প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ১১ মার্চ, ২০২১, ১২:০০ এএম আপডেট: ১১.০৩.২০২১ ২:১৫ এএম | প্রিন্ট সংস্করণ
উন্নয়শীল দেশে উত্তরণের ফলে দেশের পোশাক ও ওষুধশিল্পে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি। উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণে খুশি হলেও এর ফলে বেকারত্বসহ যে প্রভাবগুলো পড়বে তা বিবেচনা করার জন্যও বলা হয়েছে। গতকাল বুধবার সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে এ আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়। এসময় উন্নয়নশীল দেশে উন্নয়নের সমস্যা এবং সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা হয়। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি মুহাম্মদ ফারুক খানের সভাপতিত্বে বৈঠকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, নুরুল ইসলাম নাহিদ, গোলাম ফারুক খন্দকার প্রিন্স, মো. আব্দুল মজিদ খান, নাহিম রাজ্জাক এবং কাজী নাবিল আহমেদ অংশ নেন।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের কমিটির সভাপতি ও সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী মুহম্মদ ফারুক খান বলেন, সংসদীয় কমিটি উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণে খুশি। কিন্তু উত্তরণের ফলে যে প্রভাবগুলো পড়বে তা বিবেচনা করতে হবে। প্রভাবগুলো নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে বেকারত্ব বেড়ে যাবে। এ বিষয়ে আগেই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে। তবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সার্বিক বিষয়ে পর্যালোচনার জন্য একটি কোর কমিটি গঠন করেছে। ফারুক খান আরও বলেন, উন্নয়নশীল দেশে গেলে আমরা এখন যেসব সুবিধা পাচ্ছি, তার অনেক কিছু বন্ধ হয়ে যাবে। এতে অনেক ক্ষেত্রে প্রভাব পড়বে। বিশেষ করে আমাদের ওষুধ ও গার্মেন্টস শিল্পের বিষয়টি দেখতে হবে। ওষুধশিল্পের প্যাটেন্ট বাবদ টাকা প্রদান করতে গেলে ওষুধ সাধারণ মানুষের ক্রয়সীমার বাইরে চলে যাবে। দেখা যাবে প্যারাসিটামলের একপাতার (১০টি ট্যাবলেট) দাম দুইশ’ টাকা হয়ে গেছে। এটা যাতে না বাড়ে তার জন্য এখনই প্রস্তুতি নিতে হবে।
জানা যায়, বৈঠকে বাংলাদেশ এলডিসি থেকে উত্তরণের ক্ষেত্রে যে সব সমস্যার মুখোমুখি হবে তা সমাধানে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মপরিকল্পনাগুলো যথাযথভাবে বাস্তবায়নের সুপারিশ করা হয়। এছাড়া স্পেনের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদার করা, স্পেন-বাংলাদেশ ট্যুরিজমকে উৎসাহিত করা এবং সাংস্কৃতিক সম্পর্কের নতুন দুয়ার উন্মোচনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কমিটি মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করে। বৈঠকে ব্রাজিলে রফতানি বৃদ্ধির লক্ষ্যে আগামী এক বছরের মধ্যে সেখানে রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর মাধ্যমে ট্রেড ফেয়ার আয়োজনের ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়।