প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ১১ মার্চ, ২০২১, ১:০৫ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ অসুস্থ হয়ে সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বর্তমানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলেও একটিবারের জন্য এই জ্যেষ্ঠ নেতার খোঁজ নেননি দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন চাউর হয়েছে, দলে মওদুদের প্রয়োজন শেষ হয়েছে। তাছাড়া তিনি তারেকের কথা ঠিকমতো না শোনার কারণে গভীর ক্ষোভ থেকেই তার খবরাখবর নেননি তারেক।
দায়িত্বশীল সূত্রের তথ্যমতে, অসুস্থ হয়ে পড়লে গত ১ ফেব্রুয়ারি দিনগত রাত ১২টার দিকে সিঙ্গাপুর এয়ার লাইন্সের একটি প্লেনে মওদুদ আহমদকে সিঙ্গাপুর নেওয়া হয়। সেখানে মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে তিনি চিকিৎসা নিচ্ছেন। কিন্তু নতুন তথ্য হলো, তার শারীরিক অবস্থা হঠাৎ অবনতি হয়েছে। ফুসফুসে পানি জমেছে। চিকিৎসকরাও অভয় দিয়ে কিছু বলতে পারছেন না। এমতাবস্থাতেও পুরনো রাগ পুষে রেখে মওদুদের কোনপ্রকার খোঁজখবর নেননি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এমনকি মওদুদের পরিবারের পক্ষ থেকে তার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি তাতে কোন প্রকার সাড়া দেননি।
লন্ডনের কিংস্টনভিত্তিক সূত্রের দাবি, মওদুদ আহমেদ দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের কোন কথাই শুনতেন না। নিজের মত করে চলতেন। আর সহযাত্রী হিসেবে তাকে সার্বক্ষণিক সঙ্গ দিয়েছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এ কারণে তাদের উপর ক্ষিপ্ত রয়েছেন তারেক। সম্ভবত এজন্যই মওদুদের খোঁজ নেওয়ার প্রয়োজন বোধ করেননি তিনি।
এ ব্যাপারে মওদুদের স্ত্রী হাসনা মওদুদের বরাত দিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান বলেন, সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন সাবেক মন্ত্রী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের শারীরিক অবস্থা হঠাৎ অবনতি হয়েছে। তার ফুসফুসে পানি জমেছে বলে জেনেছি। কিন্তু তারেক রহমান তার খোঁজ নিয়েছেন কিনা, এ ব্যাপারে জানিনা। হয়তো তিনি ব্যস্ত আছেন, ফ্রি হলেই খোঁজ নেবেন।
প্রসঙ্গত, এর আগে গত বছরের ২৯ ডিসেম্বর অসুস্থ হয়ে পড়লে মওদুদকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে ২০ জানুয়ারি তাকে হাসপাতাল থেকে বাসায় নিয়ে আসা হয়। ২১ জানুয়ারি পুনরায় এভার কেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে ১ ফেব্রুয়ারি এই জ্যেষ্ঠ নেতাকে সিঙ্গাপুর নেওয়া হয়।