শনিবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪ ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

শিরোনাম: বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশকে সুইজারল্যান্ড বানানোর স্বপ্ন দেখেছিলেন: তাজুল ইসলাম   ইংরেজি নববর্ষে প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা   করোনায় মৃত্যু কমেছে, শনাক্ত বেড়েছে    আরও ৩ জনের ওমিক্রন শনাক্ত   শপথ নিলেন নতুন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী   বাস সরাতে গিয়ে দুই মৃত্যু: সেই পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা   আন্দোলনের বিকল্প নেই, ফয়সালা রাজপথেই হবে: ফখরুল   
https://www.dailyvorerpata.com/ad/Inner Body.gif
খাঁ খাঁ বইমেলা, নেই ক্রেতা-দর্শনার্থী
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: সোমবার, ২৯ মার্চ, ২০২১, ১২:০০ এএম আপডেট: ২৯.০৩.২০২১ ২:৫১ এএম | প্রিন্ট সংস্করণ

ক্রেতা-দর্শনার্থীদের খরা দেখা দিয়েছে বইমেলায়। পরিস্থিতি এমন দাঁড়িয়েছে যে, ক্রেতা-দর্শনার্থীর অভাবে বইমেলা খাঁ খাঁ করছে।

গতকাল রোববার হেফাজতে ইসলামের দেশব্যাপী হরতালের কারণেই এমন জনশূন্য বইমেলা দেখতে হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রকাশক ও সংশ্লিষ্টরা।

এ কারণে মেলায় অংশ নেওয়া স্টলের বিক্রয়কর্মীরা অলস সময় পার করছেন। একে অন্যের সঙ্গে খোশগল্প করে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সময় কাটাতে হচ্ছে তাদের। বইয়ের বিক্রি নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন প্রতিটি স্টলের কর্মীরা। তাদের দাবি, মেলা একাদশতম দিনে পা রাখলেও বিক্রি পরিস্থিতির কোনো উন্নতি হয়নি। পরিস্থিতি এমন দাঁড়িয়েছে যে, এবার স্টলের খরচ তোলায় অংশগ্রহণকারীদের জন্য দুরূহ হয়ে দাঁড়াবে।

রোববার বিকাল থেকে রাত পর্যন্ত সরেজমিন বইমেলা প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখা যায়, হাতেগোনা কয়েকজন দর্শনার্থী মেলা প্রাঙ্গণে প্রবেশ করেছেন। ফলে মেলার গেটে দায়িত্বরত নিরাপত্তাকর্মীরাও অলস সময় পার করছেন। মেলায় অংশ নেওয়া স্টলগুলোতে যে পরিমাণ কর্মীরা দায়িত্ব পালন করছেন, তার সমপরিমাণ দর্শনার্থীও মেলায় প্রবেশ করেননি।

মেলার এ চিত্র সম্পর্কে আনন্দমের স্টলের লিমন বলেন, এবারের মেলার বিক্রি পরিস্থিতি খুবই খারাপ। দর্শনার্থীই আসছে না, তাহলে বিক্রি হবে কিভাবে! গতবছর মেলার প্রথম আটদিনে যে পরিমাণ বিক্রি হয়েছিল, এবার তার দশভাগের একভাগও হয়নি। তিনি বলেন, ক্রেতা-দর্শনার্থীর সংখ্যা তুলনামূলক অনেক কম। তারপরও প্রথম শুক্রবার কিছু ক্রেতা-দর্শনার্থী ছিল। কিন্তু এই শুক্রবারেও তার অর্ধেকও আসেনি। আজও কেউ নেই। এর কারণ হতে পারে আজ হরতালের কারণে গণপরিবহন কম চলছে। মানুষ খুব প্রয়োজন না হলে বের হচ্ছে না।

তিনি আরও বলেন, আমি অনেক বছর ধরে বইমেলায় অংশগ্রহণ করছি। এর আগে কখনো বিক্রি পরিস্থিতি এতো খারাপ ছিল না। বিক্রি খারাপ হওয়ার পেছনে করোনা ভাইরাসের প্রভাব যেমন আছে, তেমন মেলা পেছানোও নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। ফেব্রুয়ারিতে বইমেলা হলে বিক্রি পরিস্থিতি এর থেকে ভালো হতো বলে আমাদের ধারণা।

গ্রন্থিক প্রকাশনের বিক্রয়কর্মী বলেন, ‘গত দিনগুলোর তুলনায় আজ মেলায় দর্শনার্থী নাই বললেই চলে। ঢাকায় আজ গন্ডগোল হতে পারে এমন আশঙ্কা করছেন অনেকে। তাছাড়া সার্বিকভাবেও এবারের মেলার পরিস্থিতি ভালো না। আমরা গত বছর প্রথম আট দিনে যে পরিমাণ বিক্রি করেছি, এবার তার পাঁচভাগের একভাগ হয়েছে।’

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের উত্তর-পশ্চিম দিকে বইয়ের স্টলে বসা আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘আমি ১২ বছর ধরে বইমেলায় অংশগ্রহণ করছি, এতো খারাপ পরিস্থিতি আগে কখনো দেখিনি। সকাল ১১টায় মেলার গেট খুলেছি, এখন দুপুর ১টা বেজে গেছে। দুই ঘণ্টায় আমরা মাত্র ৪০ টাকার একটি বই বিক্রি করেছি। শুধু আমাদের না, সবারই একই অবস্থা। প্রতিটি স্টলে তাকিয়ে দেখেন ক্রেতা-দর্শনার্থী নেই। স্টলের লোকজন অলস সময় পার করছে। এমনকি মেলার দর্শনার্থী গুণে দেখেন, স্টলগুলোতে যে পরিমাণ কর্মী আছে দর্শনার্থী তার অর্ধেকও নেই।’ মেলায় পরিবার নিয়ে ঘুরতে আসা তারেক বলেন, মেলার দর্শনার্থীর চিত্র দেখে তিনি হতাশ।

করোনার মধ্যে কম মানুষ আসবে ধারণা করেছিলেন, কিন্তু এতো কম আসবে কল্পনাও করতে পারেননি। মেলায় যে মানুষ দেখছি তার বেশিরভাগই বিভিন্ন স্টলের কর্মী। ধানমন্ডি থেকে বন্ধুদের সঙ্গে মেলায় আসা ইয়াসমিন বলেন, ‘বইমেলায় ঘুরতে এসেছি। পরিকল্পনা ছিল বিকাল পর্যন্ত মেলায় ঘোরাঘুরি করে শেষদিকে দুটি বই কিনে বাসায় ফিরব। কিন্তু মেলায় মানুষ নেই, থাকতে ভালো লাগছে না। আর অল্প কিছু সময় মেলায় থেকে হুমায়ূন আহমেদের দুটি বই কিনে বাসায় চলে যাব।’

গত শনিবার পর্যন্ত ১৭৫টি নতুন বইসহ বইমেলায় গত দশ দিনে মোট বই প্রকাশিত হয়েছে ১ হাজার ২৫৯টি। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য বই হচ্ছে- আগামী প্রকাশনী এনেছে হাসনাত আবদুল হাই ও সিরাজুল ইসলাম মুনির সম্পাদিত ‘বঙ্গবন্ধু শতবর্ষে শতগল্প’, আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী, মোনায়েম সরকার ও সৈয়দ জাহিদ হাসান সম্পাদিত ‘বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন শত প্রবন্ধ’, ময়ূরপঙ্খি এনেছে মঞ্জু সরকারের ‘দাদুর হাতে জাদুর লাঠি’, কথাপ্রকাশ এনেছে মুস্তাফিজ শফি সম্পাদিত ‘ভাষণ অথবা একটি কবিতার গল্প’, হাওলাদার প্রকাশনী এনেছে জিয়া হাশানের ‘সময়ের দূতাবাস’, পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্স এনেছে মোজাফফর হোসেনের ‘মানুষের মাংসের রেস্তোরা’, শিমু গ্রন্থকুটির এনেছে হাবীবুল্লাহ সিরাজীর ‘তিলে নেত্র চারে বেদ’, পাঠক সমাবেশ এনেছে হরিশংকর জলদাসের ‘প্রান্তজনের গল্প’, মূর্ধণ্য থেকে ভূপেন হাজারিকার ‘আমি এক যাযাবর’, সরকার আমিনের ‘মৃদ্যু বেদনার হাসপাতালে’, বিভাস এনেছে খালেক বিন জয়েনউদদীন সম্পাদিত ‘বঙ্গবন্ধু এবং রক্তাক্ত বাংলা-২’, সমগ্র প্রকাশন এনেছে ইমতিয়ার শামীমের ‘ডানাকাটা হিমের ভেতর’ প্রভৃতি।



« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
http://www.dailyvorerpata.com/ad/Vorer-pata-23-12-23.gif
http://www.dailyvorerpata.com/ad/bb.jpg
http://www.dailyvorerpata.com/ad/Screenshot_1.jpg
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ


সম্পাদক ও প্রকাশক: ড. কাজী এরতেজা হাসান
সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
সাউথ ওয়েস্টার্ন মিডিয়া গ্রুপ


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৯৩ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫।
ফোন:৮৮-০২-৪১০১০০৮৭, ৪১০১০০৮৬, বিজ্ঞাপন বিভাগ: ৪১০১০০৮৪, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৪১০১০০৮৫
অনলাইন ইমেইল: [email protected] বার্তা ইমেইল:[email protected] বিজ্ঞাপন ইমেইল:[email protected]