প্রকাশ: রোববার, ২১ মার্চ, ২০২১, ১২:০০ এএম | প্রিন্ট সংস্করণ
অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় রক্ত জমাট বেঁধে যাওয়ার বিতর্কের মধ্যেই জার্মানির চ্যান্সেলর আঙ্গেলা মেরকেল বলেছেন, তিনি করোনাভাইরাস প্রতিরোধে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা নিতে প্রস্তুত আছেন।অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা: রক্ত জমাটের কারণ ও প্রতিকার জানার দাবি একদল গবেষকের।ইএমএ গত শৃক্রবার জানায়,অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন নিরাপদ ও কার্যকর:এইফলাফলের পর জার্মানির বিভিন্ন রাজ্যের প্রধানদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি।মরকেল বলেন, ‘হ্যাঁ, আমি অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা নেব। আমি আমার পালা আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে চাই। কিন্তু আমি ওই টিকা নেব।’ খবর রয়টার্সের:
অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা নেওয়ার পর কয়েকজনের শরীরে রক্ত জমাট বেঁধে যাওয়ার উপসর্গ দেখা দেওয়ার পর জনমনে আতঙ্কের সৃষ্টি হয় এবং এই টিকার নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে । বিশ্বের বিশেষ করে ইউরোপের একের পর এক দেশ অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা প্রদান স্থগিত করে, তালিকায় জার্মানির নামও ছিল। যার ফলে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ভূক্ত দেশগুলোতে কোভিড-১৯ এর টিকা সরবরাহে বড় ধরনের সংকট দেখা দেয়।যদিও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, ইউরোপীয় ইউনিয়নের ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা (ইএমএ), যুক্তরাজ্যের ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থাসহ অনেকেই অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকায় রক্ত জমাট বাঁধার কোনো প্রমাণ না থাকার এবং ওই টিকাকে নিরাপদ ও কার্যকর বলে মত দিয়েছে।গত বৃহস্পতিবার অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি টিকা নিয়ে ইএমএ-র মতামত প্রকাশের পর পরদিন থেকে জার্মানি আবার এই টিকা দিতে শুরু করেছে। কিন্তু টিকার নিরাপত্তা নিয়ে জনগণকে আশ্বস্ত করতে নেতাদের বেগ পেতে হচ্ছে।
জার্মানির বাডেন-উহটেমবার্গ রাজ্যের প্রধান উইনফ্রিড ক্রাচমান জনগণের আস্থা ফেরাতে টেলিভিশনে সরাসরি এক অনুষ্ঠানে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা নেন।পরে তিনি জনগণকে বলেন, ‘ এবার বিশ্বাস করেছেন তো, আমি টিকা নিয়েছি।’ফ্রান্সও পুনরায় অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার ব্যবহার শুরু করেছে, কিন্তু একটি শর্ত জুড়ে দিয়েছে। বলেছে, সেখানে শুধুমাত্র ৫৫ বা তার বেশি বয়সের মানুষদের এই টিকা দেওয়া হবে।ইইউ এবং যুক্তরাজ্যের এক কোটি ৭০ লাখের বেশি মানুষ অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা গ্রহণ করেছেন। তাদের মধ্যে রক্ত জমাট বেঁধে যাওয়ার উপসর্গ দেখা দেওয়া ঘটনা মাত্র ৩৭টির মত বলে দাবি অ্যাস্ট্রাজেনেকা কর্তৃপক্ষের। তাও টিকার কারণেই তাদের শরীরে ওই উপসর্গ দিয়েছে কিনা তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এটা নিয়ে পরীক্ষা চলছে।