প্রকাশ: মঙ্গলবার, ২৩ মার্চ, ২০২১, ২:১২ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
বরগুনার তালতলী উপজেলার একটি পুকুরে দুই কেজি ওজনের ইলিশ ধরা পড়েছে। সোমবার বিকলে উপজেলার বড় বগী ইউনিয়নের নয়াপাড়া গ্রামে কাওসার হাওলাদারের পুকুরে মাছটি ধরা পড়ে।
কাওসার হাওলাদার বলেন, চৈত্র মাস এসে গেছে। এখন প্রায় সব খাল-বিল শুকিয়ে গেছে। আমার পুকুরের পানিও শুকিয়ে গিয়েছিল। পানি সেচ দেওয়ার পরে জাল টেনে মাছ ধরার সময় ধরা পড়ে ইলিশ মাছটি। ওজন করে দেখা যায় মাছটি দুই কেজিরও বেশি, যার বর্তমান বাজারমূল্য প্রায় তিন হাজার টাকা।
কাওসার বলেন, বর্ষা মৌসুমে যখন খাল-বিল সবকিছুই তলিয়ে যায় তখন তার পুকুরটিও তলিয়ে গিয়েছিল। তখন জোয়ারের পানির সঙ্গে হয়তো ইলিশটি প্রবেশ করেছে।
খবর পেয়ে স্থানীয় লোকজন ইলিশটি দেখতে ভিড় জমায়।
তালতলী উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মাহবুবুল আলম বলেন, ইলিশ মাছ পুকুরে অনেক দিন বাঁচে, ইলিশের যখন ডিম পাড়ার সময় হয় ছোট অবস্থায় নদীতে চলে আসে। তখন থেকে খাল-বিলে অন্তত ছয় মাস তারা থাকে।
এ বিষয়ে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কুমার দেব বলেন, তালতলীর একটি পুকুরে বড় ইলিশ পাওয়ার তথ্য আমরা ইতোমধ্যে পেয়েছি। তাই পুকুরটি পরিদর্শনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। পুকুরের পানি এবং মাটি সংগ্রহ করে পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য সংশ্লিষ্টদের কাছে পাঠানো হবে।
সংশ্লিস্ট সূত্রে জানা গেছে, ইলিশ চাষের জন্য আমরা চাঁদপুরে তিনবার এবং পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় একবার পরীক্ষামূলক প্রকল্প বাস্তবায়ন হয়েছে। কিন্তু কাঙ্ক্ষিত সাফল্য পাওয়া যায়নি। ‘পুকুরে ইলিশ দীর্ঘদিন বেঁচে থাকলেও সাধারণত আধা কেজির বেশি হয় না। কিন্তু তালতলীতে পুকুরে পাওয়া ইংলিশটি যেহেতু এক কেজির বেশি, তাই নতুন করে আমাদের গবেষণা শুরু করতে পারে। তালতলীর যে পুকুরে ইলিশ পাওয়া গেছে সে পুকুরের পানি এবং মাটি পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য চিন্তাভাবনা চলছে।
সংশ্লিস্ট সূত্র আরো জানায়, সবার অজান্তে পুকুরে ইলিশ যদি এত বড় হতে পারে; তাহলে যথাযথ ব্যবস্থাপনায় পুকুরে ইলিশ চাষ নিশ্চয়ই সম্ভব। যেহেতু পুকুরে পাওয়া ইলিশের মধ্যে নদীর ইলিশের সব গুণাবলী বিদ্যমান, তাই ইলিশ গবেষণা এবং চাষে নতুন দিগন্তের সূচনা হবে।
ভোরের পাতা/এএম