প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ১৮ মার্চ, ২০২১, ১২:০০ এএম আপডেট: ১৮.০৩.২০২১ ১:২৩ এএম | প্রিন্ট সংস্করণ
ভাষার মাস ফেব্রুয়ারির পরিবর্তে করোনাভাইরাস মহামারির কারণে এবার স্বাধীনতার মাস মার্চে শুরু হচ্ছে অমর একুশে বইমেলা-২০২১। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের স্মৃতির প্রতি নিবেদিত হচ্ছে এবারের বইমেলা। বাংলা একাডেমি আয়োজিত এবারের বইমেলার মূল থিম ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী’।
২৮ দিনব্যাপী বইমেলা ১৮ মার্চ শুরু এবং ১৪ এপ্রিল শেষ হবে। আজ বেলা ৩টায় গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি বইমেলা উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আকর্ষণ হিসাবে বঙ্গবন্ধু রচিত ‘আমার দেখা নয়াচীন’ বইটির ইংরেজিতে অনূদিত নিউ চায়না ১৯৫২ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করবেন প্রধানমন্ত্রী। এছাড়া উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার-২০২০ প্রদান করা হবে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি থাকবেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেবেন সংস্কৃতি সচিব বদরুল আরেফীন। স্বাগত বক্তব্য দেবেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক হাবীবুল্লাহ সিরাজী। সভাপতিত্ব করবেন একাডেমির সভাপতি অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান। গত মঙ্গলবার বাংলা একাডেমি আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়। একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্যের পাশাপাশি বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ।
করোনা পরিস্থিতি কতটা প্রভাব ফেলতে পারে মেলায়- এমন প্রশ্নের উত্তরে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী খালিদ বলেন, নতুন চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে এবারের বইমেলা। করোনা সংক্রমণ মাঝে কমলেও বর্তমানে প্রকোপ বাড়ছে। এ প্রেক্ষাপটে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলায় সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এ কারণে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতে মেলার পরিসর দ্বিগুণ করা হয়েছে। এর বাইরে প্রত্যেককেই মাস্ক পরে প্রবেশ করতে হবে। শরীরের তাপমাত্রা মাপার ব্যবস্থা থাকবে। একইভাবেই স্যানিটাইজেশনেও গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ঝড়-বৃষ্টির কথা মাথায় রেখে স্টল ও প্যাভিলিয়নের কাঠামো তৈরি করা হয়েছে। এছাড়া বৃষ্টি হলে সহজে যাতে পানি নিষ্কাশন করা যায় সেই ব্যবস্থা থাকবে। উদ্যান অংশে থাকবে চারটি আশ্রয় কেন্দ্র। এবার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে পরে শিশু প্রহর ঘোষণা করা হবে।