সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪ ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

শিরোনাম: বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশকে সুইজারল্যান্ড বানানোর স্বপ্ন দেখেছিলেন: তাজুল ইসলাম   ইংরেজি নববর্ষে প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা   করোনায় মৃত্যু কমেছে, শনাক্ত বেড়েছে    আরও ৩ জনের ওমিক্রন শনাক্ত   শপথ নিলেন নতুন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী   বাস সরাতে গিয়ে দুই মৃত্যু: সেই পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা   আন্দোলনের বিকল্প নেই, ফয়সালা রাজপথেই হবে: ফখরুল   
https://www.dailyvorerpata.com/ad/Inner Body.gif
উন্নয়নের অগ্রপথিক শেখ হাসিনা
#একজন দূরদর্শী রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা: নাসির উদ্দিন আহমেদ #একুশ শতকের চ্যালেঞ্জ এ সরকারের অধীনেই মোকাবিলা করা সম্ভব: অধ্যাপক ড. রবিউল ইসলাম #শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অদম্য গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ: রফিক খান
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ২১ জানুয়ারি, ২০২১, ১:৫০ এএম আপডেট: ২১.০১.২০২১ ৩:২৩ পিএম | প্রিন্ট সংস্করণ

বঙ্গবন্ধু দেশ স্বাধীন করে দিয়ে গিয়েছেন। স্বপ্ন ছিল সোনার বাংলা গড়ার। সুখী-সমৃদ্ধ দেশ গড়ে পৃথিবীর বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়ানো। তার এই স্বপ্নের সম্পূর্ণ বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন আমাদের জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। করোনা মহামারির কারণে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো ক্ষতিগ্রস্ত হলেও বাংলাদেশের অর্থনীতি ভালো অবস্থানে রয়েছে। শুধু যে ভালো অবস্থানে আছে তা নয়, উন্নয়নের মহাকাব্য রচনা করে যাচ্ছেন আমাদের উন্নয়নের অগ্রপথিক শেখ হাসিনা। দৈনিক ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপের ২২৫তম পর্বে এসব কথা বলেন আলোচকরা।

বুধবার আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগের অধ্যাপক, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলের প্রাধ্যক্ষ ড. রবিউল ইসলাম, আয়ারল্যান্ড আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সাংগঠনিক সম্পাদক রফিক খান। দৈনিক ভোরের পাতা সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের পরিকল্পনা ও নির্দেশনায় অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সাবেক তথ্য সচিব নাসির উদ্দিন আহমেদ।

অধ্যাপক ড. রবিউল ইসলাম বলেন, বর্তমান সময়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আছে এবং এর নেতৃত্ব দিচ্ছেন আমাদের জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা। আজকের সংলাপের বিষয় নির্ধারণ করে হয়েছে পথ হারাবে না বাংলাদেশ। সত্যিই যে আমরা পথ হারায়নি এটা কিন্তু আমরা স্বাধীনতার পর থেকে পরতে পরতে এর প্রমাণ দেখতে পাচ্ছি। মাঝখানে আমরা একটি কালো অধ্যায়ের মধ্যে পড়ে রাজনৈতিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক অন্ধকারের মধ্যে পড়ে গিয়েছিলাম। সেই ১৯৮১ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত; এই যে ৪০ বছর এর মধ্যকার সময়ে আমাদের জননেত্রী শেখ হাসিনা কিছু সময় বিরোধীদল ও কিছু সময় এবং এখন পর্যন্ত ক্ষমতায় আছেন। বঙ্গবন্ধুর যে স্বপ্ন, বঙ্গবন্ধুর যে আদর্শিক চেতনা, বঙ্গবন্ধুর দেখানো সেই রোডম্যাপ অনুযায়ী বাংলাদেশকে সেই কাক্সিক্ষত সোনার বাংলায় নেওয়ার জন্য যে প্রচেষ্টা তিনি করে যাচ্ছেন তার প্রতিফলন আমরা প্রতিক্ষেত্রেই দেখতে পাচ্ছি। আমরা দেখেছি যে অনেক মেগা প্রজেক্ট বর্তমান সরকার ইতোমধ্যে বাস্তবায়ন করেছেন এবং করে যাচ্ছেন। স্বপ্নের পদ্মা সেতুর পুরোটাই আজ দৃশ্যমান। ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে প্রধানমন্ত্রী দৃঢ়তার সঙ্গে নিজস্ব অর্থায়নে সেতু নির্মাণকে একটি বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়ে শরীয়তপুর জেলার জাজিরার নাওডোবায় নদীশাসনের কাজ এবং মাওয়া প্রান্তে মূল পাইলিং কাজের উদ্বোধন করেন। আমরা দেখেছি যে পদ্মা সেতুর বাস্তবায়ন অলরেডি শেষের দিকে যা সম্পূর্ণ চালু হয়ে গেলে বাংলাদেশের আর্থসামাজিক অবস্থার উপরে একটা ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। এছাড়া আমাদের সারা বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নের একটি অগ্রযাত্রা শুরু হবে। আমরা জানি যে এই প্রথম ঢাকা মেট্রোরেল চালু হচ্ছে যার ফলে ঢাকা শহরে অনেকাংশে যানজট কমে যাবে। বাংলাদেশকে ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশে পরিণত হওয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন মানবতার জননী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ ঘটেছে। আজকে সারা বাংলাদেশে ১০০টি ইকোনমিক জোন তৈরি করেছে যার ফলে আমাদের মধ্যে একটি বৈষম্যহীন উন্নয়নের যে সৃষ্টি তা সারা বাংলাদেশের মধ্যে ছড়িয়ে দিচ্ছে। সম্প্রতি রংপুর, কুড়িগ্রাম অঞ্চলে আমি ভ্রমণ করেছি। সেখানে আমি দেখতে পেয়েছি মানুষ ইনকাম জেনারেটিং অ্যাক্টিভিটির সাথে যুক্ত হয়েছে। সেখানে যে মানুষের মধ্যে যে একটা আর্থসামাজিক প্রবৃদ্ধি ঘটেছে সেটা অনেক প্রশংসনীয়। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে বর্তমান সরকারের অধীনে সারা বাংলাদেশে যে উন্নয়নের রথযাত্রা শুরু হয়েছে, তার কারণে আমরা সত্যিকার অর্থেই বলতে পারি। যতদিন শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বের হাতে আছে দেশ ততদিন পথ হারাবে না বাংলাদেশ।

নাসির উদ্দিন আহমেদ বলেন, করোনা সংকট কাটিয়ে উঠতে প্রতিমুহূর্তের করণীয় ঠিক করতে দিনরাত এক করে কাজ করে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জাতির জনক ও বাংলাদেশের রূপকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উন্নয়ন দর্শন ছিলো অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক, সামাজিক, রাজনৈতিক মুক্তি-মধ্যস্থতাকারী উন্নয়ন দর্শন, যা বিনির্মাণে নিয়ামক ভূমিকায় থাকবে জনগণ। তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের পর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলতে সমবায়কে কাজে লাগানোর উদ্যোগ নেওয়ার কথা ভাবছিলেন। আর সে কারণেই দেশকে ২০২১ সালে একটি উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ উপহার দেওয়ার সুস্পষ্ট অঙ্গীকার নিয়ে ঘোষণা করা হয়েছিলো রূপকল্প-২০২১। ২০২১ সালে বাংলাদেশ পঞ্চাশ বছরে পা রেখেছে। সুবর্ণজয়ন্তীর এই লগ্নে বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিকভাবে বাংলাদেশকে আমরা কোন অবস্থানে দেখতে চাই, সেটাই বস্তুত ভিশন ২০২১-এর মূল কথা। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পরিকল্পিত উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছাতে দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলেছে বাংলাদেশ। দক্ষিণ এশিয়ার সমৃদ্ধ অঞ্চলে পরিণত হতে আর বেশিদিন বাকি নেই। অচিরেই মধ্যম আয়ের দেশের তালিকায় জায়গা করে নিতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। তাই ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ হলো একুশ শতকে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা। তার সুযোগ্যকন্যা দেশরতœ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নত বিশ্বের লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে চলেছে আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি, জন্মভূমি- ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’। আওয়ামী লীগ সরকারের আগে অন্য কোনো সরকারকে এদেশের ভবিষ্যৎ রূপরেখা প্রণয়ন করতে দেখা যায়নি। আর রূপরেখা অনুসারে প্রতি অর্থবছরে বাজেট পেশ এবং টার্গেট পূরণের জন্য কাজ করায় এদেশকে এখন গতিশীল ও শক্তিশালী অর্থনৈতিক ভিত তৈরি করে দিয়েছে।

রফিক খান বলেন, এই করোনার কারণে আমাদের আয়ারল্যান্ডেও কিন্তু ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ আছে, সব স্কুল-কলেজ বন্ধ আছে। এই জন্য আমাদের আইরিশ সরকার এই প্রতিষ্ঠানদেরকে অনেক ধরনের প্রণোদনা দিচ্ছে। যাদের চাকরি নেই তাদেরকেও সহযোগিতা করছে। এই করোনাকালীন সময়ে বিশ্বের সকল দেশেই ধস নেমেছে। কিন্তু আমরা লক্ষ করেছি এই করোনাকালীন সময়ে বাংলাদেশে অর্থনীতি কিন্তু অনেকটা শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে। শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে দেশ যখন উন্নয়নের মহাসড়কে তখন সভ্যতার এক চরম ক্রান্তিকাল পার করছি আমরা। এই করোনা মোকাবিলা করতে বিশ্বের অনেক দেশই আজকে যেখানে হিমশিম খাচ্ছে সেখানে এই বাংলাদেশ এটাকে অনেক স্বাভাবিকভাবেই মোকাবিলা করছে। যেখানে সারা বিশ্বের অনেক দেশেই অর্থনীতি মন্দা কাটাচ্ছে সেখানে বাংলাদেশের অর্থনীতি তরতর করে এগিয়ে যাচ্ছে। বিভিন্ন গণমাধ্যম ও জরিপেও আমরা এর প্রমাণ পাচ্ছি। করোনাভাইরাস বিশ্বজুড়ে মহামারি রূপে ধারণ করলেও বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থা এখনও সুদৃঢ় অবস্থায় রয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ায় যে চারটি বড় দেশ সফলভাবে কভিড-১৯ মোকাবিলা করছে, এর মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান সবার আগে। অর্থনীতি, রাজনীতিসহ নানাদিক থেকে শক্তিশালী হওয়া সত্ত্বেও মৃত্যুর হার এখনও বেড়েই চলেছে ভারত ও পাকিস্তানে। স্বাস্থ্যসেবার পাশাপাশি মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণেও সদা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বর্তমান সরকার। শেখ হাসিনার এই নিরলস এবং কঠোর পরিশ্রমের ফলাফল আমাদের সামনে দৃশ্যমান হতে শুরু করেছে। একজন প্রকৃত ও দেশপ্রেমিক রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে প্রতিনিয়ত দেশের মানুষকে আশার আলো দেখিয়ে যাচ্ছেন শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অত্যন্ত দৃঢ়চিত্তে দেশের সব সংকটগুলো মোকাবিলা করে চলেছেন। করোনা মোকাবিলায় সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় বিভিন্ন জায়গায় লকডাউন দিতে হয়েছে। আবার অর্থনীতির চাকা সচল করার জন্য যথাসময়ে ধাপে ধাপে লকডাউন তুলে নেওয়া হয়েছে। আজকে দেখুন ২০০৯ থেকে শুরু হয়েছে বয়স্ক ভাতা যা এখন পর্যন্ত চলছে এবং বিধবা ভাতা দেওয়া হচ্ছে, যার ফলে আমরা বুঝতে পারি যে আমাদের দেশের অর্থনীতি আজকে কোন অবস্থানে আছে।  



« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
http://www.dailyvorerpata.com/ad/Vorer-pata-23-12-23.gif
http://www.dailyvorerpata.com/ad/bb.jpg
http://www.dailyvorerpata.com/ad/Screenshot_1.jpg
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ


সম্পাদক ও প্রকাশক: ড. কাজী এরতেজা হাসান
সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
সাউথ ওয়েস্টার্ন মিডিয়া গ্রুপ


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৯৩ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫।
ফোন:৮৮-০২-৪১০১০০৮৭, ৪১০১০০৮৬, বিজ্ঞাপন বিভাগ: ৪১০১০০৮৪, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৪১০১০০৮৫
অনলাইন ইমেইল: [email protected] বার্তা ইমেইল:[email protected] বিজ্ঞাপন ইমেইল:[email protected]