিতা নয়
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম কোনো প্রতিযোগিতার মাঠ নয় যে এখানে কে কতটা সুখী, কার জীবন কতটা আরামের তা ছবি দিয়ে প্রমাণ করতে হবে। অনেকেই মনে করেন যদি আমি ছবি না দেই তবে অন্যরা ভাববে আমি সুখী নই। যা একদমই ভুল ধারণা।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম নিশ্চয়তা দেয় না
নেট দুনিয়ায় ছবি দিলেই যে দাম্পত্য সুখের হবে তার কিন্তু কোনও নিশ্চয়তা নেই। কিন্তু আপনার সঙ্গীকে সময় দেওয়া, তার যত্ন নেওয়া, ছোট খাট বিষয় নিয়ে গল্প করার মধ্যে অবশ্যই সুখী দাম্পত্যের চাবিকাঠি লুকানো রয়েছে।
তাই প্রিয়জনের সাথে যথেষ্ট সময় কাটান, তাদের মনের কথাগুলো বোঝার চেষ্টা করুন আর নেট দুনিয়া থেকে একটু দূড়ে থাকুন।
ভোরের পাতা/কে