শনিবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪ ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

শিরোনাম: বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশকে সুইজারল্যান্ড বানানোর স্বপ্ন দেখেছিলেন: তাজুল ইসলাম   ইংরেজি নববর্ষে প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা   করোনায় মৃত্যু কমেছে, শনাক্ত বেড়েছে    আরও ৩ জনের ওমিক্রন শনাক্ত   শপথ নিলেন নতুন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী   বাস সরাতে গিয়ে দুই মৃত্যু: সেই পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা   আন্দোলনের বিকল্প নেই, ফয়সালা রাজপথেই হবে: ফখরুল   
https://www.dailyvorerpata.com/ad/Inner Body.gif
পর্দা উঠলো বইমেলার
স্বাস্থ্যবিধি যেন উপেক্ষিত না হয়
ড. কাজী এরতেজা হাসান, সিআইপি
প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ১৮ মার্চ, ২০২১, ১২:০০ এএম আপডেট: ১৮.০৩.২০২১ ১:১৬ এএম | প্রিন্ট সংস্করণ

বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বইমেলার সব প্রস্তুতি শেষ। সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে আজ বৃহস্পতিবার পর্দা উঠছে বইমেলার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আজ বিকেল ৪টায় মেলার উদ্বোধন করবেন। আগামী ৪ এপ্রিল পর্যন্ত চলবে এ মেলা। এবার বইমেলা অনুষ্ঠান নিয়ে যেভাবে সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগেছে বাংলা একাডেমি, বিগতদিনে এমনটি হয়নি। কারণ একটাই করোনা। দেশে করোনা সংক্রমণের জন্য বইমেলার আয়োজন করা সঠিক হবে কি-না তা নিয়ে বাংলা একাডেমি কর্তৃপক্ষ দোলাচলে ছিল। বেশ কিছুদিন আগেই বইমেলা দিনক্ষণ ঘোষণা করেন বাংলা একাডেমি কর্তৃপক্ষ। হঠাৎ করে ফের করোনার ঊর্ধ্বগতি দেখা দেওয়ায় বইমেলা অনুষ্ঠান অনিশ্চয়তার মুখে পড়ে। অনেকেই ভেবেছিলেন করোনার এই ঊর্ধ্বগতি বইমেলা পিছিয়ে যেতে পারে। তবে এসব আশঙ্কাকে উড়িয়ে দিয়ে বইপ্রেমিদের প্রাণের বাংলা একাডেমিতে আজ থেকে শুরু হচ্ছে গ্রন্থমেলা। তবে প্রকাশ ও বইপ্রেমিদের মনে রাখতে হবে, করোনার ঊর্ধ্বগতির মধ্যে বইমেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। করোনার ঊর্ধ্বগতির ফলে দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়ে গেছে। এটা মাথায় রেখে মেলায় যেসব বইপ্রেমি আসবেন তাদেরকে স্বাস্থ্যবিধি পুরোপুরি মেনে চলতে হবে।

করোনার ফলে বইমেলায় বিগত অমর একুশে বইমেলার মতো প্রকাশক, লেখক ও পাঠক ঘনিষ্ঠভাবে মিশতে পারবেন না। তাদের নিবিড়ভাবে মেলামেশা করাও ঠিক হবে না। স্বাস্থ্যবিধি ও দূরত্ব বজায় রেখে চলতে হবে। করোনার ঊর্ধ্বগতি সম্পর্কে গবেষকরা বলেছেন, মানুষজন করোনাপূর্ব সময়ের মতো সম্প্রতি চলাফেরা করায় করোনা সংক্রমণ বাড়ার অন্যতম কারণ। অনেকেই স্বাস্থ্যবিধিকে উপেক্ষা করে চলছেন। যে কারণে সরকারপ্রধান ফের করোনা থেকে সুরক্ষা পেতে সবাইকে সতর্ক করে তিনটি দিক নির্দেশনা দিয়েছেন। বইমেলায় প্রকাশক, লেখক ও পাঠকবর্গকে এটি মনে রাখার প্রয়োজন রয়েছে। মেলা মানেই মানুষের অবাধ চলাচল ও জটলা হওয়ার সহজ সুযোগ করে দেয়। বইমেলায় এর ব্যতিক্রম হয় না। বইমেলা প্রাণের উচ্ছ্বাস বয়ে যায়। তরুণ লেখক, প্রকাশ, বইপ্রেমি থেকে শুরু করে সব শ্রেণির ব্যক্তি বইমেলায় এসে থাকেন। বইমেলা আমাদের সেরা উৎসবগুলোর অন্যতম একটি। বাংলা একাডেমির বইমেলা, বিশ্বের বইমেলাগুলোর মধ্যে বিশিষ্ট স্থান অধিকার করে নিয়েছে। বিদেশ থেকেও বহু লেখক, গবেষক, বোদ্ধা ও পাঠক বাংলা একাডেমির বইমেলা এসে থাকেন। কিন্তু করোনার কারণে এবার লেখক, গবেষক, বোদ্ধা ও পাঠক আসবে কিনা নিশ্চিত নয়। বইমেলায় লটারির মাধ্যমে প্রকাশকদের স্টল ও প্যাভিলিয়ন বুঝিয়ে দিয়েছে বাংলা একাডেমি মেলা কর্তৃপক্ষ। করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় এবার ভিড় এড়াতে স্টলগুলোর মধ্যে দূরত্ব যেমন বেড়েছে তেমনি স্টলের সামনে রাখা হয়েছে ফাঁকা জায়গা। গতবারের চেয়ে দ্বিগুণ বেড়ে এবার প্রায় ১৫ লাখ বর্গফুটের বিশাল বিস্তৃতি পাচ্ছে বইমেলা। গত কয়েকদিন ধরে করোনার প্রাদুর্ভাব ঊর্ধ্বমুখী দেখা যাচ্ছে। এ অবস্থায় সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ কী- এমন প্রশ্নে আয়োজক কমিটির সদস্য সচিব জালাল আহমেদ গণমাধ্যমকে বলেন, স্বাস্থ্যবিধি পরিপূর্ণভাবে মানা এখন আমাদের প্রথম চ্যালেঞ্জ। স্বাস্থ্যবিধি পরিপূর্ণভাবে মানতে কী কী করতে হবে, সে বিষয়ে মন্ত্রী আমাদের নির্দেশনা দিয়েছেন। তিনি আরো বলেন, ‘পাঠক, ক্রেতা, বিক্রেতা, প্রকাশক ও লেখক- সবাই আমরা সচেতন থাকব। তাড়াহুড়ো করব না। আমাদের যে শারীরিক দূরত্ব রক্ষা করার কথা, সব ক্ষেত্রে আমরা সেটি রক্ষা করব। গ্রন্থ উন্মোচনের ক্ষেত্রে আমরা হুমড়ি খেয়ে পড়ব না, দূরত্ব বজায় রাখব। এখান থেকে যেন করোনা সংক্রমণের কোনো ঢেউ সৃষ্টি না হয়, আশঙ্কা তৈরি না হয়, সে দিকে আমরা সচেতন থাকব’।

এ দিকে এবারের মেলায় ৫২২টি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান অংশ নেবে। সবমিলিয়ে মেলায় স্টলের ইউনিট দাঁড়াবে আট শতাধিক। বাংলা একাডেমিসহ মোট প্যাভিলিয়ন থাকবে ৩৩টি। আঠারোদিনব্যাপী এ আয়োজনে থাকছে গান, কবিতা, আবৃত্তি, আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। আমাদের বইমেলা এতটাই সার্বজনিন পর্যায়ে পৌঁছে গেছে যে, দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে মানুষ বাংলা একাডেমির বইমেলায় এসে থাকেন। স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা রীতিমত মেলায় আসেন। কিন্তু এবার করোনা সংক্রমণের মধ্যে শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় তারা কতটা আসবেন এবং শিশু শিক্ষার্থীদের বইমেলায় আসার অনুমতি অভিভাবকরা দেবেন কি-না বলা মুশকিল। শিক্ষার্থীরা বইয়ের বড় ক্রেতা। বিশেষ করে শিশুতোষ সাহিত্য বেশি চলে শিশু শিক্ষার্থীদের ওপর ভরসা করে। পরিশেষে বলা জরুরি, বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বইমেলায় যারা আসবেন তারা কতটা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলছেন, তার ওপর তীক্ষ্ণ নজর রাখা আবশ্যক। এই নজরদারি রাখার দায়িত্ব মেলা আয়োজন কর্তৃপক্ষের উপর বর্তায়। সংক্রমণ বিস্তারের পথ সুগম করে এমন অবস্থা কোনভাবেই কাম্য হতে পারে না। সব বাধা অতিক্রম করে এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে গ্রন্থমেলায় বই প্রেমিদের জন্য প্রাপ্তি বয়ে আনুক সেই প্রত্যাশা আমাদের।  





« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
http://www.dailyvorerpata.com/ad/Vorer-pata-23-12-23.gif
http://www.dailyvorerpata.com/ad/bb.jpg
http://www.dailyvorerpata.com/ad/Screenshot_1.jpg
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ


সম্পাদক ও প্রকাশক: ড. কাজী এরতেজা হাসান
সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
সাউথ ওয়েস্টার্ন মিডিয়া গ্রুপ


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৯৩ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫।
ফোন:৮৮-০২-৪১০১০০৮৭, ৪১০১০০৮৬, বিজ্ঞাপন বিভাগ: ৪১০১০০৮৪, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৪১০১০০৮৫
অনলাইন ইমেইল: [email protected] বার্তা ইমেইল:[email protected] বিজ্ঞাপন ইমেইল:[email protected]