দেশের উন্নয়নের বিরুদ্ধে যারা কথা বলে তাদেরকে কঠোর হস্তে দমন করতে হবে: হুমায়ুন কবির
প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ২১ জানুয়ারি, ২০২১, ১০:২৭ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
আমাদের জননেত্রী শেখ হাসিনা তার স্মার্ট ডিপ্লোম্যাসি দিয়ে, তার বিজ্ঞ দক্ষতা ও বিচক্ষণতা দিয়ে আমাদের দীর্ঘ দিনের প্রতিবেশি ভারত থেকে তিনি টিকা আনতে সক্ষম হয়েছেন। করোনাকালীন সময়ে বিশ্বের যে ২২টি দেশের জিডিপির পজিটিভ গ্রোথ হয়েছে বাংলাদেশ সেখানে অন্যতম। গত এক যুগে শেখ হাসিনার শাসনামলে বাংলাদেশের এ বিস্ময়কর অর্থনৈতিক উত্থানে মূল ভূমিকা পালন করছে। করোনাকালেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি অব্যাহত রেখেছে। তাইতো বিশ্বনেতারা আজ শেখ হাসিনার প্রশংসায় পঞ্চমুখ।
দৈনিক ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপের ২২৬তম পর্বে এসব কথা বলেন আলোচকরা। বৃহস্পতিবার (২১ জানুয়ারি) আলোচক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য এবং বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক পঙ্কজ দেবনাথ, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কুষ্টিয়া এর সাবেক উপাচার্য এবং লেখক ও গবেষক ড. মোঃ হারুন-উর-রশিদ আসকারী, আওয়ামী লীগের সভাপতি হুমায়ুন কবির ফিনল্যান্ড। দৈনিক ভোরের পাতা সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের পরিকল্পনা ও নির্দেশনায় অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সাবেক তথ্য সচিব নাসির উদ্দিন আহমেদ।
হুমায়ুন কবির বলেন, ২০২০ সাল জুড়েই সারা পৃথিবীতে মহামারি করোনাভাইরাস তাণ্ডব চালিয়েছে। এর ছোবল থেকে বাদ যায়নি বাংলাদেশও। চীনে করোনাভাইরাস আবির্ভাবের পর থেকেই প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা করোনা মোকাবিলায় কাজ শুরু করেন। আমাদের জননেত্রী শেখ হাসিনা ২১টি প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন এই কারণে যে বাংলাদেশের কোন মানুষ যাতে না খেয়ে না কাজ করে কোনভাবেই কোন কষ্ট না পায়। গার্মেন্টসের শ্রমিকরা, দিনমজুররা কোন ভাবেই কষ্ট না পায় সেখানে তিনি খেয়াল রেখেছেন। যার কল্যাণে বাংলাদেশ করোনাভাইরাস মোকাবিলায় দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে প্রথম এবং বিশ্বে ২০তম দেশ হিসেবে সফল হয়েছে। শুধু তাই নয়, এই করোনাভাইরাসের মধ্যেও অর্থনীতি চাকা থেমে থাকেনি। বরং এই খাতে বাংলাদেশ সফল হয়েছে। জনগণের প্রতি আস্থা রেখে তিনি এই সকল কাজ সম্ভব করতে পেরেছেন। আজকে এই যে করোনা ভ্যাকসিন বাংলাদেশে এসেছে এটার পিছনেও কিন্তু সরকারের ব্যাপক ভূমিকা রয়েছে। কিন্তু দেখেন, কিছু কুচক্রী রাজনৈতিক দলেরা আজকেও এই ভ্যাকসিন দেশে আনা নিয়ে সমালোচনা করে যাচ্ছেন। কৃষিপ্রধান বাংলাদেশ কৃষকদের সকল কৃষি উপকরণ সহজলভ্য করা ও ভর্তুকি বাড়ানোয় গুরুত্ব দেওয়ার ক্ষেত্রে শেখ হাসিনা সরকার বাংলাদেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করে তুলেছে। বাংলাদেশের গার্মেন্টস শিল্পের অগ্রগতির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় ভূমিকা রেখে আন্তর্জাতিক বাজারে আরও আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ। শিল্প খাতে সমৃদ্ধি সম্ভাবনা বৃদ্ধি করতে শ্রমিকদের বেতন ভাতা, নিরাপত্তা বৃদ্ধিসহ কাঁচামাল সহজলভ্য করতে কাজ করেছে সরকার। নতুন শিল্প উদ্যোক্তাদের স্বল্প সুদে ঋণের ব্যবস্থা সুবিধা নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে বাণিজ্যে ক্ষেত্রে ব্যাপক সফলতা অর্জন করেছে। করোনাকালীন সময়ে চিকিৎসা খাতে প্রয়োজনীয়তার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ করে অধিক চিকিৎসক নিয়োগ, আধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থা সর্বস্তরে সকলের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করছে। জননেত্রী শেখ হাসিনা নিজেই তার সকল চিকিৎসা দেশে নেওয়ার ব্যাপারে অঙ্গীকারবদ্ধ হয়েছেন ও নিরাপত্তা বোধ করেছেন। করোনার ভয়াল থাবা যখন গোটা জাতিকে ভাবিয়ে তুলেছে ঠিক তখন দেশের বিভিন্ন জেলা ভয়াবহ বন্যায় আক্রান্ত হয়। বন্যা, করোনা ও আম্পানের কারণে অনেকে আশঙ্কা করেছিলেন যে, বাংলাদেশ একটি বড় ধরনের দুর্ভিক্ষের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে এবং এ অবস্থা সরকার হয়তো সামাল দিতে পারবে না। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী সিদ্ধান্তে বাংলাদেশকে সে অবস্থায় উপনীত হতে হয়নি। কিন্তু আজ বিদেশে বসে কিছু অবসরপ্রাপ্ত মেজররা বাংলাদেশের উন্নয়ন নিয়ে নেগেটিভ প্রোপাগান্ডা চালাচ্ছে। তারা সব সময় এই ষড়যন্ত্র করে আসছ এবং করে যাচ্ছে। আমি আজ এই ভোরের পাতা সংলাপের মাধ্যমে সরকারের কাছে আবেদন করব এদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য। বাংলাদেশের উন্নয়নকে এই বিএনপি-জামায়াত নামক রাজনৈতিক দলেরা কখনোই ভালো চোখে দেখে না। বিএনপি দেশের উন্নয়নে কখনোই খুশি ছিল না এবং থাকবেও না বিশেষ করে আওয়ামী লীগের সরকারের অধীনে সৃষ্ট উন্নয়ন গুলোকে।