বেহাল দশা ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আ. লীগে, হাহাকার অবস্থা পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে!
প্রকাশ: রোববার, ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ২:২৮ এএম আপডেট: ২৮.০২.২০২১ ২:৩৮ এএম | অনলাইন সংস্করণ
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগে চলছে বেহাল সাংগঠনিক অবস্থা।এখানকার থানা ও ওয়ার্ডগুলোতে সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক থাকলেও অনেক জায়গায় পূর্ণাঙ্গ কমিটি নেই এক যুগেরও বেশি সময় ধরে। দক্ষিণের নতুন দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা বলছেন, খুব দ্রুত কেন্দ্রভিত্তিক কমিটি গঠনের মাধ্যমে সংগঠনকে ঢেলে সাজাতে কাজ শুরু হবে।
প্রথমে বৃহত্তর ডেমরা এবং পরে যাত্রাবাড়ী থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি হন কাজী মনিরুল ইসলাম মনু। কিন্তু গত ১৩ বছরেও পূর্ণাঙ্গ কমিটি করতে পারেননি তিনি। এ থানার ওয়ার্ড কমিটিগুলোরও সম্মেলনেরও এক যুগ পার হয়ে গেছে।
যাত্রাবাড়ি থানা আওয়ামী লীগ সভাপতি কাজী মনিরুল ইসলাম মনু বলেন, আমার যদি জবাবদিহিতা না থাকে আমি কাউকে মানবো না আর আমার যদি জবাবদিহিতা থাকে তাহলেই আমি মানবো। ওয়ার্ড কমিটিগুলোর কোন জবাবদিহিতা নেই। তারা জকবে সভাপতি-সেক্রেটারি হয়েছে তারা নিজেরাও ভুলে গেছে।
প্রায় ৫ বছর আগে সভাপতি নির্বাচিত হলেও কমিটি পূর্ণাঙ্গ হয়নি মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের। মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগ সভাপতি বশিরুল আলম খান বাবুল বলেন, পূর্ণাঙ্গ কমিটিগুলো আমাদেরই করার কথা ছিল কিন্তু এর দায়িত্ব মহানগর আওয়ামী লীগ নিয়েছিল। তারা আমাদেরকে বলেছিল আলাপ আলোচনা করেই কমিটিগুলো দেয়া হবে। কিন্তু তারা আলাপ আলোচনাও করেনি কমিটিও দেয়া হয়নি।
২০১৬ সালের ১০ই এপ্রিল ঢাকা মহানগরকে উত্তর ও দক্ষিণে ভাগ করে কমিটি ঘোষিত হয়। এ সময় প্রত্যেকটি ওয়ার্ড, ইউনিয়ন ও থানা কমিটির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকও নির্বাচিত হন। পরে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনে যুক্ত হওয়া ৮টি ইউনিয়নকে ১৮টি ওয়ার্ডে পরিণত করা হয়।
এখন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক ওয়ার্ড ৭৫টি এবং থানা ২৪টি। এগুলোর মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি রয়েছে মাত্র ২৮টি ওয়ার্ড ও ১৩টি থানায়। কোনো কোনো থানার নেতা মহানগর কমিটিতে চলে আসায় সেসব পদ শূন্য হয়ে পড়েছে।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক মোহাম্মদ রিয়াজ উদ্দিন বলেন, সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক হওয়ার পরে যদি সেই পূর্ণাঙ্গ কমিটি না হয় সেই সাংগঠনিক শক্তিটা কিন্তু থাকে না। আমরাও চাই সকল থানা কমিটিগুলো সম্মেলনের মাধ্যমেই করা হোক।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির জানান, মহল্লায় মহল্লায় কমিটি গঠনের পরই ওয়ার্ড ও থানার সম্মেলন শুরু করতে চান তারা। একটি সম্মেলনের পর আরেকটা সম্মেলন শেষ হলে অটো কমিটিগুলো ডিস্যাবল হয়ে যায়। আগে কেন্দ্রভিত্তিক কমিটি করা হবে, তারপর ওয়ার্ড এরপর থানা সম্মেলন। এগুলো প্রত্যেকটাই খোলাখুলিভাবে হবে।
এদিকে, বুধবারের বিশেষ বর্ধিত সভায় আগামী তিনমাসের মধ্যে দক্ষিণ মহানগরের মহল্লাগুলোতে কমিটি গঠনের কাজ শুরুর নির্দেশ দেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।