প্রকাশ: বুধবার, ২৭ জানুয়ারি, ২০২১, ১০:১৫ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
বাংলাদেশ আজকে পৃথিবীর মধ্যে যে অবস্থানে আছে সেটা সবার কাছে ঈর্ষণীয় অবস্থায় আছে। আমাদের জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেভাবে শুরু থেকে করোনাকে মোকাবেলা করেছে সেটা পুরো পৃথিবীর কাছে আশ্চর্যের বিষয়। আজকে করোনা মোকাবেলায় বাংলাদেশের যা সাফল্য আছে তাতে আমরা সারা বিশ্বে করোনা মোকাবেলায় ২০তম অবস্থানে আছি আর দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে আমরা প্রথম অবস্থানে আছি।
দৈনিক ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপের ২৩২তম পর্বে এসব কথা বলেন আলোচকরা। বুধবার (২৭ জানুয়ারি) আলোচক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী ড. শ্রী বীরেন শিকদার, স্পেন আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মোহাম্মদ শাকিল খান (পান্না), কুয়েত-বাংলাদেশ মৈত্রী সরকারি হাসপাতালের করোনা চিকিৎসক ডা. সালমা বিনতে রহমান। দৈনিক ভোরের পাতা সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের পরিকল্পনা ও নির্দেশনায় অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সাবেক তথ্য সচিব নাসির উদ্দিন আহমেদ।
মোহাম্মদ শাকিল খান (পান্না) বলেন, আজ সারা বিশ্বে যেভাবে করোনা তার লীলা তাণ্ডব চালাচ্ছে সেখানে বিশ্বের সব বড় বড় অর্থনৈতিক ক্ষমতাধর সম্পন্ন দেশগুলো আছে সেখান থেকে আজ আমাদের বাংলাদেশের অবস্থা অনেক ভালো। আমাদের জননেত্রী শেখ হাসিনা যেভাবে করোনা মোকাবেলা করেছে তাতে বাংলাদেশ আজকে অনেক সফল অবস্থানে আছে। আল্লাহ্র অশেষ রহমত আছে বিধায় আজকে বাংলাদেশ এই অবস্থানে আছ। বাংলাদেশে সম্প্রতি মহামারী করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলা নিয়ে বহির্বিশ্বে প্রশংসিত হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। করোনায় বাংলাদেশে মৃত্যুর হার মাত্র ১.৪৫ শতাংশ; যা অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক কম। করোনা পরিস্থিতিতে মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে শুরু থেকেই গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন পদক্ষেপ নেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একই সঙ্গে দরিদ্র মানুষকে ত্রাণ সহযোগিতার পাশাপাশি জীবিকা ও অর্থনীতি বাঁচাতে তিনি নিয়েছেন নানান পদক্ষেপ; ফলে আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও প্রশংসিত হয়েছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাংলাদেশে গত পঞ্চাশ বছরে আর্থিক ক্ষেত্রে অগগ্রতি চলমান। উনিশশো একাত্তর সালে যুদ্ধবিধ্বস্ত, সাহায্যনির্ভর, ঋণ নির্ভর স্বাধীন দেশটি আর্থিক উপার্জনের কৌশল বাড়িয়ে আজ মধ্যম আয়ের দেশের কাতারে। কৃষিভিত্তিক বাংলাদেশ জাতীয় আয়ের প্রধান উৎসকে কৃষি থেকে তৈরি পোষাক আর জনশক্তিতে রুপান্তর ঘটিয়ে ব্যাপক উন্নয়নের দ্বার খুলেছে। উনিশশো একাত্তর সালের মাথাপিছু আয় ৬৭১ টাকা আজ বেড়ে দাঁড়িয়েছে দেড় লাখ টাকার উপরে। এবং তখনকার সময়ে দেশের বার্ষিক রপ্তানিকেও বাড়িয়ে আকাশ ছোঁয়া করেছে। মানবসম্পদ উন্নয়ন, নারীর ক্ষমতায়ন, দুর্যোগ মোকাবেলায় সক্ষমতা ও নারীর অংশগ্রহণ বেড়েছে। এসব কিছু আজ বাংলাদেশে সম্ভব হয়েছে একমাত্র আমাদের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার ভিসনারি লিডারশীপের কারণে। এই করোনা যদি আরও দীর্ঘদিন থাকে তাহলে এমন অবস্থা হতেও পারে যে সকল প্রবাসীরা বাংলাদেশে ফেরত আসতে পারে কারণ সারা বিশ্বের প্রবাসীরা তেমন ভালো অবস্থানে নেই এই করোনাকালীন সময়ে। করোনায় যখন সারা বিশ্ব টালমাটাল তখন বাংলাদেশ সরকার জনগণের পাশে ছিল এবং অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশে মৃত্যুহারও কম এর কারণে। আজকে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক গতিশীলতা ও বিভিন্ন দিকে এগিয়ে যাওয়ার হার সত্যিই ঈর্ষণীয়।