তিনি বলেন, “অবিলম্বে সামরিক অভ্যুত্থান বন্ধে আমাদের আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছ থেকে আরও শক্ত পদক্ষেপ দরকার। নিরীহ মানুষের ওপর নিপীড়ন বন্ধ, রাষ্ট্রক্ষমতা জনগণের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া এবং গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য তা দরকার।”
করতালি দিয়ে তার এই বক্তব্যের প্রতি সমর্থন জানানো হয়। একে ‘সাহসী’ বক্তব্য অভিহিত করেছেন অনেকে, যাদের মধ্যে জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন রাষ্ট্রদূত লিন্ডা টমাস-গ্রিনফিল্ডও রয়েছেন।
এদিকে শনিবার মিয়ানমারে অভ্যুত্থানবিরোধীদের ওপর দমনাভিযান তীব্রতর করেছে নিরাপত্তা বাহিনী। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম কয়েক ডজনকে গ্রেপ্তার এবং মনয়ি শহরে এক নারী গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর দিয়েছে। ওই নারীর অবস্থা সম্পর্কে স্পষ্ট কিছু জানা যায়নি বলে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
গত ১ ফেব্রুয়ারির অভ্যুত্থানের পর থেকে মিয়ানমারে প্রতিবাদ-সমাবেশ-বিক্ষোভ চলছে। ওই দিনই অং সান সুচি'র নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে তাকে গৃহবন্দী করা হয়। গত তিন সপ্তাহ ধরে মিয়ানমারের বিভিন্ন শহরে প্রতিদিনই সেনাশাসনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ-ধর্মঘট চলছে। ইতোমধ্যে বিক্ষোভকারীদের ওপর রাষ্ট্রীয় বাহিনীর দমন-পীড়ন ছাড়াও হামলা চালিয়েছে সেনা অভ্যুত্থান সমর্থকেরাও।
ভোরের পাতা/ই