শেখ হাসিনার সুদক্ষ পরিকল্পনার কারণে বাংলাদেশ করোনা মোকাবেলায় সফল: ডা. সালমা বিনতে রহমান
প্রকাশ: বুধবার, ২৭ জানুয়ারি, ২০২১, ১০:১৬ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
বাংলাদেশ আজকে পৃথিবীর মধ্যে যে অবস্থানে আছে সেটা সবার কাছে ঈর্ষণীয় অবস্থায় আছে। আমাদের জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেভাবে শুরু থেকে করোনাকে মোকাবেলা করেছে সেটা পুরো পৃথিবীর কাছে আশ্চর্যের বিষয়। আজকে করোনা মোকাবেলায় বাংলাদেশের যা সাফল্য আছে তাতে আমরা সারা বিশ্বে করোনা মোকাবেলায় ২০তম অবস্থানে আছি আর দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে আমরা প্রথম অবস্থানে আছি।
দৈনিক ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপের ২৩২তম পর্বে এসব কথা বলেন আলোচকরা। বুধবার (২৭ জানুয়ারি) আলোচক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী ড. শ্রী বীরেন শিকদার, স্পেন আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মোহাম্মদ শাকিল খান (পান্না), কুয়েত-বাংলাদেশ মৈত্রী সরকারি হাসপাতালের করোনা চিকিৎসক ডা. সালমা বিনতে রহমান। দৈনিক ভোরের পাতা সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের পরিকল্পনা ও নির্দেশনায় অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সাবেক তথ্য সচিব নাসির উদ্দিন আহমেদ।
ডা. সালমা বিনতে রহমান বলেন, একজন স্বাস্থ্যকর্মী হিসেবে করোনার শুরু থেকে দেখে আসছি যেভাবে করোনা মোকাবেলায় বাংলাদেশ সাফল্য দেখিয়েছে তা এতো ঘনবসতি দেশের ক্ষেত্রে এতোটা সহজ ছিলোনা। আমরা সবাই উদ্বিগ্ন ছিলাম যে আমরা পারবো কি পারবো না। কিন্তু আল্লাহর অশেষ রহমতে আমাদের সুদক্ষ নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কর্মগুনে আমরা করে দেখিয়েছি। বাংলাদেশের মতো দেশের জন্য এটা আশ্চর্যপূর্ণ যে কিভাবে এতো সফলভাবে আমরা এই সময়টা পারি দিয়েছি। শুরু থেকে আজ পর্যন্ত যত গুলো কাজ হয়েছে সব গুলোর পিছনে একটা সুদক্ষ কর্মপরিকল্পনা ছিল। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, আমাদের সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা থেকে শুরু করে সকল পর্যায়ে সুদক্ষ কর্মপরিকল্পনার কারণে আমরা আজকে এই অবস্থানে এসেছি। শুরু থেকেই সঠিক সিদ্ধান্ত, কোন সময় লকডাউন দেওয়া, কোন সময় লকডাউন বাড়ানো, কোন সময় লকডাউন কমানো, ওষুধ সাপ্লায়, চিকিৎসা সরঞ্জাম বৃদ্ধি থেকে শুরু করে আমাদের ডাক্তারদেরকে সকলভাবে সহযোগিতা করা হয়েছে। আমরা যে আজ এই অবস্থানে আছি এটা সকলের সহযোগিতা ছাড়া সম্ভব ছিলো না। আমাদের স্বাস্থ্য কর্মীদের সকলের আন্তরিকতা ছিল। সবাই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নেমে পড়েছিল। আমাদের পিছনে অনেক মানুষ কাজ করেছে। আজকে গর্ব করে বলতে পারি, আজ পর্যন্ত কোন রোগী বিনা চিকিৎসায় ফিরে যায়নি। কোথাও কেউ বলতে পারবে না যে, কেউ করোনার চিকিৎসা পাননি, স্বাস্থ্য কর্মীরা আন্তরিক ছিলো না। এটাই সবচে বড় বিষয়। সেদিক থেকে শুরু করে আজকে আমরা একটা ঐতিহাসিক অবস্থানে পৌঁছেছি। আজ আমরা করোনার টিকাদান কর্মসূচী শুরু করেছি। ইউরোপ-আমেরিকা যখন করোনা টিকা দেওয়া শুরু করেছিল তখন থেকেই আমরা প্রস্তুতি নিয়েছে, আলহামদুলিল্লাহ আজ আমরা সেটা করতে সক্ষম হয়েছে যা একমাত্র সম্ভব হয়েছে আমাদের জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দ্বারা। বাংলাদেশ আজ দেখিয়ে দিয়েছে যে আমরাও আগে করতে পারি। অন্যান্য সকল সেক্টরে দেখা যায়, সবাই শুরু করার পর বাংলাদেশে শুরু হয়, কিন্তু এবার আমরা সবাই একসাথে শুরু করি। উন্নত দেশে করোনা মোকাবেলা ও প্রস্তুতি নিয়ে যেভাবে কাজ শুরু করেছিল আমরা তাদের মতো শুরু করেছি, সে হিসেবে আমরা আলহামদুল্লিলাহ অনেক ভালো করেছি।