প্রকাশ: শনিবার, ২০ মার্চ, ২০২১, ১২:০০ এএম আপডেট: ২০.০৩.২০২১ ২:৩৭ এএম | প্রিন্ট সংস্করণ
শিরোপা পুনরুদ্ধারের প্রথম পর্ব শেষেই অনেকটা ফিকে আবাহনী লিমিটেডের। অনেক কারণের সঙ্গে দলটির আক্রমণভাগের ব্যর্থতাও দায়ী এর পেছনে। সে আক্রমণভাগকে দ্বিতীয়ার্ধে আরও শক্তিশালী করে তুলতেই সচেষ্ট ক্লাবটি। গেল মৌসুম শেষে ছেড়ে দেওয়া ফরোয়ার্ড সানডে চিজোবাকে ফেরানোর চেষ্টাই চালাচ্ছে তারা, জানিয়েছেন ক্লাবের কর্তা সত্যজিৎ দাস রুপু ও কোচ মারিও ল্যামোস।
লিগের প্রথমার্ধে ছোট দলগুলোর বিপক্ষে সন্তোষজনক নৈপুণ্য দেখালেও শীর্ষ সারির দলগুলোর বিপক্ষে যেন খাবি খেয়েছে আবাহনী। প্রথম দেখায় শিরোপাধারী বসুন্ধরার কাছে হেরেছে ৪-১ গোলে। এর আগে মোহামেডান, শেখ রাসেল, শেখ জামাল ও চট্টগ্রাম আবাহনীর সঙ্গে ড্র করেছে দলটি। শীর্ষ ছয়ে থাকা সাইফ স্পোর্টিংয়ের বিপক্ষেই জয় তুলে নিতে পেরেছে ল্যামোসের শিষ্যরা। লিগের প্রথমার্ধে অবশ্য আক্রমণভাগের চেয়ে রক্ষণেই বেশি নড়বড়ে ছিল আবাহনী। তবু দলটি মধ্যবর্তী দলবদলে নজর দিচ্ছে আক্রমণকে আরও শক্তিশালী করার দিকেই। পুরনো সেনানী সানডে চিজোবার কাছেই ফিরছে আবাহনী। দু’পক্ষের আলোচনার কথা স্বীকার করেছেন ক্লাবের কর্তা সত্যজিত দাস রুপু ও কোচ মারিও লেমোস।ম্যানেজার রুপু জানান, প্রাথমিক কথাবার্তা সেরে ফেলেছে আবাহনী ও সানডে।
তিনি বলেন, ‘তার সঙ্গে প্রাথমিক আলোচনা হয়ে গেছে। তবে ক্লাব এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছায়নি। সিদ্ধান্ত নিলেই যেন সে দলে যোগ দিতে পারে সেজন্যে নিজেকে ফিট রাখতে বলা হয়েছে তাকে।’মারিও ল্যামোসও জানালেন, আবাহনী একটা ‘অপশন’ হিসেবে দেখছে সানডেকে।
তিনি বললেন, ‘সে একটা বিকল্প হিসেবে ভাবনায় আছে আমাদের। কিন্তু এখনো কিছুই নিশ্চিত হয়নি।’
তবে সানডে ছাড়া আর কোনো ‘অপশন’ আছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে ল্যামোস বলেন, ‘সত্যি বলতে, তেমন কেউ নেই আর।’কোচ জানালেন, সানডের বিষয়টা নিশ্চিত হওয়ার আগ পর্যন্ত হাতে থাকা খেলোয়াড়দের নিয়েই পরিকল্পনা হবে তার।
বললেন, ‘আমরা দলটাকে আরও উন্নত করতে চাই, তবে এখনো কিছুই নিশ্চিত হয়নি। এই মুহূর্তে আমরা প্রথম লেগের দলটাকে নিয়েই নিজেদের প্রস্তুত করছি।’
২০১১ সালে নাইজেরিয়ান দল ক্রাউন এফসি থেকে মুক্তিযোদ্ধার হয়ে খেলতে আসেন সানডে। পরের বছর জুলাইয়ের দলবদলে নাম লেখান শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবে। এক মৌসুম খেলে ফেরেন মুক্তিযোদ্ধায়। পরের বছর আই লিগের দল চার্চিল ব্রাদার্সে পাড়ি জমান তিনি। সেখানে এক মৌসুম খেলে ২০১৫ সালে আবারও ফিরেছেন বাংলাদেশে। এরপর থেকে গেল মৌসুমের শেষ পর্যন্ত আবাহনীতেই ছিলেন তিনি। গেল দলবদলে চুক্তি শেষে নাইজেরিয়াতে ফিরে যান তিনি। এরপর থেকে এখনো কোনো ক্লাবের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হননি তিনি।