হরতাল বিরোধী সমাবেশে বক্তব্য দেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার এমপি।
হেফাজতে ইসলামের ডাকা হরতালের প্রভাব পড়েনি কুমিল্লার কোথাও। এমনকি কুমিল্লার হেফাজত নেতাদের চেহারাও দেখা মেলেনি হরতালের দিন।
রবিবার (২৮) মার্চ হেফাজতে ইসলাম সারাদেশে হরতালের ডাক দিলেও কুমিল্লার জনগণ এ হরতালে সাড়া দেয়নি। তবে বিগত দিনে হরতাল বিরোধীদের প্রতিহত করতে যেভাবে মাঠে থাকতেন কুমিল্লার গণমানুষের নেতা হাজী আ.ক.ম বাহাউদ্দিন বাহার ঠিক এমনিভাবেই রবিবার হেফাজতের ডাকা হরতালের দিন কুমিল্লার রাজপথে নেমে স্বাধীনতা বিরোধী মৌলবাদীদের প্রতিহত করার ডাক দেন তিনি।
হরতালের প্রতিবাদে কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগ,আদর্শ সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ সহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলো এমপি বাহারের ডাকে কুমিল্লার রাজপথে নেমে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে জানান দিয়েছে কুমিল্লার মাটিতে স্বাধীনতা বিরোধী মৌলবাদদের স্থান কোনদিন হবেও না।
রবিবার কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত সমাবেশে কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আ.ক.ম বাহাউদ্দিন বাহার এমপি বলেন, ‘স্বাধীনতাবিরোধী সা¤প্রদায়িক গোষ্ঠী গত ৫০ বছরেও এ দেশের স্বাধীনতাকে মেনে নিতে পারেনি। তাই তারা স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে দেশের ভাবমূর্তি নসাৎ করার অপচেষ্টা চালিয়েছে। তারা দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে হরতালের ডাক দিয়েছে। তাদের এ আস্ফালন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে নয়, দেশের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে।
তিনি আরও বলেন, এদের পূর্বপুরুষরা ১৯৭১ সালেই প্রতিজ্ঞাবদ্ধ ছিল পাকিস্তানকে রক্ষা করার জন্য। বাংলার মুক্তিকামী আপামর জনতার জোয়ারে ওরা সেদিন ভেসে গিয়েছিল, তবে নিঃশেষিত হয়নি। স্বাধীনতা বিরোধী শক্তির সাথে কোন আপোষ নেই। কুমিল্লার মাটিতে মৌলবাদী গোষ্ঠীর স্থান হবে না। রাজনৈতিকভাবে তাদেরকে প্রতিহত করা হবে। দেশের অগ্রগতিকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য নানা ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। তা করতে দেওয়া হবে না। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর দিন পরিকল্পিতভাবে ঘটনা ঘটানো হয়েছে। হরতালকে কেন্দ্র করে দেশে আবারও যাতে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা তৈরি করতে না পারে, সে ব্যাপারে কুমিল্লা আওয়ামী লীগ কঠোর অবস্থানে থাকবে।’
এদিকে হেফাজতে ইসলামের ডাকা হরতালের প্রতিবাদে রবিবার সকাল থেকে নগরীর কান্দিরপাড় দলীয় কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেয় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা। বেলা ১১টার দিকে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা হরতাল বিরোধী বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে নগরীর প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে।
মিছিলের নেতৃত্ব দেন মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক আরফানুল হক রিফাত,যুগ্ম সাধারন সম্পাদক আবিদুর রহমান জাহাঙ্গীর, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মো.আমিনুল ইসলাম টুটুল, মহানগর যুবলীগের আহবায়ক ও জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল মাহমুদ সহিদ, মহানগর কৃষকলীগের আহবায়ক খোরশেদ আলম, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি জহিরুল ইসলাম রিন্টু, সাধারন সম্পাদক সাদেকুর রহমান পিয়াস,মহানগর ছাত্রলীগের আহবায়ক আবদুল আজিজ শিয়ানুক প্রমুখ।
নতুন বছরে আমরা বাংলাদেশের সমৃদ্ধির আরও পরিবর্তন দেখতে চাই: অধ্যাপক ড. ফারুক মির্জা
এ বছরে শিক্ষা ও গবেষণায় গুরুত্ব বাড়াতে হবে: অধ্যাপক ড. জাকারিয়া মিয়া
২০২২ সালে বাংলাদেশে আরও নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হবে: ড. মো. হারুন-উর-রশিদ আসকারী
৫৪ বছর বয়সে এসএসসি পাস
অবশেষে মৃত্যুর কাছে হেরে গেলেন সেই এএসআই
বাংলাদেশের নির্বাচনী ব্যবস্থাপনা, গণতন্ত্র ও নির্বাচন
