প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ১৮ মার্চ, ২০২১, ১২:০০ এএম আপডেট: ১৮.০৩.২০২১ ২:২৮ এএম | প্রিন্ট সংস্করণ
৩৩টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত ৯১ দশমিক ৩১ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন। বিশাল আয়তন, জনসংখ্যার আধিক্য ও ভৌগলিক অবস্থার কারণে এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও মর্যাদাপূর্ণ সিটি করপোরেশন। এই সিটি করপোরেশনের প্রথম নগর পিতা ময়মনসিংহ আওয়ামী লীগের তরুণ রত্ন এ অঞ্চলের ঈর্ষণীয় জনপ্রিয় নেতা ইকরামুল হক টিটু। তার পরিকল্পনা ও নির্দেশনায় উন্নত বিশ্বের আদলে দিবারাত্রী চলছে পরিকল্পিত ময়মনসিংহ বিভাগীয় শহর গড়ে তোলার কাজ। এ নেতার নেতৃত্বে সামাজিক সাংস্কৃতিক, যোগাযোগ, শিক্ষা ও শিল্পসহ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিরও আমূল উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। সব সেক্টরে ব্যাপক উন্নয়নমূলক কর্মযজ্ঞের ফলে অনেকটাই বদলে গেছে বিভাগীয় শহরসহ সিটি করপোরেশনের অধিনস্থ সব এলাকার চিত্র।
কিন্তু একটুকুও বদলাননি তিনি। আছেন আগের মতই। অতি সাধারণ মানুষের মতই স্বাভাবিক জীবন যাপন করেন। মানব সেবাই যেন তার পরম ধর্ম। ধর্ম-বর্ণ-পেশা দলমত নির্বিশেষে সেবা নিতে আসা প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষের সাথে নম্রতা ভদ্রতার সাথে হাসিমুখে কখা বলেন সবার কথা শুনেন। করোনার সংক্রমণ এড়াতে ময়মনসিংহের অধিকাংশ জনপ্রতিনিধিরা যখন নিজেদের আড়াল করে রেখেছিলেন তখন মেয়র ইকরামুল হক টিটু নিজের জীবনের মায়া ত্যগ করে নগরবাসীর সেবা করেছেন। লকডাউন শুরুর দিকে নগরীর সর্বত্রই চারনের মত ঘুরে নগরবাসীকে কথা দিয়েছিলেন একজন মানুষও অর্ধাহারে অনাহারে থাকবে না। তিনি তার কথা রেখেছেন লকডাউনের শেষ দিন পর্যন্ত সরকারি বরাদ্ধের পাশাপাশি ব্যক্তিগত অর্থে খাদ্য সামগ্রী থেকে শুরু করে নিত্য প্রয়োজনীয় সব কিছুই কর্মহীন দুস্থ অসহায় মানুষদের মাঝে বিতরণ করেছেন। নগরবাসীর খোঁজখবর রেখেছেন। দুর্যোগে ’দুর্ভোগে আপদে বিপদে সব সংকটকালে পাশে থেকেছেন’ নগরবাসীকে ভরসা যোগিয়েছেন বার বার মানবতার উদাহারণ সৃষ্টি করেছেন। নগরবাসী অন্তপ্রাণ এই তরুণ আ.লীগ নেতা কর্মগুণে ময়মনসিংহবাসীকে করেছেন মনোমৃগ্ধ। পরিকল্পিত উন্নয়ন জীর্ণ ময়মনসিংহকে বদলে দেওয়ার শপদ নিয়ে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত নিজের বাসা বা অফিসে বসে না থেকে চারনের মত ছুটে চলেছেন শহরের এ প্রান্ত থেকে ওই প্রান্তে । সরেজমিন ঘুরে চিহ্নিত করছেন সমস্যাগুলো। দ্রুত সমাধানও করছেন। নগরিরর সর্বত্রই কাঙ্খিত উন্নয়ন ও তথ্য প্রযুক্তি নির্ভর সেবা নিশ্চিত করেছেন। তৃণমূল আ.লীগের নেতাকর্মী সমর্থক থেকে শুরু করে নগরীরর সর্বস্তরের মানুষের সাথে আত্মার সম্পর্ক আর বিরল ভালবাসার বন্ধন সৃষ্টি করেছেন। অন্যায়ের বিরুদ্ধে অনেকটা চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েই ক্রাইমজোন হিসেবে পরিচিত দেশের আলোচিত ও আতঙ্কিত রাজপথ ময়মনসিংহকে শিক্ষা শান্তির নগরী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।
একটু ভারী বৃষ্টিতে তলিয়ে যাওয়া জলাবদ্ধ নগরিতে দ্রুত পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে। ড্রেনেজ ব্যবস্থার আধুনিকরণ করা হয়েছে। বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় দেশের মডেল নগরী ময়মনসিংহ। একসময় ময়লা অবর্জনা ফেলার নিদিষ্ট স্থান ছিল না। যেখানে সেখানে ফেলে রাখা ময়লা আবর্জনারস্তূপ থেকে বাতাসে ধেয়ে আসা দু’গন্ধে নাক মুখ চেপে ধরে বা মুখে রুমাল বেধে রাস্তায় বের হতে হতো নগরবাসীকে। এখন সবই স্মৃতি ময়লাকান্দা এখন আর ময়লাকান্দা নেই, সেখান থেকে ময়লা-আবর্জনারস্তূপ সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। ব্রহ্মপুত্র নদের ওপারে ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের যথাস্থানে ময়লা আবর্জনা ফেলা হচ্ছে।
বিভাগীয় শহরকে সর্বদায় পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন পরিপাটি ও দুগন্ধ মুক্ত রাখতে মেয়র টিটুর চালু করেছেন দিনে রাতে দুই শিফর্টে ময়লা অবর্জনা অপসারণ কর্মসূচি। খুব শীঘ্রই আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে ময়লা আবর্জনা থেকে উৎপাদন করা হবে-জৈব সার আর বিদ্যুৎ। এমনই পরিকল্পনা করছেন বলে জানিয়েছে মেয়র ইকরামুল হক টিটু। ব্রক্ষপুত্র নদের উপকন্ঠে গড়ে তোলেছেন জয়নুল উদ্যান নামের আধুনিক নয়নাভিরাম পার্ক। বুকভরে নিঃশ্বাস নেওয়ার কারণে এ উদ্যানকে অনেকেই ডাকেন ময়মনসিংহের ‘ফুসফুস’ নামে। সৌন্দর্যবর্ধনের দৌলতে সব সময় ভিড়ে ঠাসা থাকে এ উদ্যান। শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন সংগ্রহশালা ও বৈশাখী মঞ্চ এ উদ্যানের স্বকীয় বৈশিষ্ট্য। বিনোদন পিয়াসী মানুষের স্রোত ছড়িয়ে পড়ে পার্কের ওপারের চরেও। সবুজ শ্যামল ছায়াপথে প্রকৃতির কাছে আসা মানুষের জন্য ভালো লাগার নান্দনিক স্থান ব্রক্ষপুত্র নদছোঁয়া এ উদ্যানে। এখানে রয়েছে মিনি চিড়িয়াখানা। আছে ফোয়ারা, ব্যায়ামাগার। শিশু-কিশোরদের জন্য রয়েছে স্পেশ্যাল রাইড। ময়ূরের পেখম তোলা দেখে মুগ্ধ শিশুরা উপভোগ করে নির্মল আনন্দ উচ্ছ্বাস। জয়নুল উদ্যানের পাশ দিয়েই বয়ে গেছে ব্রক্ষপুত্র নদ। যৌবনের জলতরঙ্গে উচ্ছ্বল ব্রক্ষপুত্রের ঢেউ বিনোদন প্রেমিদের করে মনোমৃগ্ধ। এ ছাড়াও মেয়র ইকরামুল হক টিটুর হাতে গড়া নগরীর কংগ্রেস জুবলী রোডের বিপিন পার্কেও সব সময় নানা বয়সী মানুষের ভিড় লেগেই থাকে। পার্কের মাঝখানে ঝর্ণায় রয়েছে ৯ ফুট উঁচু ৩টি কোরাল মাছ। ‘শহর বিউটিফিকেশনের আলোকে জয়নুল উদ্যান ও বিপিন পার্কে মনোরম পরিবেশ সবই করেছেন নগরবাসীর চিত্তবিনোদনের জন্য’।
সাম্যবাদ অগ্রদ্রুত অসাম্প্রদায়িত রাজনীতির খাটি বাঙালি বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার অত্যন্ত স্নেহধন্য ময়মনসিংহ আ.লীগের ইকরামুল হক টিটু এ প্রতিবেধককে বলেন, ময়মনসিংহকে বাংলার সেরা শহর হিসেবে গড়ে তোলাই আমার একমাত্র ব্রত। বর্তমান সরকার শহর থেকে শুরু করে দেশের আনাচে-কানাচে যে উন্নয়ন করছেন তার বাস্তব চিত্র পরিলক্ষিত হচ্ছে ময়মনসিংহ সিটিতেও। দেশের দ্বাদশ এ সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন এলাকায় অবকাঠামোগত অবস্থান সৃষ্টি করে ভারী শিল্প প্রতিষ্ঠা ও ক্ষুদ্র-কুটির শিল্প পল্লী তৈরির পরিকল্পনাও আছে। নগরবাসীর দাবি বাস্তবায়নে একটি আধুনিক ক্রিকেট ও হকি স্টেডিয়াম এবং সুইমিং পুল নির্মাণেরও চেষ্ট চলছে। সর্বোত্তম গুণগতমানের সড়ক, কালভার্ট, পয়োনিষ্কাশন পদ্ধতি, পানি সরবরাহ লাইন ও অন্যান্য অবকাঠামো উন্নয়ন নিশ্চিত করতে কাজ চলছে। নগরির সড়কগুলোর দুপাশে লাইটিং ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। নগরীর ভেতর দিয়ে রেললাইন থাকায় যানজট নিরসনে সময় লাগছে। রেললাইন স্থানান্তরসহ শহরের মধ্যে বাসস্ট্যান্ডগুলো সরানোর উদ্দ্যোগ পরিকল্পনা করা হয়েছে। কর্মগুণে এ নেতার জনপ্রিয়তা নগরী অতিক্রম করেছে। জেলার সর্বত্রই মেয়র টিটু অন্তপ্রাণ হাজার হাজার হাজার নেতাকর্মী সমর্থক থেকে শুরু করে সর্বস্তরের মানুষের অকুন্ঠ সমর্থন রয়েছে মেয়র টিটুর প্রতি।