প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ২১ জানুয়ারি, ২০২১, ১:৫০ এএম আপডেট: ২১.০১.২০২১ ৩:২৬ পিএম | প্রিন্ট সংস্করণ
এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক ও রিলায়েন্স ফাইন্যান্স লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রশান্ত কুমার হালদারের (পি কে হালদার) সঙ্গে অর্থ আত্মসাতে জড়িত থাকার অভিযোগে সন্দেহভাজন ৮৩ জনের বিরুদ্ধে দুদক কী ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে তা আজ বৃহস্পতিবার জানাতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে ওই তালিকায় সাবেক সচিব এনআই খানের নাম ভুলভাবে যুক্ত হয়েছে বলে দাখিল করা বাংলাদেশ ব্যাংকের আবেদনের ওপর আদালতে আজ আদেশ দেওয়া হবে। গতকাল বুধবার এই আদেশ দেন বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি মহিউদ্দিন শামীমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ। আদালতে দুদকের পক্ষে আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান শুনানি করেন।
অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক শুনানি করেন। এর আগে গত ১৩ জানুয়ারি পি কে হালদারের সঙ্গে অর্থ আত্মসাতে জড়িত ৮৩ জনের সংশ্লিষ্টতার পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট হাইকোর্টে দাখিল করে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। সে তালিকায় সাবেক সচিব এনআই খানের নাম ভুলভাবে যুক্ত করা হয়েছে বলে গতকাল বুধবার হাইকোর্টে আবেদনে দাখিল করে বাংলাদেশ ব্যাংক। এনআই খানের পক্ষে হাইকোর্টে আবেদন জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের মার্কেটিং বিভাগের ডিজিএম এমডি আসাদুজ্জামান। পরে ওই আবেদনের শুনানি শেষে আজ বৃহস্পতিবার আদেশের দিন নির্ধারণ করেন হাইকোর্ট।
বাংলাদেশ ফিনান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছিল, পি কে হালদার কাণ্ডে ৮৩ জনের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে। তাদের সব ব্যাংক অ্যাকাউন্ট এরইমধ্যে জব্দ করা হয়েছে। আর এসব তথ্যের আলোকে দুদক কাজ করছে। এই রিপোর্টের মাধ্যমে পি কে হালদারের অর্থপাচারের একটি পূর্ণাঙ্গ চিত্র উঠে এসেছে। যেখানে বিপুল পরিমাণ অর্থ পাচার এবং পাচার করা অর্থ কানাডা, সিঙ্গাপুর ও ভারতে পাঠানোর তথ্য পাওয়া গেছে। ২০২০ সালের ৭ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টের একই বেঞ্চে পি কে হালদারের দেশে ফেরত আসতে কোনোরকম গ্রেফতার না করার নির্দেশনা চেয়ে একটি আবেদন করে তার প্রতিষ্ঠান আইএলএফএসএল।
সে আবেদনের শুনানি নিয়ে আদালত জানিয়েছিলেন- পি কে হালদার কবে, কখন, কীভাবে দেশে ফিরতে চান তা আইএলএফএসএল লিখিতভাবে জানালে সে বিষয়ে পরবর্তী আদেশ দেওয়া হবে। গত ৯ ডিসেম্বর বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। পরবর্তীতে আদালত অনুমতি দিলেও গত ২৫ অক্টোবর পি কে হালদারের দেশে ফেরার কথা থাকলেও তিনি অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে দেশে ফেরেননি।