প্রকাশ: শুক্রবার, ১৯ মার্চ, ২০২১, ১২:০০ এএম আপডেট: ১৯.০৩.২০২১ ২:৫৮ এএম | প্রিন্ট সংস্করণ
যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে কথিত হস্তক্ষেপের জন্য রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে ‘মূল্য চুকাতে হবে’, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের এমন মন্তব্যের পর ওয়াশিংটনে নিযুক্ত নিজেদের রাষ্ট্রদূতকে ডেকে পাঠিয়েছে মস্কো।
যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার সম্পর্কের ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা জন্য মস্কো গত বুধবার রাষ্ট্রদূতকে ডেকে পাঠায় বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে মস্কোর হস্তক্ষেপের পেছনে পুতিন আছেন, যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থার নতুন একটি প্রতিবেদন দীর্ঘদিনের এ অভিযোগের পক্ষে সমর্থন জানানোর পর বাইডেন ওই মন্তব্য করেন। এই অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছে রাশিয়া।
এক বিবৃতিতে রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্কের ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনার জন্য রাষ্ট্রদূত আনাতোলি আন্তোনোভকে ডেকে পাঠিয়েছে তারা।দুই দেশের সম্পর্কের যেন ‘অপূরণীয় ক্ষতি’ না হয় সেদিকে লক্ষ্য রেখেই এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে বিবৃতিতে বলা হয়েছে।
রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে দেওয়া বিবৃতিতে মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা বলেছেন, ‘আমাদের জন্য প্রধান বিষয় হচ্ছে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ওয়াশিংটন যাকে কানাগলিতে নিয়ে গেছে রাশিয়া-আমেরিকার সেই কঠিন সম্পর্ককে সংশোধন করা যায় কিনা তার পথ নির্ধারণ করা। আমেরিকানরা যদি বিদ্যমান ঝুঁকি শনাক্ত করতে পারে তাহলে আমরা এর অপরিবর্তনীয় অবনতি রোধে আগ্রহী।’
গত মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে মস্কোর হস্তক্ষেপ নিয়ে নতুন একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। প্রতিবেদনে বলা হয়, পুতিনের নির্দেশেই মস্কো যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হস্তক্ষেপের চেষ্টা করেছিল। সেই ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন থেকেই রাশিয়ার হস্তক্ষেপ নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। তখন থেকে বলা হচ্ছে, ডনাল্ড ট্রাম্পকে জেতাতে রাশিয়া যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করেছে। যদিও ট্রাম্প এবং রাশিয়া উভয়ই বার বার এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। ‘পুতিন যে চেষ্টা করেছিলেন’ তার পরিণতি তাকে ভোগ করতে হবে বলে এবিসি নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন বাইডেন। গত বুধবার প্রচারিত সাক্ষাৎকারটিতে কবে নাগাদ ‘ওই পরিণতি’ দেখা যাবে এমন প্রশ্নের জবাবে
তিনি বলেন, ‘অল্প সময়ের মধ্যেই আপনারা সেটা দেখতে পাবেন।’
পুতিনকে একজন খুনি মনে করেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমি করি।’ তবে পুতিনকে ‘মূল্য চুকানোর’ হুমকি দিলেও রাশিয়ার সঙ্গে দুই দেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কাজ করতে চান বলে জানান বাইডেন।
বলেন, কিছু কিছু ক্ষেত্র আছে যেখানে ‘আমরা একসঙ্গে কাজ করলে আমাদের উভয়ের স্বার্থই রক্ষা হবে’, যেমন, স্ট্র্যাটেজিক আর্মস রিডাকশান ট্রিটি (স্টার্ট) পুনঃনবায়ন করা।