প্রকাশ: মঙ্গলবার, ১৯ জানুয়ারি, ২০২১, ২:১৭ এএম আপডেট: ১৯.০১.২০২১ ১:০৫ পিএম | প্রিন্ট সংস্করণ
বিএনপি নেতা ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনের খালাসের বিরুদ্ধে দুদকের করা আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে তাকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গতকাল সোমবার বিচারপতি মো. সেলিমের একক বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। তিনি জানান, দুদকের আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেছেন হাইকোর্ট।
আর ইশরাক হোসেনকে যে আদালত খালাস দিয়েছেন সে আদালতে আত্মসমপর্ণ করতে নির্দেশ দিয়েছেন। আত্মসমপর্ণের পর ইশরাককে জামিন দিতে সংশ্লিষ্ট আদালতকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এর আগে একইদিন সকালে ইশরাক হোসেনের দুর্নীতির মামলায় খালাসের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করে দুর্নীতি দমন কমিশন। গত বছরের ২৩ নভেম্বর ইশরাক হোসেন দুদকের করা এক মামলায় বেকসুর খালাসের আদেশ দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপির এই মেয়রপ্রার্থীর বিরুদ্ধে সম্পদের হিসাব বিবরণী দাখিল না করায় এ মামলা করে দুদক।
মামলার অভিযোগ অনুযায়ী, ইশরাক হোসেন নিজ ও তাদের ওপর নির্ভরশীল ব্যক্তিবর্গের সম্পদের বিবরণী কমিশনে দাখিলের নোটিশ দেওয়া হয় ২০০৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর। ৪ সেপ্টেম্বর ওই আদেশ জারি করতে তাদের বাসায় যান দুদকের কনস্টেবল মো. তালেব। সেখানে ইশরাক হোসেন সেখানে উপস্থিত না থাকায় তার বাসভবনের নিচ তলায় প্রবেশ পথের দেয়ালে স্কচটেপ দিয়ে ঝুলিয়ে দেওয়া হয় ওই আদেশ। সাত কার্য দিবসের মধ্যে সম্পদের হিসাব নির্ধারিত ফরমে দাখিল করেননি ইশরাক হোসেন।
এরপর ২০১০ সালের ৩০ আগস্ট দুদকের তৎকালীন সহকারী পরিচালক মো. সামছুল আলম রাজধানীর রমনা থানায় মামলা দায়ের করেন ইশরাকের বিরুদ্ধে। ২০১৭ সালের ৬ ডিসেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন তদন্ত শেষে ইশরাকের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন।
সম্পদ হিসাব বিবরণী দাখিল না করার অভিযোগে চার্জশিট আমলে নেওয়ার তারিখ ধার্য ছিল ২০১৮ সালের ৫ মে। আদালতে উপস্থিত না হওয়ায় ইশরাকের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ ইমরুল কায়েশ। এরপর মামলাটি বিচারের জন্য বদলির আদেশ দেন বিশেষ জজ আদালত-৪ এ। পরে আত্মসমর্পণ করে জামিনে যান ইশরাক হোসেন। সবশেষ গত বছরের ১৫ জানুয়ারি ইশরাকের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেন আদালত। গত বছরের ১৯ অক্টোবর শেষ হয় মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ। যেখানে চার্জশিটভুক্ত আট জনের মধ্যে ৬ সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করেন আদালত। ২৭ অক্টোবর নিজেকে নির্দোষ দাবি করে ন্যায় বিচার প্রার্থনা করেন ইশরাক। ১১ নভেম্বর দুদক ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায়ের তারিখ ধার্য করেন আদালত।