প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ২১ জানুয়ারি, ২০২১, ৩:৩৪ পিএম আপডেট: ২১.০১.২০২১ ৪:১২ পিএম | প্রিন্ট সংস্করণ
চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থীর পক্ষে জনসংযোগকারীদের ওপর বিএনপি কর্মীদের হামলায় অন্তত তিনজন আহত হয়েছেন। গতকাল বুধবার বিকালে নগরীর বাকলিয়া থানার বলিরহাটে এই হামলার ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে একজনের মাথায় বেশ জখম হয়েছে বলে বাকলিয়া থানার ওসি রুহুল আমিন জানিয়েছেন। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণা চালানোর সময় ছাত্রলীগ কর্মীদের ওপর যুবদল কর্মীরা হামলা চালিয়েছে। এতে তিনজন আহত হয়েছে। তাদের মধ্যে সোহানের (২৪) মাথায় জখমটা বেশি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী এম রেজাউল করিম চৌধুরীর পক্ষে বলিরহাটে জনসংযোগ করছিলেন ছাত্রলীগকর্মীরা। এর পাশে বিএনপি সমর্থিত মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেনের পক্ষে যুবদলের উদ্যোগে সভা চলছিল। সভা শেষ করে যুবদল কর্মীরা ছাত্রলীগের কর্মীদের ওপর হামলা করেন। হামলার খবর শুনে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (বাকলিয়া সার্কেলের সহকারী কমিশনার-ভূমি) আশরাফুল হাসানসহ পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে আসেন। সেখান থেকে হামলায় জড়িত অভিযোগে একজনকে আটক করা হয় বলে ওসি জানান।
বর্তমানে সেখানকার পরিস্থিতি ‘স্বাভাবিক’ আছে বলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আশরাফুল জানিয়েছেন। চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম চৌধুরী এবার মেয়র পদে নৌকার প্রার্থী হিসেবে লড়াই করছেন। তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ধানের শীষের মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত মহানগর বিএনপির সভাপতি। চট্টগ্রামে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী কোনো প্রার্থী না থাকলেও কাউন্সিলর পদে বেশিরভাগ ওয়ার্ডেই দল সমর্থিত প্রার্থীর বিপরীতে এক বা একাধিক বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছে। আওয়ামী লীগ সমর্থিত ও বিদ্রোহী কাউন্সিলর প্রার্থীদের সমর্থকদের সংঘর্ষে এরইমধ্যে দুইজন নিহত হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় ক্ষমতাসীন দলের দুই পক্ষের দ্বন্দ্বে নির্বাচনী পরিবেশ উত্তপ্ত রয়েছে। এবার সেখানে বিএনপির সহযোগী সংগঠন যুবদলের নেতাকর্মীরা ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীর সমর্থকদের ওপর হামলা করলেন। এদিকে নগরীর আকবর শাহ এলাকায় বিএনপি প্রার্থীর জনসংযোগ থেকে একদল কর্মী একটি স্কুলে ভোট গ্রহণ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণের মধ্যে ঢুকে তাদের লাঞ্ছিত করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
পাহাড়তলী গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজে এ ঘটনা ঘটে বলে কলেজের অধ্যক্ষ ফজলুল করিম জানিয়েছেন। তিনি বলেন, স্কুলে আজ দেড় হাজার ভোটগ্রহণকারী কর্মকর্তার প্রশিক্ষণ চলছিল। এ সময় কলেজ মাঠে কিছু বহিরাগত প্রবেশ করলে তাদের তিনি বের হয়ে যেতে বলেন। ওই রাস্তা দিয়ে বিএনপি প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন জনসংযোগ করে যাওয়ার সময় আমাকে দেখে লিফলেট দিতে ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা করেন। এ সময় তাকে প্রশিক্ষণ চলাকালে প্রবেশ করতে নিষেধ করায় তিনি প্রবেশ করেননি। কিন্তু তার সাথে থাকা কিছু লোক জোর করে ঢুকে পড়ে। তাদের বাধা দেওয়া হলে ভোটগ্রহণকারী কয়েকজন কর্মকর্তাসহ আমাদের লাঞ্ছিত করা হয়। এ বিষয়ে জানতে চাইলে আকবর শাহ থানার ওসি জহির হোসেন বলেন, পাহাড়তলী গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে কিছু লোক প্রবেশ করে প্রশিক্ষণরত ভোট গ্রহণকারী কর্মকর্তাদের লাঞ্ছিত করেছে বলে শুনেছি। এখনও পর্যন্ত আমরা কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। বিষয়টি আমরা খোঁজ নিচ্ছি।