পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে এম আবদুল মোমেন বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবর্ষ এবং স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির এবারের সফর হবে শুধুই উদযাপনের। এসময় দ্বিপক্ষীয় সমস্যা নিয়ে আলোচনা হবে না।
শুক্রবার (১২ মার্চ) রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে এক অনুষ্ঠানের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ বিষয়ে কথা বলেন তিনি
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, 'নরেন্দ্র মোদি আসছেন, এতেই আমরা অনেক খুশি। চারজন রাষ্ট্রপ্রধান ও সরকারপ্রধান আসছেন। শ্রীলঙ্কা, নেপাল, ভুটান, মালদ্বীপ ও ভারতের রাষ্ট্রপ্রধান ও সরকারপ্রধান আসছেন। আমরা খুবই আনন্দিত, ইট শোজ দা হাইট অব ডিপ্লোম্যাটিক ম্যাচুরিটি অ্যান্ড এচিভমেন্ট।'
তিনি বলেন, ‘তারা সবাই আমাদের সঙ্গে একাত্ম হয়ে, আমাদের স্বাধীনতা দিবস, সুবর্ণ জয়ন্তী এবং বঙ্গবন্ধুর শতবার্ষিকী উদযাপনে আসছেন- এটাই তো আমাদের সবচেয়ে বড় পাওয়া।’
দীর্ঘদিন ঝুলে থাকা তিস্তা চুক্তির বিষয়ে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর সফরে কোনো আলোচনা হবে কি না- তা জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, 'ওগুলো বাদ, আমরা যেটা চাই- সেটা হচ্ছে এই যে একটি আনন্দ উৎসব, আমাদের বড় উৎসবে সবাই আসছেন, এতে আমরা আনন্দিত। আর অন্যান্য ছোটখাট জিনিস যেগুলো... ভারতের সঙ্গে তো আমাদের যে ধরনের বড় বড় সমস্যা, সব আমরা আলোচনার মাধ্যমেই দূর করেছি। আর যদি কিছু থাকে, সেগুলো আস্তে আস্তে করব।'
আবদুল মোমেন বলেন, 'এই ইভেন্ট হচ্ছে ভেরি স্পেশাল ইভেন্ট। এটা হচ্ছে এই দেশগুলোর… বাংলাদেশের প্রতি তাদের যে শ্রদ্ধাবোধ, স্বাধীনতার প্রতি তাদের যে বিরাট আগ্রহ, বঙ্গবন্ধু, যিনি তার পুরো জীবন উৎসর্গ করেছেন মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য। যেসব দেশের রাষ্ট্র বা সরকারপ্রধান আসছেন না, তারাও বার্তা পাঠিয়েছেন। চীনের প্রেসিডেন্ট, কানাডার প্রধানমন্ত্রী, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট বার্তা পাঠিয়েছেন।'
তিনি বলেন, 'বার্তাটা হলো, আমাদের সুবর্ণ জয়ন্তীতে তারা আমাদের সঙ্গে আছেন এবং সেইসঙ্গে বঙ্গবন্ধুর শতবার্ষিকীর যে উদযাপন এবং ওনার যে ত্যাগ, সেগুলো অত্যন্ত শ্রদ্ধার সঙ্গে গ্রহণ করেছেন।'
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, 'মহামারীর মধ্যে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর প্রথম বিদেশ সফর হবে বাংলাদেশে। আর কোথাও যাননি এই কোভিডের সময়। তিনি শুধু ঢাকায় আসতেছেন না, আমাদের প্রত্যন্ত অঞ্চলেও যাবেন। সাতক্ষীরা, গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া, ওড়াকান্দি যাবেন'।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শত বার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে এ মাসের ১৭ থেকে ২৬ মার্চ দশ দিন জাতীয় পর্যায়ে বেশ কিছু অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। তাতে যোগ দিতে ২৬ মার্চ ঢাকা আসার কথা রয়েছে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর। পরদিন সাতক্ষীরার যশোরেশ্বরী মন্দির, গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধ এবং কাশিয়ানীর ওড়াকান্দিতে মতুয়া সম্প্রদায়ের একটি মন্দিরে যাওয়ার কথা রয়েছে তার।
ভোরের পাতা-এনই