হেফাজতের মহাসচিব বলেন, সোমবার দোয়া মাহফিল ও শুক্রবার (২ এপ্রিল) বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হবে। হেফাজতে ইসলাম মোদির আগমন প্রত্যাহার করার জন্য কর্মসূচি দিয়েছিল। কিন্তু মোদির আগমনের দিন হেফাজতের কোনো কর্মসূচি ছিল না।
গত দুইদিনে হেফাজতের কর্মসূচিতে ১৭ জন নিহত হয়েছে বলে জানান হেফাজতে ইসলামের ঢাকা মহানগরের সাধারণ সম্পাদক মামুনুল হক। তিনি বলেন, আজ আহত প্রায় ৫ শতাধিক, গ্রেফতার দুই শতাধিক। নিহত ৬ জন। এর মধ্যে ঢাকায় ২জন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৪ জন।
আল্লামা নুরুল ইসলাম জেহাদী বলেন, হেলমেট বাহিনী দ্বীনের শত্রু, ইসলামের শত্রু। তারা কেউ হেফাজতের নয়। যারা কালেমা জানে বিশ্বাস করে তারা অন্তত বিজেপিকে ভালোবাসতে পারে না।
এছাড়া কিছু দাবি তুলেছে হেফাজতে ইসলাম। সেগুলো হলো-
সারাদেশে বিভিন্ন স্থানে হেফাজত কর্মীদের ওপর হামলাকারী দোষীদের খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।
আহত ব্যক্তিদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে হবে এবং নিহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
সারাদেশে হেফাজতকর্মী যাদের আটক করা হয়েছে তাদের অনতিবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশে আগমনের বিরুদ্ধে হেফাজতকর্মীদের গত শুক্রবারের (২৬ মার্চ) বিক্ষোভে পুলিশ ও সরকারদলীয় লোকজনের হামলার অভিযোগ তুলে এর প্রতিবাদে রোববার সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডাকে হেফাজতে ইসলাম।
শুক্রবারের ওই বিক্ষোভে হেফাজতের নেতাকর্মীসহ বেশ কয়েকজন নিহত হন। ওই ঘটনার প্রতিবাদে ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ বিভিন্ন জেলায় অনুষ্ঠিত বিক্ষোভে আরও বেশ কয়েকজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এমনকি রোববারের হরতাল কর্মসূচি পালনকালেও প্রাণহানি ঘটেছে।
ভোরের পাতা/কে