মঙ্গলবার ২৬ নভেম্বর ২০২৪ ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

শিরোনাম: বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশকে সুইজারল্যান্ড বানানোর স্বপ্ন দেখেছিলেন: তাজুল ইসলাম   ইংরেজি নববর্ষে প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা   করোনায় মৃত্যু কমেছে, শনাক্ত বেড়েছে    আরও ৩ জনের ওমিক্রন শনাক্ত   শপথ নিলেন নতুন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী   বাস সরাতে গিয়ে দুই মৃত্যু: সেই পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা   আন্দোলনের বিকল্প নেই, ফয়সালা রাজপথেই হবে: ফখরুল   
https://www.dailyvorerpata.com/ad/Inner Body.gif
নির্বিঘ্নে শপথ নিলেন জো বাইডেন
ভোরের পাতা ডেস্ক
প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ২১ জানুয়ারি, ২০২১, ১:৫০ এএম আপডেট: ২১.০১.২০২১ ৩:২৫ পিএম | প্রিন্ট সংস্করণ

অবশেষে সব উদ্বেগ উৎকণ্ঠার অবসান ঘটিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৬তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে গতকাল শপথ নিয়েছেন জো বাইডেন। তার শপথকে ঘিরে ছিল নানান উদ্বেগ আর অনিশ্চয়তা। বিশেষ করে সদ্য সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নানাবিধ অসহযোগিতা তার শপথকে অনেকটাই অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দেয়।  অবশ্য এটিই ট্রাম্পের প্রথম পদক্ষেপ নয়। নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই ট্রাম্প তাকে জয়ী মানতে রাজি হননি। এমনকি নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট প্রশাসনিক যেসব সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার কথা তা থেকেও বাইডেনকে বঞ্চিত রাখেন ট্রাম্প। এমনি  প্রতিবন্ধকতার মুখে পড়ে জো বাইডেনের শপথ অনুষ্ঠানটি নিয়ে দেখা দেয় অনিশ্চয়তা। এভাবে পূর্বসূরি ডোনাল্ড ট্রাম্প গণতন্ত্রের কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দেন। ট্রাম্প তার সমর্থকদের লেলিয়ে দেন। রাজধানী ওয়াশিংটনে লাখ লাখ সমর্থকদের সমাবেশ ঘটিয়ে বাইডেনের শপথকে বানচাল করার খেলায় মেতে ওঠেন। এসময় ক্যাপিটাল হিলসে হামলা চালানোর মত ঘটানাও ঘটে। এই হামলায় একজন পুলিশ কর্মকর্তাসহ পাঁচজন নিহত হন। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে এমন নিন্দনীয় ঘটনা বিরল।

এসব করেও ট্রাম্প যখন হালে পানি পাননি তখন তিনি তার সমর্থকদের সশস্ত্র মহড়া দেন। এমনকি শপথের দিনে এই উগ্রসমর্থকদের রাজধানী জমায়েত করার হুমকি দেন। এক কথায় বাইডেনের শপথকে বাধাগ্রস্ত করতে ট্রাম্প সর্বশক্তি নিয়োগ করেন। ট্রাম্পের ক্ষমতার শেষ হলেও তার ভাইস প্রেসিডেন্ট পম্পেও এবার দাবার গুটি চালান । তিনি এমন কিছু আইন প্রণয়ন করেন যা কার্যত বাইডেনের প্রশাসনকে অনেকটা হুমকিতে ফেলে। তারপরেও গতকাল অনেকটা নির্বিঘেœ বাইডেনের এবং তার রানিংমেট ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হারিসের শপথ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকালের পর থেকে জো বাইডেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হিসাবে অধিষ্ঠিত হলেন। তার পুরো নাম জোসেফ রবিনেট বাইডেন জুনিয়র। তবে সংক্ষিপ্ত জো বাইডেন নামেই তিনি বেশি পরিচিত। তবে তার এই স্বপ্ন দীর্ঘদিনের। লালিত স্বপ্ন গতকাল বাস্তবে ধরা দিয়েছে। ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন তিনবারের প্রচেষ্টা সৌভাগ্য হয়ে ধরা দিয়েছে। তবে এই জয় অর্জন করাটা তার জন্য খুব সহজ ছিল না। স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে রক্ষা করা কঠিন। এটাই এখন বাইডেনের জীবনে সবচেয়ে বড় সত্যি। যতটা কষ্ট করে তিনি প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন তার চেয়ে আরও কয়েকগুণ দুর্ভোগ তার জন্য সামনের দিনগুলোতে অপেক্ষা করছে। সর্বশেষ গত ৬ জানুয়ারি পার্লামেন্ট ভবনে সহিংসতা ঘটনা এটা স্পষ্ট করেছে যে, বাইডেনের সামনের দিনগুলো মোটেও সহজ নয়। করোনা মহামারি, অর্থনৈতিক দৈন্যদশা, ট্রাম্প প্রশাসনের পররাষ্ট্রনীতির কারণে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তার জন্য বাইডেনকে বেশ ভুগতে হবে। তার পরবর্তী দিনগুলো খুব সতর্কতার সঙ্গেই পার করতে হবে। ১৯৮৭ এবং ২০০৮ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ব্যর্থ হওয়ার পর ২০২০ সালে আবারও তিনি নির্বাচনে অংশ নেন। এবার আর তাকে পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। জয় এসে তার কাছে ধরা দিয়েছে।

জো বাইডেনের উত্থান :১৯৬৮ সালে একটি ল ফার্মে কর্মরত ছিলেন। ১৯৬৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাটর্নি হিসেবে নিযুক্ত হন জো বাইডেন। ১৯৭০ সালে কান্ট্রি কাউন্সিলে নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি। এরপর নিজস্ব ল ফার্ম প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৭২ সালের নভেম্বরে রিপাবলিকান দলীয় সিনেটর স্যালেব বগসের বিপক্ষে ডেমোক্র্যাট পার্টির প্রার্থী মনোনীত হন তিনি। এরপর মার্কিন ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে নিজের নাম লেখেন। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে পঞ্চম সর্বকনিষ্ঠ সিনেটর হিসাবে নির্বাচিত হন ২৯ বছরের বাইডেন। এরপর ১৯৭৮, ১৯৮৪, ১৯৯০, ১৯৯৬, ২০০২ এবং ২০০৮ সালে সিনেটর হিসেবে টানা নির্বাচিত হন জো বাইডেন। সিনেটর হিসেবে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশের ইরাক নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন তিনি। ১৯৮৭ সালে ডেমোক্র্যাট পার্টির প্রেসিডেন্সিয়াল প্রাইমারিতে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দেন তিনি। তবে অসুস্থতার কারণে পরের বছর এই লড়াইয়ে পিছু হটতে বাধ্য হন তিনি। ২০০৭ সালের কথা। আবারও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্সিয়াল প্রাইমারিতে লড়াইয়ের প্রস্তুতি নেন। ওই সময় বারাক ওবামা এবং হিলারি ক্লিনটনের বিপক্ষে নিজের অবস্থান তৈরি করে নিতে ব্যর্থ হন। হিলারি ক্লিনটনের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় দাঁড়াতে পারেননি তিনি। পরে ২০০৮ সালে প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার কাছ থেকে টেলিফোন পান তিনি। বাইডেনকে রানিংমেট হিসেবে বেছে নেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেন ওবামা। ২০০৯ সালের ২০ জানুয়ারি বাইডেন মার্কিন ৪৭তম ভাইস প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেন। ২০১৭ সাল পর্যন্ত একই পদে ছিলেন তিনি। নিজ রাজ্য ডেলাওয়ারে সবচেয়ে বেশি সময় ধরে সিনেটর ছিলেন তিনি। ১৯৪২ সালের ২০ নভেম্বর জো বাইডেনের জন্ম।

বাবা জোসেফ রবিনেট বাইডেন সিনিয়র, মা ক্যাথরিন ইউজেনিয়া ফিনেগান। মা আইরিশ বংশোদ্ভূত। উত্তরপূর্ব পেনসিলভেনিয়ার স্ক্র্যানটনে বেড়ে ওঠেন তিনি। বাবা বাইডেন সিনিয়র ছিলেন ফারনেস ক্লিনার। তবে জীবনের বড় একটি সময় কেটে গেছে গাড়ির সেলসম্যান হিসেবে। ছোটবেলা থেকে প্রবল দারিদ্রের মাঝে বড় হয়েছেন মার্কিন এই রাজনীতিক। কিন্তু সব সময়ই তার মধ্যে দেশের মানুষের জন্য কিছু করার তাগিদ কাজ করত। দেশের প্রেসিডেন্ট হয়ে তিনি আমেরিকানদের জন্য ভালো কিছু করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন। গতকাল তার সামনে সেই ভারো কিছু করার ন সুযোগ এনে দিয়েছে।



« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
http://www.dailyvorerpata.com/ad/Vorer-pata-23-12-23.gif
http://www.dailyvorerpata.com/ad/bb.jpg
http://www.dailyvorerpata.com/ad/Screenshot_1.jpg
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ


সম্পাদক ও প্রকাশক: ড. কাজী এরতেজা হাসান
সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
সাউথ ওয়েস্টার্ন মিডিয়া গ্রুপ


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৯৩ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫।
ফোন:৮৮-০২-৪১০১০০৮৭, ৪১০১০০৮৬, বিজ্ঞাপন বিভাগ: ৪১০১০০৮৪, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৪১০১০০৮৫
অনলাইন ইমেইল: [email protected] বার্তা ইমেইল:[email protected] বিজ্ঞাপন ইমেইল:[email protected]