বঙ্গবন্ধুর দেখানো পথ ধরেই বর্তমান সরকার উন্নয়ন কর্মকাণ্ড করে যাচ্ছে: ডা. মামুন আল মাহতাব
প্রকাশ: সোমবার, ২৯ মার্চ, ২০২১, ৯:৩৯ পিএম আপডেট: ২৯.০৩.২০২১ ১০:০৭ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
আমাদের বর্তমান যে উন্নয়নের অর্জন আছে সেগুলোতে অবশ্যই বলিষ্ঠ নেতৃত্বের প্রভাব আছে এবং সেই বলিষ্ঠ নেতৃত্ব দিচ্ছেন আমাদের জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা। আমাদের এই সময়ে যে উন্নতি গুলো হচ্ছে সে জায়গা থেকে আমাদের মনোজাগতিকভাবেও আরও উন্নত হতে হবে। বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করছেন এবং বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বাংলাদেশকে পরিচালিত করছেন বলেই সর্বক্ষেত্রে বাংলাদেশ উন্নতি করছে। কোনো অপশক্তি, কোনো ধর্মীয় মতবাদের লোকেরাই এই উন্নয়নকে কোনোভাবেই ম্লান করতে পারবে না।
দৈনিক ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপের ২৯৩তম পর্বে সোমবার (২৯ মার্চ) আলোচক হিসাবে উপস্থিত হয়ে এসব কথা বলেন-যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাজিদুর রহমান ফারুক, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় লিভার বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল, যুক্তরাজ্য প্রবাসী বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল জাব্বার খান (পিনু), ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক, খ্রিষ্টান এসোসিয়েশন বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক উইলিয়াম প্রলয় সমদ্দার। দৈনিক ভোরের পাতা সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের পরিকল্পনা ও নির্দেশনায় অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সাবেক তথ্য সচিব নাসির উদ্দিন আহমেদ।
অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল বলেন, বঙ্গবন্ধুর সময়ে স্বাধীন বাংলাদেশের যে অর্থনৈতিক অগ্রগতি হচ্ছিল এর অন্যতম উদ্দেশ্য ছিল আমাদের অর্থনৈতিক মুক্তি রাজনৈতিক মুক্তি যেটা থমকে গিয়েছিল '৭৫ এর ১৫ই আগস্টে। ৭৫ এর ১৫ই আগস্টে বাংলাদেশকে শুধু চেতনার জায়গা থেকে বা মানসিক জায়গা থেকে গলা টিপে হত্যা করার চেষ্টা হয়নি, বাংলাদেশকে অর্থনৈতিকভাবে হত্যা করার চেষ্টাও হয়েছিল। এটার উত্তরণ আবার হয়েছিল যখন জননেত্রী শেখ হাসিনা আবার দেশে ফিরে এটার হাল ধরেছিলেন। এটি এমন একটি বিস্তৃতি বিষয় যে, বঙ্গবন্ধুর দেখানো পথ ধরেই বর্তমান সরকার যে উন্নয়ন কাজ করে যাচ্ছে এই নিয়ে দিনের পর দিন বিস্তর আলোচনা করা যেতে পারে। তাই আমি একটু সাম্প্রতিক বিষয় নিয়ে একটু অন্যভাবে আলোচনা করতে যাচ্ছি। স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী: বঙ্গবন্ধু থেকে জননেত্রী, এই বিষয়ে কথা বলতে গেলে আমি বলতে চাই এখন পর্যন্ত আমরা অনেক জায়গা থেকে মুক্তি হতে পেরেছি কিন্তু আদৌ কি আমরা চেতনার জায়গা থেকে মুক্তি হতে পেরেছি। আমাদের মানসিক চেতনাগত মুক্তি হতে পারেনি সেটা কিন্তু গত কয়েকদিনের ঘটনা প্রবাহ দেখলে বিষয়টা পরিষ্কার হয়ে যাবে। কারণটাও আমরা জানি, ৭৫ এর পর থেকে আমরা অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়েছি তা কিন্তু নয়। আমাদের ভুল ইতিহাস শিখানো হয়েছ, আমাদের ভুলটা চর্চা করা হয়েছে। এই যে জিনিষগুলো হচ্ছে সেই জায়গাটাই আমাদের নজর দিতে হবে। গত ডিসেম্বরে তারা বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য বুড়িগঙ্গায় ফেলে দেয়ার হুমকিও দিয়েছিল, কিছুদিন আগে মামুনুল হকের এক বক্তব্যকে কেন্দ্র করে সুনামগঞ্জের শাল্লায় সাম্প্রদায়িক হামলায় বিরানভূমিতে পরিণত হয়েছে একটি গ্রাম। সেখানে প্রশাসন এগিয়ে আসলো, ৪০-৫০ জনকে গ্রেফতার করা হলো। আমরা মনে করলাম তারা হয়তো পিছপা হয়েছে কিন্তু না, দিনের পর দিন প্রকাশ্যে এই জঙ্গিবাদের চর্চা হচ্ছে এখনো চলছে। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী এবং বাংলাদেশের সুবর্ণজয়ন্তীর আয়োজনে আরও অনেকের মতো আমন্ত্রিত হয়ে এসেছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি । ভারতের প্রধানমন্ত্রীর এই সফরকে কেন্দ্র আবারও মাঠে নামে উগ্র ধর্মান্ধরা। আমাদের এই সময়ে যে উন্নতি গুলো হচ্ছে সে জায়গা থেকে আমাদের মনোজাগতিকভাবেও আরও উন্নত হতে হবে।