প্রকাশ: রোববার, ২১ মার্চ, ২০২১, ১১:৪৫ এএম | অনলাইন সংস্করণ
প্রতিবছর নির্দিষ্ট কিছু দিনে বিভিন্ন দেশে, বিশেষ কিছু দিন পালিত হয়। ওই নির্দিষ্ট দিনে অতীতের কিছু ঘটনাকে স্মরণ করে বা গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয়ে জন সচেতনতা বাড়াতে এই সমস্ত দিবস পালিত হয়। এই বিশেষ পালনীয় দিনগুলোর মধ্যে একটি হল আন্তর্জাতিক জাতিগত বর্ণবৈষম্য বিলোপ দিবস। প্রতি বছর ২১শে মার্চ সারা বিশ্বে আন্তর্জাতিক জাতিগত বর্ণবৈষম্য বিলোপ দিবস পালিত হয়। এই বছরে আন্তর্জাতিক জাতিগত বর্ণবৈষম্য বিলোপ দিবসের থিম হল ‘বর্ণবাদের বিরুদ্ধে যুবসমাজ’।
২০২১ সালের বর্ণবৈষম্য বিলোপ দিবসের মূল লক্ষ্য, বর্ণের ভিত্তিতে মানুষকে হয়রানি করা, তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত করা, সমস্ত পুরাতন অভ্যাস যা সমাজের বিকাশকে স্তব্ধ করে দিয়েছে, সেই সমস্ত বিষয়গুলোর বিলোপ ঘটানো। বর্ণবাদী মন্তব্য এমন বিষয় যা প্রাথমিকভাবে মোকাবিলা করা। আন্তর্জাতিক জাতিগত বর্ণবৈষম্য বিলোপ দিবসে সমস্ত জাতি, বর্ণ নির্বিশেষে সকলকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানানো হয়েছে।
১৯৭৯ সালে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ প্রথম ২১শে মার্চ দিনটিকে আন্তর্জাতিক জাতিগত বর্ণবৈষম্য বিলোপ দিবস হিসাবে পালনের আহ্বান জানিয়েছিল। এই দিনটি পালনের পেছনে রয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার মানুষদের সঙ্গে ঘটে যাওয়া এক মর্মান্তিক ঘটনা।
বর্ণবৈষম্য প্রথম শুরু হয় দক্ষিণ আফ্রিকায়। ১৯৬০ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার সার্পভিলে জাতিগত বর্ণ বৈষম্যের বিল পাশের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষ শান্তিপূর্ণভাবে মিছিলের আয়োজন করে। যেখানে পুলিশ বিনা কারণে নির্বিচারে সাধারণ মানুষের উপর গুলি চালায়। এই ঘটনায় ৬৯ জন নিরীহ মানুষ প্রাণ হারান এবং ১৭৮ মানুষ আহত হন। এই ঘটনার পর ১৯৬৬ সালে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ পৃথিবীর সমস্ত দেশ থেকে জাতিভেদ ও বর্ণবৈষম্যের মত ভয়ানক ব্যাধিকে নির্মূল করতে সোচ্চার হয়। এই বিষয়ের উপর জাতিসংঘ নানা কর্মসূচি শুরু করে। অবশেষে ১৯৭৯ সালে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ প্রথম ২১ শে মার্চ দিনটিকে আন্তর্জাতিক জাতিগত বর্ণবৈষম্য বিলোপ দিবস হিসাবে পালনের আহ্বান জানায়।
২০০১ সালে জাতিগত ভেদাভেদ ও বর্ণবাদ বিরোধী বিশ্ব সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। পরবর্তীকালে দক্ষিণ আফ্রিকার ডারবান শহরে আবার একটি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় যার মূল লক্ষ্য ছিল জাতি ও বর্ণের সমস্যাকে দূরীভূত করা। এবং নতুনভাবে বর্ণবৈষম্যের বিরুদ্ধে এক আন্তর্জাতিক প্রতিশ্রুতি নেওয়া। সূত্র: কলকাতা২৪
ভোরের পাতা/ই