প্রকাশ: শুক্রবার, ১২ মার্চ, ২০২১, ৩:২৬ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
কুমিল্লার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের দাউদকান্দিতে সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়ে যাত্রীবাহী বাসে আগুন লেগে দুই যাত্রী নিহত ও ৯ অগ্নিদগ্ধসহ ২১ জন আহতের ঘটনায় মামলা হয়েছে।
শুক্রবার (১২ মার্চ) দাউদকান্দি মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোস্তফা কামাল বাদী হয়ে বাসের মালিক ও চালককে আসামি করে এ মামলা দায়ের করে।
মামলায় আসামিরা হচ্ছেন, মতলব এক্সপ্রেস বাসের মালিক মো. মিজানুর রহমান। তিনি কুমিল্লা দাউদকান্দি স্ববাহন গ্রামের মৃত আমির হোসেনের ছেলে এবং ওই বাসের চালককে অজ্ঞাত দেখানো হয়েছে।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দাউদকান্দি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম জানান, শুক্রবার (১২ মার্চ) তার থানার এসআই মোস্তফা কামাল বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। আসামিদের অবহেলাজনিত কারণে সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়ে বাসে আগুন লেগে দুই যাত্রী নিহত ও ৯ জন অগ্নিদগ্ধসহ ২১ জন আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (১১ মার্চ) সন্ধ্যায় ঢাকা থেকে মতলবগামী একটি যাত্রীবাহী বাস সিলিন্ডারে গ্যাস নেয়ার পর দাউদকান্দির গৌরীপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ইউটার্ন নেয়ার চেষ্টা করে। এ সময় গৌরীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে বাসটিতে হঠাৎ করেই আগুন লেগে যায়। আতংকিত হয়ে বাসের চালক ও সহকারী নেমে গেলেও হুড়োহুড়ির মধ্যে যাত্রীরা অগ্নিদগ্ধ ও আহত হয়। এতে ঘটনাস্থলেই শিশুসহ দুজন দগ্ধ হয়ে মারা যান। অগ্নিদগ্ধসহ গুরুতর আহত হন অন্তত ২০ জন।
পরে স্থানীয়রা এসে আগুন নিভিয়ে অন্য যাত্রীদের উদ্ধার করে এবং দমকল বাহিনীর সদস্যরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। অগ্নিদগ্ধদের ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ন ইউনিটে পাঠায়। বাসটিতে ২৫-৩০ জন যাত্রী ছিল বলে জানা গেছে।
এ ঘটনায় নিহতরা হলেন, কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার তিনপাড়া গ্রামের আহমদ উল্লাহর ছেলে রফিকুল ইসলাম (৭৫) ও দাউদকান্দির বনুয়াকান্দির সাইফুল ইসলামের সাড়ে তিন বছরের শিশু সাফিন। নিহত শিশু সাফিন তার দাদির সঙ্গে একটি দাওয়াতে অংশ নেয়ার জন্য মতলবে যাচ্ছিলেন।
পরবর্তীতে নিহত দুজনের পরিবারকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দাফন-কাফনের জন্য প্রাথমিকভাবে ২০ হাজার টাকা করে দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া আহতদের চিকিৎসার জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আর্থিক সহায়তা দেয়া হবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
ভোরের পাতা/পি