প্রকাশ: শুক্রবার, ২২ জানুয়ারি, ২০২১, ২:২৩ এএম আপডেট: ২২.০১.২০২১ ২:৫২ পিএম | প্রিন্ট সংস্করণ
জনশুমারিতে তথ্য সংগ্রহে গাফিলতি হলে ফৌজদারি অপরাধে বিচার হবে উল্লেখ করে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, যে কোনো পরিকল্পনা প্রণয়নের আগে জনসংখ্যার হালনাগাদ তথ্য জানা জরুরি। রাষ্ট্রের জনসংখ্যাসহ সব তথ্য সমৃদ্ধ হয় জনশুমারির মাধ্যমে। রাষ্ট্রের ভাণ্ডারে হালনাগাদ তথ্য থাকলে টেকসই উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ সহজ হয়। তাই নির্ভুল তথ্য বের করে আনতে হলে শুমারিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে। তিনি বলেন, স্বাধীনতার পর ১৯৭৪ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশে প্রথম আদমশুমারি ও গৃহগণনা অনুষ্ঠানের উদ্যোগ নিয়েছিলেন। এখন ১০ বছর পরপর জনশুমারি হয়ে আসছে। জনশুমারিতে কেউ যাতে বাদ না যায়।
এ বছর চার লাখ কর্মী এ কার্যক্রমে অংশ নিয়ে জনশুমারি ও গৃহগণনার তথ্য সংগ্রহ করবেন। ঘরে ঘরে গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করতে হবে। সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে হবে তথ্য সংগ্রহে। তাদের গাফিলতিতে সঠিক তথ্য সংগ্রহ ব্যাহত হলে সংশ্লিষ্ট কর্মীকে ফৌজদারি অপরাধের (বিচার) মুখোমুখি হতে হবে। নির্ভুল জনশুমারি ও গৃহগণনার লক্ষ্যে সঠিক তথ্য দেওয়ার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানান পরিকল্পনামন্ত্রী।
আসন্ন জনশুমারি ও গৃহগণনা উপলক্ষে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে বরিশাল সার্কিট হাউজ সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। তিনি আরও বলেন, ৫০ বছর আগে আমরা অন্ধকার থেকে বেরিয়ে ভৌগলিক স্বাধীনতা অর্জন করেছি। স্বাধীনতা অর্জনের মূল আকাক্সক্ষা অর্থনৈতিক মুক্তি এখনো অর্জিত হয়নি। এর পেছনের কারণ জানিয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ৫০ বছরের ২০ বছর কেড়ে নিয়েছে স্বৈরশাসকরা। ২০ বছর কেটেছে সংবিধান কাটাছেঁড়ার মধ্য দিয়ে। সর্বশেষ গত ১০-১১ বছর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ় নেতৃত্বের মাধ্যমে দেশ এখন অর্থনৈতিক মুক্তির পথে এগোচ্ছে। এখন আমাদের বৈদেশিক রিজার্ভ ও মাথাপিছু আয় আগের চেয়ে তিনগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। দেশের উন্নয়নকে আরও এগিয়ে নিতে কাজ করে যাচ্ছি।
ইতোমধ্যে দক্ষিণাঞ্চলের উন্নয়ন হয়েছে। অচিরেই আরও উন্নয়ন কর্মকা-ের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হবে। মন্ত্রী বলেন, বরিশাল আর পিছিয়ে থাকবে না। এসব সম্ভব হয়েছে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আছে বলে। পরিসংখ্যান ব্যুরোর আয়োজনে এ মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন বরিশালের বিভাগীয় কমিশনার ড. অমিতাভ সরকার। সভায় বক্তব্য রাখেন পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব মোহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী, পরিসংখ্যান ব্যুরোর মহাপরিচালক মো. তাজুল ইসলাম, জনশুমারি ও গৃহগণনা প্রকল্পের পরিচালক কবির উদ্দিন আহাম্মদ, বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ, জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দার, পরিসংখ্যান ব্যুরোর বরিশাল বিভাগীয় যুগ্ম-পরিচালক মো. মিজানুর রহমান প্রমুখ।