প্রকাশ: বুধবার, ১৭ মার্চ, ২০২১, ১১:১৮ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিনে আমরা এখনো শোক বহন করি। কারণ ১৭৯৫ সালের ১৫ আগস্টের কালো রাতের শোক এখনো কাটিয়ে উঠতে পারি না বলেই তার জন্মদিনে এখনো আনন্দ আয়োজন করতে পারি না। বঙ্গবন্ধু মানুষের জন্য আমৃত্যু কাজ করে গেছেন। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি আমাদের জাতি হিসাবে ঋণ রয়েছে। এই ঋণ শোধ করার সহজ উপায় হচ্ছে তার আদর্শিক পথে চলা। ভোরের পাতার সম্পাদক ড. কাজী এরতেজা হাসানকে এমন একটি মহতী আয়োজনের জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আমাদের বাংলাদেশের স্কুল গুলোতে বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী বইটি বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে পড়ানো দরকার। তাহলে ছোট বেলা থেকেই আমাদের আগামীর প্রজন্মরা বাংলাদেশকে, বঙ্গবন্ধুকে নিজের মতো মনে করবে।
দৈনিক ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপের ২৮১তম পর্বে বুধবার (১৭ মার্চ) আলোচক হিসাবে উপস্থিত হয়ে এসব কথা বলেন নিরাপত্তা বিশ্লেষক ও সামরিক গবেষক মেজর জেনারেল (অব.) আব্দুর রশিদ, অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শামস-উল ইসলাম, যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি, যুক্তরাজ্য স্টাডি সার্কেলের চেয়ারপার্সন সৈয়দ মোজাম্মেল আলী, স্বাধীন বাংলার জাতীয় ক্রিকেট দলের প্রথম দলনেতা রকিবুল হাসান, জার্মান দূতাবাসে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার অনারারি কনস্যুলেট, বাংলাদেশ এসোসিয়েশন জার্মানির প্রেসিডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার হাসনাত মিয়া, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়ার ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. শাহিনুর রহমান। দৈনিক ভোরের পাতা সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের পরিকল্পনা ও নির্দেশনায় অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সাবেক তথ্য সচিব নাসির উদ্দিন আহমেদ।
মেজর জেনারেল (অব.) আব্দুর রশিদ বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিনে আমরা এখনো শোক বহন করি। কারণ ১৭৯৫ সালের ১৫ আগস্টের কালো রাতের শোক এখনো কাটিয়ে উঠতে পারি না বলেই তার জন্মদিনে এখনো আনন্দ আয়োজন করতে পারি না। আমি মনে করি, জন্মদিনের দিনেও আমরা শোক বহন করে চলছি। বাংলাদেশ যে স্বাধীন দেশ হয়েছে, সেক্ষেত্রে একক ব্যক্তির কোনো অবদান থাকলে তিনি হচ্ছেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। এটাকে অস্বীকার করার কোনো সুযোগ নেই। ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ১৯৬৬ সালে ৬ দফা দাবি উত্থাপনের মাধ্যমে বাঙালি জাতির জন্য অনুপ্রাণিত হয়েছিল বলেই আমরা যুদ্ধ করে স্বাধীনতা এনেছিলাম। আমরা যদি ৭ মার্চের ভাষণকে মূল্যায়ন করি সেখানে দেখতে পাই, ‘আমি যদি হুকুম দেবার না পারি, তোমরা ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোলো।’ এটা ছিল একটা সামরিক চিন্তার ফসল। আজকাল অনেকেই স্বাধীনতার ঘোষক নিয়ে নানা ধরণের কথা বলেন, এসবের কোনো ভিত্তি নেই। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শুধু আমাদের স্বাধীনতাই এনে দেননি, তিনি বাংলাদেশ কিভাবে পরিচালিত হবে সেদিকে দিক নির্দেশনা দিয়েছিলেন। পররাষ্ট্র নীতি থেকে শুরু করে অর্থনৈতিক মুক্তির কথা তিনিই সৃষ্টি করেছিলেন। বাংলাদেশ ও বঙ্গবন্ধু অভিন্ন। বারবার তার চেতনাকে বিনষ্ঠ করার চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু ইতিহাসের অতল গহ্বরে তলিয়ে গেছে। বঙ্গবন্ধুর চিন্তা চেতনায় বাংলাদেশ তারই সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এগিয়ে যাচ্ছে। আমি ভোরের পাতা সংলাপের আরেকটি অনুষ্ঠানে উন্নয়ন নিয়ে কথা বলেছি, তাই নতুন করে কিছু বলতে চাচ্ছি না। আজকের এই বিশেষ দিনে শুধু এতটুকুই বলতে চাই, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি আমাদের জাতি হিসাবে ঋণ রয়েছে। এই ঋণ শোধ করার সহজ উপায় হচ্ছে তার আদর্শিক পথে চলা। আমি ভোরের পাতার সম্পাদক ড. কাজী এরতেজা হাসানকে এমন একটি মহতী আয়োজনের জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।