তিউনিশিয়ায় অভিবাসীবাহী নৌকাডুবি, ৩৯ জনের মৃত্যু
সীমানা পেরিয়ে ডেস্ক
প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ১১ মার্চ, ২০২১, ১২:০০ এএম আপডেট: ১১.০৩.২০২১ ৪:১৮ এএম | প্রিন্ট সংস্করণ
ইউরোপের স্বপ্ন দেখে আফ্রিকা এবং এশিয়া থেকে হাজার হাজার মানুষ অবৈধপথে সাগরপাড়ি দিয়ে থাকে। এজন্য তাদেরকে চরম খেসারতও দিতে হয়। প্রতিবছরই সাগরে ডুবে হাজার হাজার অভিবাসীকে প্রাণ হারাতে হয়। তারপরেও থেমে থাকেনি এই অগাস্ত যাত্রা। গত মঙ্গলবার এমনি ভাবে জীবন হারাতে হয়েছে ৩৯জন অভিবাসীকে। যারা ভুমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপে ঢোকার চেষ্টা করছিল।
হতভাগ্য এসব অভিবাসীরা তিউনিশিয়ায় সীমান্তে ভূমধ্যসাগরে নৌকাডুবিতে নিহত হন। এ সময় জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে অন্তত ১৬৫ জনকে। খবর রয়টার্সের।
গত মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে তিউনিশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ভূমধ্যসাগর দিয়ে ইউরোপে প্রবেশের সময় তিউনিশিয়া উপকূলে নৌকা দুটি ডুবে যায়। মৃতরা সবাই আফ্রিকান নাগরিক।প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মোহাম্মদ জাকেরি জানান, এই ঘটনায় আরও লোক নিখোঁজ রয়েছে কি না সেটি খতিয়ে দেখতে স্ফ্যাক্স উপকূলে উদ্ধার অভিযান পরিচালনা অব্যাহত রেখেছে তিউনিশিয়ার কোস্টগার্ড।
রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, গত দুই মাসে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইতালিতে প্রবেশ করেছে প্রায় চার হাজার অভিবাসী। এর মধ্যে তিউনিশিয়া দিয়েই ঢুকেছে এক হাজার।তিউনিশিয়ার বন্দর শহর স্ফ্যাক্সের নিকটবর্তী উপকূলরেখা আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্যের সংঘাতপূর্ণ দেশগুলো থেকে পালিয়ে ইউরোপে যাওয়ার অন্যতম রুটে পরিণত হয়েছে। উন্নত জীবনের আশায় এসব মানুষ ভয়ংকর সাগরপথ পাড়ি দেয়।এর আগে ২০১৯ সালে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দেয়ার সময় তিউনিশিয়া উপকূলে নৌকাডুবে অন্তত ৯০ আফ্রিকানের মৃত্যু হয়।