প্রকাশ: মঙ্গলবার, ২৩ মার্চ, ২০২১, ৪:৪০ পিএম আপডেট: ২৩.০৩.২০২১ ৪:৪৬ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
টাঙ্গাইলের নাগরপুরে স্ত্রী থাকা সত্বেও আপন চাচাতো বোনের সাথে বিয়ে না করেই দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ সম্পর্ক চলছিল। পরে বিষয়টি এলকায় জানাজানি হলে, এলাকাবাসীর চাপে পড়ে বিয়ে করতে বাধ্য হন গেদু মোল্লা। এ দিকে ভুক্তভোগী পাচ্ছে না স্ত্রীর মর্যাদা। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার ধুবড়িয়া ইউনিয়নের বলরামপুর গ্রামে।
এলাকাবাসি জানান, প্রায় ৩ বছর যাবৎ বলরামপুর গ্রামের আব্দুল মোল্লার মেয়ের সাথে তার চাচাতো ভাই গেদু মোল্লার অবৈধ সম্পর্ক চলে আসছিলো। গেদু মোল্লার পূর্বেই স্ত্রী ও সন্তান রয়েছে।
এদিকে দুজনের অবৈধ সম্পর্ক এলাকায় জানাজানি হলে, এলাকাবাসীর চাপের মুখে গেদু তার চাচাতো বোনকে বিয়ে করতে বাধ্য হয়। পরে স্থানীয় লোকজন তাদেরকে ভুক্তভোগির চাচার বাড়ি (শশুর বাড়ি) তুলে দেয়। ভুক্তভোগী জানায়, গত ৩ বছব যাবৎ আমার চাচাতো ভাইয়ের সাথে আমার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এরপর থেকেই পূর্বের স্ত্রী ও সন্তান থাকা সত্বেও প্রেমের ছলনা করে আমাকে তার স্ত্রীর মত ব্যবহার করে আসছিল। পরে আমাকে গত ১৫ই মার্চ টাঙ্গাইল তার বোনের বাসায় নিয়ে গিয়ে বিয়ে করে। বিয়ের পর আমাকে ঢাকা নিয়ে যাওয়ার কথা বলে ভাদ্রা নামক স্থানে সিএনজি থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে সে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন আমাকে আমার চাচার বাড়ি (শশুর বাড়ি) তুলে দিলেও আমার স্বামী আমার সাথে কোন যোগাযোগ করছে না। আমি জানতে পারি সে প্রথম স্ত্রী ও সন্তান নিয়ে সাভারে অবস্থান করছে। আমি আমার শুশুর বাড়ি ৪ থেকে ৫ দিন ধরে অবস্থান করলেও আমার ভরণ-পোষণের কোন ব্যাবস্থা করছে না তারা। আমার শশুরবাড়ির লোকজন আমাকে কটু কথা শোনাচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, আমার মাকে খুব অল্প বয়সে হারিয়েছি, আমার বাবা খুব অসুস্থ, বিছানা থেকে উঠতে পারে না, আমাদের থাকার মত নিজস্ব কোন ঘর নেই। এমতাবস্থায় আমি কি করব, কোথায় যাব, বুঝতে পারছি না। ভুক্তভোগীর শাশুরী গেদুর মা জানায়, বিষয়টি সত্য আমার ছেলে গেদু তার চাচাতো বোনকে বিয়ে করেছে। আমরা আমাদের ছেলের বউকে মেনে নিয়েছি। এখন আমার ছেলে মেনে নিলে আমাদের কোন সমস্যা নেই।
এ ব্যাপারে ধুবড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ মতিয়ার রহমান বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবগত আছি, স্থানীয় গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গদের নিয়ে বিষয়টির সুরাহার চেষ্টা করছি। এরপরও যদি বিষয়টি সুরাহা না হয় তাহলে আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে।
ভোরের পাতা/এএম