প্রকাশ: বুধবার, ২৭ জানুয়ারি, ২০২১, ২:৪৮ এএম আপডেট: ২৭.০১.২০২১ ২:১৯ পিএম | প্রিন্ট সংস্করণ
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) জ্যেষ্ঠ সচিব মো. আলমগীর জানিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হবে। তিনি বলেছেন, ‘সম্পূর্ণ প্রস্তুতি শেষ। আশা করছি- চট্টগ্রামে সুষ্ঠু, প্রতিযোগিতামূলক ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এজন্য যা যা উদ্যোগ নেওয়া দরকার, তা নেওয়া হয়েছে।’ গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন ইসি সচিব। আজ বুধবার চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচন হবে আশা করে ইসি সচিব বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব হলো সবার জন্য সমান সুযোগ তৈরি করে দেওয়া। যাতে ভোটাররা ভোটকেন্দ্রে আসতে পারেন, ভোট দিতে পারেন। কেউ যেন তাদের বাধা না দেয়। সেজন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী রাখা হয়েছে। সেটা তারা দায়িত্ব পালন করবে। লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড এটাই। সবার জন্য সমান সুযোগ।’ লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডও নিশ্চিত করতে পেরেছেন উল্লেখ করেন তিনি। একজন কমিশনার বলেছেন, সবার জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করাই বড় চ্যালেঞ্জ। ওই কমিশনারের বিষয়ে ইসি সচিব বলেন, ‘উনি কেন বলেছেন, সেটা উনিই ভালো বলতে পারবেন। এ বিষয়ে আমার কোনো বক্তব্য নাই।’ চসিক নির্বাচনে সহিংসতার আশঙ্কা আছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব বলেন, ‘সেটা তো সবসময়ই থাকে। গোয়েন্দা বিভাগ থেকে আমাদেরকে জানানো হয় কোন কোন কেন্দ্রগুলো ঝুঁকিপূর্ণ। রিটার্নিং কর্মকর্তা যখন তালিকা দেন, রিটার্নিং কর্মকর্তা ও পুলিশ প্রশাসন তারা সেই অনুযায়ী সেসব কেন্দ্রে বেশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করেন। যেগুলো সাধারণ কেন্দ্র সেখানে ১৬ জন করে দায়িত্ব পালন করবে। আর যেগুলো ঝুঁকিপূর্ণ সেখানে ১৮ জন করে থাকবেন এবং সেখানে অস্ত্র বেশি থাকবে।’ তবে চসিক নির্বাচনে ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রের সংখ্যা জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেন ইসি সচিব।
তিনি বলেন, ‘আমরা মনে করি- যত রকম নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন, তার সবটুকুই সেখানে নেওয়া হয়েছে। যারা ওই এলাকার ভোটার না বা ভোট কেন্দ্রে এসে গ-গোল করতে পারে- এ ধরনের কাজ যাতে না করতে পারে এজন্য শহরে প্রবেশের যে পথগুলো আছে সেখানে পুলিশি পাহারা থাকবে। যাতে ভোটার ছাড়া অন্য কোনো লোক ভোট কেন্দ্রে এসে গ-গোল না করতে পারে বা ভোটকেন্দ্রের বাইরেও যাতে কোনোরকম আইনশৃঙ্খলার ক্ষেত্রে কোনো বিঘ্ন সৃষ্টি না করতে পারে। আমরা মনে করি যে, নির্বাচন অত্যন্ত সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে করার জন্য যা যা করা দরকার, সেই ব্যবস্থা নির্বাচন কমিশন করেছে।’ চট্টগ্রামে ১০ হাজারের বেশি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন রয়েছে বলেও জানান তিনি।
তিনি জানান, প্রতিটি ওয়ার্ডে একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট থাকবেন। প্রতি দুই ওয়ার্ডের জন্য একজন করে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট থাকবেন। ইসি সচিব বলেন, ‘রিটার্নিং কর্মকর্তা, পুলিশ প্রশাসন, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে যে পরিমাণ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চাহিদা আমাদের কাছে দেওয়া হয়েছে, নির্বাচন কমিশন থেকে সে পরিমাণ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে এবং তাদেরকে বাজেটও দেওয়া হয়েছে।’