প্রকাশ: মঙ্গলবার, ১৯ জানুয়ারি, ২০২১, ২:১৭ এএম আপডেট: ১৯.০১.২০২১ ১:০৪ পিএম | প্রিন্ট সংস্করণ
অনিয়মে আটকে আছে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজের কাজ। এ অবস্থায় উদ্বোধনের পর কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালের পাশে ‘মেডিকেল অ্যাসিসটেন্ট ট্রেনিং স্কুলের (ম্যাটস)’ ক্যাম্পাসে জোড়াতালি দিয়ে চলছে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজের পাঠদান। প্রকল্পের মেয়াদ না বাড়িয়ে অবস্থা তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে একনেকের সভায় ২৭৫ কোটি টাকা ব্যয়ের কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল প্রকল্পটি ২০১২ সালের ৩ মার্চ অনুমোদন দেওয়া হয়। তিন বছরের মধ্যে নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও আজও তা শেষ হয়নি। গতকাল সোমবার বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) সচিব প্রদীপ রঞ্জন চক্রবর্তীর নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি দল কুষ্টিয়া যায় ওই প্রকল্প পরিদর্শন করতে।
অনিয়মের অভিযোগ ওঠার পর ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে আইএমইডি প্রকল্প পরিদর্শনের পর তাদের এক প্রতিবেদনে প্রকল্পটির সবকটি ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রেই নকশা পরিবর্তনসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ তোলে। প্রতিবেদনে প্রকল্পের প্রায় সব ক্ষেত্রে বেঁধে দেওয়া ব্যয়ের সীমা লঙ্ঘন করে অনুমোদন না নিয়ে অর্থ ব্যয়ে ক্রয় আইনের ‘গুরুতর লঙ্ঘন’ করা হয় বলে উল্লেখ করা হয়। প্রথম তদন্তের প্রায় সড়ে চার বছর পর আইএমইডি তদন্তকারী দল এবার আবার সরেজমিন নির্মাণাধীন কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করল। কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল ভবন নির্মাণ প্রকল্প এলাকা পরিদর্শনে আইএমইডি তদন্ত দল কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল ভবন নির্মাণ প্রকল্প এলাকা পরিদর্শনে আইএমইডি তদন্তদল পরে প্রকল্প সংশ্লিষ্ট দাপ্তরিক নথিপত্র দেখেন তদন্ত দল সদস্যরা। এ সময় সেখানে প্রকল্প শুরুর পর থেকে বর্তমান পর্যন্ত দায়িত্ব পালনকারী প্রকল্প পরিচালকগণ, সংশ্লিষ্ট গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীগণকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন তদন্ত দলের সদস্যরা।
তদন্তকারী দল প্রধান প্রদীপ রঞ্জন চক্রবর্তীর কাছে তদন্ত বিষয়ে জানতে চাইলে বলেন, এই মুহূর্তে তদন্তাধীন বিষয়ে বিশদ কিছু বলার সুযোগ নেই। তবে এটুকু বলি আমরা প্রকল্প সংশ্লিষ্ট সার্বিক বিষয়গুলো বিবেচনায় নিয়ে খতিয়ে দেখছি। কুষ্টিয়া গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম বলেন, নির্মাণাধীন কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ প্রকল্পটি ঘিরে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে তদন্ত চলছে। বলতে পারেন আমি নিজেই আজ কাঠগড়ায় দাঁড়িয়েছি।
ফলে তদন্তাধীন এই বিষয়ে কোনোকিছুই বলার কোনো এখতিয়ার আমার নেই। ২০১২ সালে শুরু হওয়া প্রকল্প কাজ নয় বছরেও শেষ না হওয়ায় গত ৫ জানুয়ারি ঢাকায় শেরে বাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভা পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী অসন্তোষ প্রকাশ করেন। এই সময় প্রকল্পের মেয়াদ আরও চার বছর বাড়ানোর প্রস্তাব ফেরত পাঠিয়ে ফের তদন্তের নির্দেশ দেন আইএমইডিকে।