বুধবার অনুষ্ঠিত এ আলোচনায় উঠে আসে কর ব্যবস্থাপনা নিয়ে বিভিন্ন পরামর্শ। পিডব্লিউস’র পক্ষ থেকে আগামী বাজেট নিয়ে এনবিআরের কাছে লিখিত প্রস্তাব দেয়। বলা হয়, একটি কোম্পানি আরেকটি কোম্পানিকে কিনে নেওয়া (অধিগ্রহণ) এবং একটি কোম্পানি আরেকটির সঙ্গে স্বেচ্ছায় মিলে যাওয়ার (একীভূত) অবস্থা তৈরি হয়নি দেশে। অথচ বিশ্বে এ ব্যবস্থা জনপ্রিয়।
গুগল ও আমাজনের মতো বিশ্বখ্যাত কোম্পানিগুলোকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে সহায়তা করার দাবি জানায় পিডব্লিউসি। বলা হয়, তারা যাতে বাংলাদেশে আনন্দচিত্তে কাজ করতে পারে এবং সহজে কর দিতে দিতে পারে সেই ব্যবস্থা তৈরি করতে হবে।
কিছু ক্ষেত্রে সংযোগের কাজটি আমরা সম্পন্ন করে ফেলেছি জানিয়ে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, যেমন-গাড়ির মালিক কারা? এই মালিকেরা রিটার্ন দাখিল করেন কিনা। দামি গাড়ি ব্যবহারকারীদের অর্থের উৎস কি-এ সব আমরা দেখব।’
বাড়ির মালিকদের চিহ্নিত করার জন্য বাড়ির হোল্ডিং নম্বর অনুযায়ী মালিকদের চিহ্নিত করা হবে। পরে জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) সঙ্গে মেলানো হবে বলেও জানান এনবিআর চেয়ারম্যান।
সিপিডির পক্ষ থেকে বলা হয়, সৎ করদাতাদের বেশি কর দিতে হয়, আর অপ্রদর্শিত আয়ের মালিকদের দিত হয় কম, এ ব্যবস্থাটি সৎ করদাতাদের নিরুৎসাহিত করে। বাণিজ্যভিত্তিক মানি লন্ডারিং দূর করারও পদক্ষেপ নিতে বলেছে সিপিডি। গবেষণা সংস্থাটি আরও বলেছে, সম্পদের ওপর আরোপের চিন্তাও করতে পারে এনবিআর।
সম্পদের ওপর কর আরোপ নিয়ে এনবিআর চেয়ারম্যান অবশ্য বলেন, সম্পদের ওপর সারচার্জ নেওয়া হয়। সম্পদ কর আরোপ করা হলে সম্পদ বিক্রি করে তা দিত হয় কিনা, সেটাও এক প্রশ্ন। কারণ, সম্পদ থাকলেও তার মাধ্যমে যদি আয় না হয়, তাহলে কর আরোপ করা সংগত নয়।
ভোরের পাতা/কে