যুক্তরাজ্য প্রবাসী বাংলাদেশি ডাক্তারের প্রতিক্রিয়া ‘টিকা নিয়েছি, কিছু টেরই পাইনি’
প্রকাশ: বুধবার, ২৭ জানুয়ারি, ২০২১, ২:৪৮ এএম আপডেট: ২৭.০১.২০২১ ২:৪১ পিএম | প্রিন্ট সংস্করণ
গেল ডিসেম্বর থেকেই করোনা ভাইরাসের টিকা দেওয়া শুরু হয়েছে যুক্তরাজ্যে। সে সময় টিকা নিয়েছিলেন সেখানে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশি ডাক্তার শাইখ রহমান। তার বয়স সত্তরের বেশি। দেশের একটি জাতীয় দৈনিকে তিনি তার টিকা নেওয়ার অভিজ্ঞতায় লিখেছেনÑ ‘বাঁ বাহুতে টিকা দিই। কয়েক সেকেন্ড সময় লাগল। কোনো ব্যথা পেলাম না। একটু ফুলেও ওঠেনি। কোনো ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া তো দূরের কথা, প্রতিক্রিয়াও বুঝতে পারলাম না। ভয় তো পেলামই না। ওরাই জানাল, এটা অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা দিয়েছে আমাকে। আমরা ছোটবেলায় যখন স্মলপক্সের টিকা নিতাম, তখন অনেক দিন জায়গাটি গর্ত হয়ে থাকত। অনেকের আজীবন সেই চিহ্ন বয়ে বেড়াতে হতো। এই টিকার নিডল এতই সূক্ষ্ম ও তীক্ষ যে কিছুই টের পেলাম না।’
তিনি বলেন, ‘যুক্তরাজ্যে ডিসেম্বরেই টিকা দেওয়া শুরু হয়েছে। আগেই নির্ধারিত ছিল প্রথমে দেবে ৮০ বছরের ওপরের মানুষকে, তারপরে ৭০ বছরের ওপরের এবং পর্যায়ক্রমে নিচের দিকে নামবে। আমি ৭০ বছরের বেশি বয়সী মানুষ। অবসরপ্রাপ্ত চিকিৎসক। বাংলাদেশের খুলনায় বাড়ি। আমি অপেক্ষায় ছিলাম। এখানকার সিস্টেম অনুসারে ফ্যামিলি ডাক্তারের কাছেই প্রতিটি রোগীর তথ্য থাকে। ওই ডাক্তারের পরামর্শ অনুসারেই চলতে হয়। এর মধ্যে আমার ফ্যামিলি ডাক্তার আমাকে একদিন ফোন করে জানতে চাইলেন, আপনি কবে টিকা নেবেন? আমি বললাম, যেকোনো দিন। তিনি দিন জানালেন শনিবার সকাল ১০টায় অথবা বিকেল ৩টায়। আমি বললাম, ৩টায় নেব। সে অনুসারে আমি সেন্টারে যাই। সেখানে যাওয়ার পর আমার ডাক পড়ে।
তিনি আরও বলেন, ‘টিকা দেওয়ার পরে একটি কার্ড দিয়েছে। কিন্তু দ্বিতীয় ডোজ কবে দিতে হবে, তা ওরা জানাতে পারল না। আমি জিজ্ঞেস করলাম, ওরা বলল, এখনো ঠিক হয়নি, পরে জানানো হবে। আমার যতদূর মনে হয়, এখানে যেহেতু প্রথম ডোজের পর দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া নিয়ে এক ধরনের দ্বিধাদ্বন্দ্ব আছে, তাই হয়তো চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত এখনো হয়নি। বিশেষত, শুরুতে ছিল প্রথম ডোজের ১২ সপ্তাহ পর দ্বিতীয় ডোজ দিতে হবে; কিন্তু এখানকার মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন তাতে আপত্তি করেছে। তারা বলতে চায়, এত দেরি করার দরকার নেই। এই সময়টি কমিয়ে আনা দরকার। সেটা নিয়ে সরকার আর মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন একমত হতে পারেনি হয়তো এখনো।’