প্রকাশ: মঙ্গলবার, ২৩ মার্চ, ২০২১, ২:৫০ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
ক্যাচ মিসের মহড়ায় নিউজিল্যান্ডের জয়ের রাস্তাটা প্রশস্ত করেছে বাংলাদেশের ক্রিকেটাররাই। আর সেই সুযোগটা লুফে নিতে ভুল করেননি কিউই অধিনায়ক টম লাথাম। জীবন ফিরে পেয়ে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের পঞ্চম সেঞ্চুরি তুলে নেন তিনি। আর তাতেই টানা দ্বিতীয় জয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ নিশ্চিত করেছে স্বাগতিকরা।
নিউজিল্যান্ডের ইনিংসের ৩৪তম ওভারে চতুর্থ উইকেটের বিদায়ের পর ৩৬ থেকে ৩৮ ওভারে বাংলাদেশ অন্তত ৫টি ক্যাচ ছাড়ে। তাসকিনের বলে মুশফিক, তাসকিনের বলে মিঠুন, মেহেদি হাসান নিজের বলে নিজেই (দুবার), তাসকিনের বলে মেহেদি। এমন অনেক সম্ভাবনা জাগলেও লুফে নিতে পারেনি। যেন ক্যাচ মিসের মহড়া হচ্ছিল।
২০১৫ সালের পর থেকে ঘরের মাঠে খেলা ৬৫ ওয়ানডেতে মাত্র ১৪ বার হেরেছে নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট দল। এসময়ের মাঝে নিজেদের মাঠে বাংলদেশের বিপক্ষে ৭টি ওয়ানডে খেলে সবকয়টিই জিতেছে কিউইরা। যা থেকে স্পষ্ট, ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডকে হারানো রীতিমতো হিমালয়ে চড়ার মতোই। আর সেই কঠিন কার্য সম্পাদনের সুযোগ প্রতিনিয়ত আসে না যেকোনো দলের সামনে। কিন্তু আজ যখন এলো এই সুযোগ, তখন সেটি নেয়ার কোনো ইচ্ছাই যেন ছিল না বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের ফিল্ডারদের।
মঙ্গলবার (২৩ মার্চ) ক্রাইস্টচার্চের হেগলি ওভালে মুখোমুখি হয় দু’দল। যেখানে টস জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান কিউই অধিনায়ক টম ল্যাথাম। যেখানে প্রথমে ব্যাট করে বাংলাদেশ নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষে ৬ উইকেট হারিয়ে ২৭১ রান করে। জবাবে ৫ উইকেট হারিয়েও ৫ বল বাকি থাকতে জয় নিশ্চিত করে স্বাগতিকরা।
বাংলাদেশের দেওয়া ২৭২ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের ৫৩ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে নিউজিল্যান্ডকে চাপে ফেলে বাংলাদেশ। দলীয় পঞ্চম ওভারের শেষ বলে ভয়ঙ্কর মার্টিন গাপটিলকে নিজের বলেই ক্যাচ ধরে ফেরান মোস্তাফিজুর রহমান। ২৪ বলে ব্যক্তিগত ২০ রান করেন এই কিউই ওপেনার। এরপরই দ্রুত জোড়া সফলতা পানন টাইগাররা স্পিনার মেহেদি হাসান। উইল ইয়ংকে (১) বোল্ড করেন মেহেদি হাসান। আর নিজের আগের ওভারে ওপেনার হেনরি নিকোলসকেও সরাসরি বোল্ড করেন তরুণ এই স্পিনার। দলীয় নমব ওভারের তৃতীয় বলে ১৩ রানে এই বাঁহাতিকে ফেরান তিনি।
কিউইরা চতুর্থ উইকেট জুটিতে প্রতিরোধ গড়ে তোলে। অধিনায়ক টম ল্যাথামকে নিয়ে ১১৩ রানের জুটি গড়েন ডেভন কনওয়ে। তবে অবশেষে তামিম ইকবালের থ্রোতে রান আউটের শিকার হন কনওয়ে। ৯৩ বলে ৭টি চারে ৭২ রান করেন এই ব্যাটসম্যান। কিন্তু এরপর বাংলাদেশ ফিল্ডারদের বাজে ফিল্ডিংয়ের সুযোগে জিমি নিশামকে সঙ্গে নিয়ে ৭৬ রানের জুটি গড়েন ল্যাথাম। নিজের ওয়ানডে ক্যারিয়ারের পঞ্চম সেঞ্চুরি তুলে নেন ল্যাথাম। ১০৮ বলে ১০টি চারে ১১০ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। নিশাম ব্যাক্তিগত ৩০ রানে মোস্তাফিজের শিকার হন।
বাংলাদেশি বোলারদের মধ্যে মেহেদি ও মোস্তাফিজুর দুটি করে উইকেট পান।
ভোরের পাতা/ই