শুক্রবার (২৬ মার্চ) রাতে পুরানা পল্টনে এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির আবদুর রব ইউসুফী এ আন্দোলন-কর্মসূচির ঘোষণা দেন।
নায়েবে আমির আবদুর রব বলেন, হেফাজতে ইসলামের আমির জুনায়েদ বাবুনগরীর পক্ষে আমি এ কর্মসূচি ঘোষণা করছি। ঢাকার বায়তুল মোকাররম, চট্টগ্রামের হাটহাজারী, ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ বিভিন্ন স্থানে প্রতিবাদী মুসল্লিদের ওপর পুলিশ ও সরকারদলীয় ক্যাডার বাহিনী হামলা করে পাঁচজনকে শহীদ করেছে। অসংখ্য মুসল্লিকে আহত করেছে ও গ্রেফতার করেছে। এর প্রতিবাদে এ কর্মসূচি দেয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের প্রতিবাদে শুক্রবার দুপুরে হাটহাজারী দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম মাদ্রাসা থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের নেতাকর্মীরা। মিছিল থেকে হঠাৎ হাটহাজারী থানা, ভূমি অফিস, ডাক বাংলোসহ বিভিন্ন সরকারি স্থাপনায় দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর চালান তারা। এ সময় পুলিশের সঙ্গে হেফাজত নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়। পুলিশ গুলি ছুঁড়লে বেশ কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হন। তাদের চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এদিকে এ ঘটনার পর হেফাজত নেতাকর্মীরা মাদ্রাসার সামনে অবস্থান নিয়ে চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি সড়ক অবরোধ করে রেখেছেন। হাটহাজারীতে প্রচুর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়নের পাশাপাশি প্রশাসন ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে অবস্থান করছেন।
ভোরের পাতা/ই