কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার মানিক কাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আঙিনায় শতবর্ষী ঐতিহ্যবাহী তেঁতুল গাছ দাঁড়িয়ে আছে আজ কালের সাক্ষী হয়ে।
তেঁতুল গাছ একটি ঔষধি গাছ যে গাছের ফলে বিজে রয়েছে প্রচুর ওষুধি গুনাগুন। একদিকে যেমন প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষাতে রয়েছে গাছের অবদান, পাশাপাশি যেমন দিয়ে যাচ্ছে অক্সিজেন বিশাল এ তেঁতুল গাছের ছায়া তলে রয়েছে মানুষের প্রশান্তি যেন দূর দূরান্ত পথচারীরা গাছটির ছায়া তলে বসে জুরাই তাদের প্রাণ।
স্থানীয় মানিককাট গ্রামের আফজাল হোসেন বলেন, এই তেঁতুল গাছ বট গাছের মত বিশাল জায়গা নিয়ে জুড়ে আগে বিস্তৃত ছিল। কালের বিবর্তন মানের সাথে গাছটির প্রাকৃতিক ঝড়ের কারনে বিশাল আকার তেঁতুল গাছটি বিলুপ্ত হয়ে যাওয়ার পর্যায়ে রয়েছে।
এ গাছটি সম্পর্কে বাইরে লোকজনরা অনেক আগ থেকেই জানে। তেঁতুল গাছটি ভিতরে ধোর হয়ে যাওয়ার কারনে শতবর্ষী এই গাছটি বৃদ্ধি পেতে বাঁধা গ্রস্ত হচ্ছে। গাছটির শাখা প্রশাখা গুলো ভেঙে গিয়ে আগের সৌন্দর্য নষ্ট হতে বসতে শুরু করছে। মানিককাট গ্রামের নাম অনেকে না জাললেও তেঁতুল খোকসায় তেঁতুল তলা বললে দূর-দূরান্তের লোক ঠিকই চিনতে পারে। খোকসার এই তেঁতুল গাছটি বয়সের ভারে ফল দিতে অক্ষম হয়ে পড়েছে। বিশাল আকৃতি গাছের ডগা অনেকদৃর থেকে দেখা যেত। এখন আর সে রকম দেখা যায় না। কারন গাছের আর যৌবনের সেই ধাক্কার দিন শেষ বাধর্ক উপনিত। গাছের সাথে মানুষের জীবনের সম্পর্ক নিবিড় ভাবে জরিত গাছ আর মানুষের জীবন চক্রাকারে ঘূর্ণায়মান।
ভোরের পাতা/ই